ফখর উদ্দিন, কোম্পানিগঞ্জ:
১৯৬৪-৬৯ সালে সোয়া দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ১৮ দশমিক ৬ কিলোমিটার ও টাওয়ার এক্সক্যাভেশন প্লান্টের সংখ্যা ছিল ১২০টি। ৩৫০ একর জমি নিয়ে গঠিত ভোলাগঞ্জে লোডিং স্টেশন (বাঙ্কার) থেকে পাথর বাকেটে করে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হতো পার্শবর্তী উপজেলা ছাতকের খালাস স্টেশনে। এতে আরো রয়েছে স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত মুক্তিযোদ্ধাদের কবর। দেশের ঐতিহ্যের ধারক ভোলাগঞ্জ রোপওয়ের সংরক্ষিত এলাকায় দুর্বৃত্তদের লেলুপ দৃষ্টির কারণে বিলীন হতে চলেছে স্থাপনাটি। দিন-রাত লুটপাট হচ্ছে রোপওয়ের মেশিনারি পার্টসের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল, গাছগাছালী ও আসবাবপত্র।
সরেজমিনে দেখা যায়, সেখানের বিভিন্ন রুমের তালা ভেঙ্গে ছোট-বড় মটর, কয়েলের বান্ডিল, জেনারেটর ও জেনারেটরের পার্স রোপওয়ের ইঞ্জিনের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল, লোহার স্পেনসহ সব কিছু নিয়ে গেছে দুষ্কৃতকারীরা। এছাড়া বাংকারের মসজিদের মাইক, ব্যাটারী, ফ্যান সহ সব ধরনের মালামাল লুটপাট হয়ে গেছে। এছাড়াও দিনে-দুপুরে কেটে নেওয়া হচ্ছে বড় বড় গাছ। গত ৫ আগস্ট সেখানে কোন হামলা হয়নি। কিন্তু পরদিন থেকে লুটপাট শুরু হয় যা এখন পর্যন্ত চলমান। এগুলো যেন দেখার কেউ নেই।
আরএনবি সূত্রে জানা যায়, গত ৬ আগষ্ট রাত ৯টায় এক দল দুর্বৃত্তরা হামলা চালায় রোপওয়ে নিরাপত্তায় থাকা আরএনবি সদস্যদের উপর। এসময় সেখানে দায়িত্বে থাকা আরএনবি সদস্যদের মারধর করে তাদের মোবাইল টাকা-পয়সাসহ এমনকি অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়। মারধরে বেশ কয়েকজন আরএনবি সদস্য আহত হন। পরে হামলাকারীরা নদীর পাড়ে অস্ত্রগুলো ফেলে চলে যায়। এরপর তাদেরকে সেখান থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ছাতক-ভোলাগঞ্জ রেলওয়ে দায়িত্বে থাকা আই.ডাব্লিউ আব্দুল নুর জানান, বাঙ্কারের বিভিন্ন স্থাপনা ও মেশিনারি পার্টসের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল চুরি হচ্ছে। সেখানে নিরাপত্তার জটিলতায় নিরাপত্তা বাহিনীরও কেউ নেই। গত ৭ আগষ্ট অফিশিয়ালি আরএনবি সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা চলছে সেখানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিষয়ে।