আধুনিক ডেস্ক ::
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি, যিনি মোতাওয়াল্লি হিসেবেও পরিচিত। মসজিদের দেখভালের দায়িত্ব থাকে তার কাঁধে। সাধারণত স্থানীয় মুসল্লিদের মধ্য থেকে নির্বাচিত ব্যক্তিই এ দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তবে এখন থেকে এ দায়িত্ব আর তাদের কাঁধে থাকবে না। এখন থেকে সব মসজিদের সভাপতি হবেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। অর্থাৎ ডিসি-ইউএনওরাই এখন থেকে মসজিদের মোতাওয়াল্লির দায়িত্বও পালন করবেন। বিষয়টি জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, মসজিদের ইমামদের নিয়োগ বা বরখাস্ত হতে হবে সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী। শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুরে খুলনায় এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা জানান, দেশের সকল মসজিদের সভাপতি হবে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও)। এছাড়া, মসজিদে ইমাম নিয়োগ ও বরখাস্ত নীতিমালা অনুযায়ী করতে হবে। এমন বিধান রেখে মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা করা হচ্ছে। আগামী একমাসের মধ্যে গেজেট আকারে তা প্রকাশ করা হবে
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, মসজিদের কাজে নিয়োজিতদের ২০১৫ সালের পে-স্কেল অনুযায়ী বেতন-ভাতা দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। মসজিদের ফান্ডে যথেষ্ট টাকা থাকার পরও ইমামসহ অন্যান্যদের কম বেতন দেয়ার বিষয়টি মেনে নেয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনে শৃঙ্খলা ফিরেছে। সবকিছু জবাবদিহিতার আওতায় আনা হয়েছে। মসজিদে সন্ত্রাস, মাদক, নির্যাতনসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কুফল নিয়ে আলোচনা করতে হবে। পাশাপাশি হালাল জীবিকার ওপর জোর দিতে হবে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ইমামদের জনবান্ধব হতে হবে। বাস্তবভিত্তিক ওয়াজ-নসিহত করতে হবে, যাতে মানুষ সচেতন হয়। ‘মব’ তৈরির সংস্কৃতি সমাজের জন্য কতটা ভয়ংকর, তা মসজিদে আলোচনা করা দরকার। মসজিদভিত্তিক শিক্ষাকেও নিতে হবে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে। যেসব কেন্দ্রে প্রকৃতপক্ষে পাঠদান হচ্ছে না কিংবা ভুয়া কেন্দ্র দেখিয়ে অথবা স্কুল ও মসজিদে একই ব্যক্তি একযোগে শিক্ষকতা করছেন—এমন প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, দেশে অপরাধের মাত্রা কমছে না, অপরাধের এত প্রবণতা পৃথিবীর আর কোনো দেশে নেই। সমাজে অপরাধ রোধে ধর্মীয় অনুশাসন ও নৈতিকতা চর্চার বিকল্প নেই। যদি সমাজে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে অপরাধপ্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে।


