সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্র ও সেখানকার রেলওয়ের ‘বাঙ্কার’ এলাকা থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও পরিবেশ ধ্বংসের ঘটনায় এবার ৫ সদস্যের উচ্চ পর্য়ায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পক্ষ থেকে এ কমিটি গঠন করা হয়।
মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠপ্রশাসন অধিশাখার উপ-সচিব মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম সাক্ষরিত অফিস আদেশে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের ঘটনায় কোনো কর্তৃপক্ষের অবহেলা আছে কিনা না খতিয়ে দেখা এবং ঘটনার পুনরাবৃত্তিরোধে সুপারিশসহ আগামি ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।
কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদের সচিবকে (সমবায় ও সংস্কার)। সদস্য রাখা হয়েছে- জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি, বিএমডি এর অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি ও সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারকে (রাজস্ব)। বুধবার কমিটির সদস্যদের কাছে অফিস আদেশটি প্রেরণ করা হয়েছে।
অফিস আদেশে বলা হয়, ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্র ও ভোলাগঞ্জ রেলওয়ের ‘বাঙ্কার’ এলাকা থেকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের কারণে পরিবেশ ও পর্যটন স্থানের নান্দনিকতা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদ বিষয়ে সরেজমিন তদন্তপূর্বক মতামতসহ প্রতিবেদন দাখিল করতে হলা হয়।
এদিকে পাথর লুটে বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত করছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি বুধবার প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এতে ৭ পৃষ্টার তদন্ত প্রতিবেদনের সাথে ১৩৭ জন জড়িত থাকার একটি তালিকাও জমা দেওয়া হয়। তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) পদ্মাসন সিংহ বুধবার জেলা প্রশাসকের কাছে এ প্রতিবেদন জমা দেন।
বিদায়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ জানিয়েছেন, প্রতিবেদনটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রেরণ করা হবে। গত ১০ ও ১১ আগস্ট সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র এলাকা থেকে পাথর লুটের ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় হয়। পরে লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে অভিযানে নামে যৌথবাহিনী।


