মাইন উদ্দিন, শাবিপ্রবি-
দেশের বন্যা পরিস্তিতিতে দ্বিতীয় ধাপে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাড়িয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্নোত্থান। সোমবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক কাউছার আহমেদ তথ্যটি জানান।
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলাসমূহে পানি কিছুটা কমলেও দুর্ভোগ কমেনি। লক্ষ্মীপুর জেলায় এখনো বন্যা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি না হওয়ায় পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ খাদ্য ও সুপেয় পানির সংকটে ভুগছে। পানিবন্দি এই অসহায় অবস্থায় তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির ভোগান্তি কিছুটা লাঘবের উদ্দেশ্যে ৮সেপ্টেম্বর “স্বপ্নোত্থান” লক্ষ্মীপুরের ১৪ নং দক্ষিণ মান্দারী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড পুরাতন ভুঁইয়া বাড়ি, ৫ নং ওয়ার্ড গণক বাড়ি এবং ৬ নং ওয়ার্ড চতলিয়া গ্রামের এলাকায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করে। এসময় সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবীরা লক্ষ্মীপুরের প্রায় ১০৩ টি বন্যার্ত পরিবারের মধ্যে ত্রানসামগ্রী বিতরণ করেন। ত্রাণসামগ্রী হিসেবে ছিল চাল, ডাল, আলু, তেল, পেঁয়াজ, লবণ এবং প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রী। এছাড়াও মেয়েদের জন্য প্রয়োজনীয় স্যানিটারি প্যাড প্রদান করা হয়।
সার্বিক বিষয়ে ‘স্বপ্নোত্থান’ -এর সভাপতি মাহাবুবুর রহমান বলেন,”বন্যা কবলিত অনেক জায়গায় বন্যার পানি কমে গেলেও লক্ষ্মীপুর বেশ কিছু জায়গায় এখনো পানিতে তলিয়ে আছে। পথ দুর্গম হওয়ার কারণে যে-সকল জায়গায় ত্রাণ পৌঁছায়নি সেসকল জায়গায় আমরা ত্রাণ পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি। আমরা আশা করছি দ্রুতই মানুষ তাদের দুর্ভোগ কাটিয়ে, স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করবে।”
‘বন্যার্তদের পাশে স্বপ্নোত্থান’-এর মাধ্যমে সর্বমোট ৪৫৩ পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। উল্লেখ্য ১ম ধাপে ৩৫০ এবং ২য় ধাপে ১০৩ পরিবারকে সাহায্যের মাধ্যমে এবারের ‘স্বপ্নোত্থান’ কর্তৃক আয়োজিত ‘বন্যার্তদের পাশে স্বপ্নোত্থান’ -এর কার্যক্রম সমাপ্তি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ শে আগস্ট ‘বন্যার্তদের পাশে স্বপ্নোত্থান’ অনলাইন কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে ‘স্বপ্নোত্থান’ অর্থ সংগ্রহ শুরু করে এবং প্রথম ধাপে ২৮ শে আগস্ট একই জেলার সদর এলাকায় কয়েকটি ওয়ার্ডে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে।