আহমেদ সবুজ:
মিথ আছে সিলেট-১ আসন যার, সরকার তার। ব্যতিক্রম এবারও ঘটে নি।
যুগের পর যুগ ধরে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছেন সিলেট-১ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। এবার ছেদ পড়লো সে ধারাবাহিকতায়। প্রায় ২৮ বছর পর (ভিআইপি) স্ট্যাটাস হারালো সিলেট-১।
গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিলেট-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করেন। সিলেট-১ আসনের মানুষ নিশ্চিত ছিলো সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনকে এবারও রাখা হবে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে, কিন্তু তা হয়নি। ১৯৯৬ সালের পর এমনটি ঘটে নি আর।
১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ঘটনের পর জাতীয় সংসদের স্পিকারের দায়িত্ব পান সিলেট-১ আসন থেকে নির্বাচিত এমপি হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী। পরের বার ক্ষমতার পালাবদল ঘটে শাসন ক্ষমতায় আসে বিএনপি সিলেট-১ আসন থেকে নির্বাচিত হন এম সাইফুর রহমান। বিএনপির এই নেতা দায়িত্ব পান অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের। ২০০৮ সাল থেকে টানা ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। প্রথম দু’দফা অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পান সিলেট-১ আসনের এমপি আবুল মাল আব্দুল মুহিত। পরের বার এমপি হন তারই ছোট ভাই ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি দায়িত্ব পান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের। এবারও তিনি এমপি হয়েছেন। তবে ভাগ্যে জুটেনি মন্ত্রিত্ব।
ইতিমধ্যে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের নাম প্রকাশ করে গেজেট পাস হয়েছে। যেখানে দেখা যায় সিলেট বিভাগ থেকে ডা: সামান্ত লাল সেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী, মোঃ আব্দুস শহীদ কৃষি মন্ত্রী ও শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে জায়গা করে নেয়।
কিন্তু সিলেট-১ আসন হারিয়েছে মন্ত্রীর তকমা, যেটা মেনে নিতে পারছে না সিলেটবাসী।
মন্ত্রী হারিয়ে সিলেটের সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া কেউ কেউ বলছে ড. মোমেনের ফেকাস মন্তব্যের কারণে তাকে রাখা হয়নি এই মন্ত্রী সভায়।
আবার কেউ বলছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সহজ সরল মানুষ উনি মিথ্যা কথা বলেনি কোনো সময় এমন মানুষকে কেনো মন্ত্রী সভায় রাখা হয়নি আমরা বুঝে উঠতে পারছিনা।
তবে এখনো সিলেট বাসি মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেট-১ আসনকে মন্ত্রী হারা করবেন না।