স্টাফ রিপোর্ট:
নির্বাচন কমিশনের আপিল শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন সিলেট-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল। তিনিসহ সিলেটের পাঁচজন প্রার্থীর আপিলে মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনে আপিল শোনানিতে তার প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়।
ডা. দুলাল ছাড়াও আজ মনোনয়ন বৈধ অন্য প্রার্থীরা হলেন- সিলেট-২ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী মো. জহির, সিলেট-৩ আসনে ইসলামী ঐক্যজোট মনোনীত প্রার্থী মইনুল ইসলাম, সিলেট-৪ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন, সুনামগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান।
গত ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাইকালে এক শতাংশ ভোটে অসামঞ্জস্য দেখিয়ে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলালের মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।
বাছাইকালে সিলেট-৩ আসনে মনোনয়ন বৈধ হয় বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আনোয়ার হোসেন আফরোজ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের জাহেদুর রহমান (মাসুম), জাতীয় পার্টির মো. আতিকুর রহমানের।
বাছাইয়ে বাদ পড়া আওয়ামী লীগ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া ডা. ইহতেশামুল হক দুলাল নির্বাচনী মাঠে ফিরতে ৬ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। আপিলে বৈধতা পেলে তিনি নির্বাচনী মাঠে থাকার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনে আপিলে মনোনয়নের বৈধতা ফিরে পেয়ে ডা. ইহতেশামুল হক দুলাল বলেন, যারা আমাকে পছন্দ করেন। যারা মনে করেন আমি হবো যোগ্য নেতা। তাদের প্রতি এবং সিলেট-৩ আসনের গণমানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। চিকিৎসা পেশায় বিগত দিনে মানুষের সেবা করে গেছি। এবার সেবা নিয়ে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে যেতে চাই। তিনি বলেন, আমি অতি শিগগিরই নির্বাচনী মাঠে ফিরবো, সবার সমর্থন চাইবো।
এর আগে সোমবার নির্বাচন কমিশনের আপিল শুনানির দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পান সিলেট-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান। এদিন নির্বাচন ভবনে আপিল শুনানিতে তার আবেদন মঞ্জুর করে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। একইভাবে ডা. ইহতেশামুল হক দুলালসহ সিলেটের পাঁচ জনের আবেদনও মঞ্জুর করা হয়।