সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৩৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সিলেট জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি হিরন মাহমুদ নিপুকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১ টায় সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২ এর বিচারক সগির আহমদ টুটুলের আদালতে হাজির হলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে করাগারে পাঠান।
এর আগে এ বছরের ১৯ মার্চ তিনি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। এর ৮ দিন আগে ১১ মার্চ হাইকোর্টের বিচারপতি জাফর আহমদ ও বিচারপতি খন্দকার দিলিরুজ্জামানের বেঞ্চে নিপুর জামিন আবেদনের উপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত পরবর্তী ৬ মাসের জন্য হিরণ মাহমুদ নিপুর জামিন মঞ্জুর করেন। আইনি প্রক্রিয়া ১৯ তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।
এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারি নিপু সিলেটের আলোচিত ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ হত্যা মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়ে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর রাত ১২টার দিকে মহানগরের বালুচরের টিবি গেইট এলাকায় ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর রাত দেড়টার দিকে তিনি মারা যান। পরে এ ঘটনায় নিহত আরিফের মা আঁখি বেগম বাদী হয়ে এসএমপি’র এয়ারপোর্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ নিপুসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় আরও চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করা হয়।
গত বছরের ২৮ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ হিরণ মাহমুদ নিপুকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়ে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিলেন।