আধুনিক ডেস্ক ::
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচন পর্যন্ত পৌঁছাতে দিতে চায় না, তারা যত রকমভাবে পারে বাধা দেবে। বাংলাদেশের সত্ত্বাকে গড়ে তুলতে তারা বাধা দেবে। তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে নির্বাচন বানচাল করার। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করার, যাতে নির্বাচন না হয়। এগুলোর কিছু কিছু লক্ষণ এখন দেখা যাচ্ছে। সামনে আরও আসবে। এ জন্য আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে। আমাদের চেষ্টা হবে নির্বাচন করার, নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের।’
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাতটি রাজনৈতিক দল ও একটি সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে এবি পার্টি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় গণফ্রন্ট ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে। জীবনে কখনো ভোট দিতে পারেনি—তাদের জন্য এই নির্বাচনে ভালো অভিজ্ঞতা দিতে হবে। যারা ভোট দিতে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন, তাদেরও ভালো অভিজ্ঞতা দিতে হবে। কেউ যেন বলতে না পারে যে, আমাকে ভোট দিতে দেয় নাই।
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবারের নির্বাচন অনন্য নির্বাচন। এটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাচন না। এটা এ দেশের সব মানুষের, সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচন। এ নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষা হলো ভবিষ্যতের বাংলাদেশ নির্মাণের। এ নির্বাচন হবে নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর, সাহস অর্জনের, নিজের ভঙ্গিতে দেশ পরিচালনার নির্বাচন। এই নির্বাচনে অন্য কোনো দেশের থাবা মারার কোনো সুযোগ যেন না থাকে। আমরা এ নির্বাচন আয়োজনে আপনাদের সমর্থন চাই।
তিনি বলেন, প্রতি পদে পদে বাধা আসবে, সবার মনে দ্বন্দ্ব তৈরি করার চেষ্টা করবে। আমরা যেন সঠিক থাকি, স্থির থাকি। সবার সহযোগিতা দরকার।
তিনি আরও বলেন, সামনের দুর্গাপূজায় আমাদের সবার দায়িত্ব হলো শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করা। অনেকে গণ্ডগোল তৈরি করতে চাইবে। তারা সব রকমের চেষ্টা করবে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।


