আধুনিক রিপোর্ট ::
রেলের টিকিটের কারসাজির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো, সারওয়ার আলম। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সিলেট রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, অনলাইনে রেলের টিকিট আসার ২ থেকে ৫ মিনিটের মধ্যে সব টিকিট শেষ হয়ে যাবে এটা মেনে নেওয়৷ যায় না। এতে নিশ্চয়ই কারসাজি আছে। এর সাথে কারা কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া অনলাইন টিকিটের বিকল্প ব্যবস্থারও চিন্তা করতে হবে।
তিনি বলেন, এরপর আমরা দেখবো যে, এই সিস্টেম থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসা যায়। ম্যানুয়ালি যখন টিকেট বিক্রি হতো তখন কিছু লোক কাউন্টার থেকে কিনে কালোবাজারি করতো। এখন বিভিন্ন জায়গা থেকে টিকেট কিনে কালোবাজারি করছে। সিন্ডিকেট করতেছে, তারা অনেকগুলো একাউন্ট করে মুহুর্তের মধে টিকেটি নিয়ে নিচ্ছে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে ঝটিকা অভিযানে যান জেলা প্রশাসক মো, সারওয়ার আলম। এসময় তিনি রেলের টিকিটের তালিকাও খতিয়ে দেখেন। পরে সাংবাদিকদের বলেন, সমস্যাটা হচ্ছে অনলাইনে বাংলাদেশের যে কোনো জায়গা থেকে ট্রেনের টিকেট কাটা যাচ্ছে। আজকের সকালবেলার যে ট্রেনটা ছিলো সেটির টিকেট কিন্তু কাউন্টার থেকে মাত্র ১টা কাটা হয়েছে, কিন্তু বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় ২০০টা টিকেট কাটা হয়েছে। এখন আমরা এটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি, এই সমস্যাটা কোন কোন জায়গা থেকে হচ্ছে। অনলাইনে টিকেট আসামাত্র যে দ্রুত শেষ হয়ে যাবে সেটি তো কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। অথচ যাত্রীরা ঠিকমতো টিকেট পাচ্ছেন না। এই সমস্যাটা কোন জায়গা সৃষ্টি হচ্ছে সেটি আমরা বের করবো। আমাদের প্রথম দেখার বিষয় হচ্ছে যে, এখানকার স্থানীয় কেউ জড়িত কি না। রেলওয়ের স্টাফ যদি কেউ জড়িত থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ডিসি বলেন, আরেকটা বিষয় হচ্ছে যে- রেলওয়ের জায়গায় কিছু অসাধু মানুষ স্থাপনা করে নিয়েছে, সেগুলো উচ্ছেদে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর সিলেট রুটে স্পেশাল কোনো ট্রেন চালু করা যায় কি না, এ নিয়ে আমরা কাজ করছি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কথা বলেছি।
ডিসি বলেন, আমরা এই প্রক্রিয়ায় যেতে চেষ্টা করবো- এনআইডি ছাড়া যাতে কিছুতেই ট্রেনের টিকেট কেনা-বেচা করা না যায়। তখন দেখা যাবে টিকেট কালোবাজারি অনেক কমে গেছে।


