বুধবার, ডিসেম্বর ৪, ২০২৪
Google search engine
Homeজাতীয়সম্পদ বেড়েছে বর্তমান দুই মন্ত্রী মোমেন-ইমরানের, কমেছে সাবেক মন্ত্রী নাহিদের

সম্পদ বেড়েছে বর্তমান দুই মন্ত্রী মোমেন-ইমরানের, কমেছে সাবেক মন্ত্রী নাহিদের

আধুনিক ডেস্ক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামা জমা দিয়েছেন প্রার্থীরা। সিলেটের ছয়টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান দুই মন্ত্রী ও সাবেক এক মন্ত্রীও হলফনামায় সম্পদের বিবরণ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনে।

হলফনামায় উঠে আসা তথ্যানুযায়ী , একাদশ জাতীয় সংসদের তুলনায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া তিন প্রার্থীর সম্পদ বিবরণীতে এসেছে বড়সড় পরিবর্তন। বর্তমান দুই মন্ত্রীর সম্পদ বাড়লেও কমেছে সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের।

সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের বাৎসরিক আয় কমেছে ৯ লাখ ৭০ হাজার ১৯৫ টাকা। তবে অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৩ কোটি ৯৩ লাখ ৫৪ হাজার ৫০৬ টাকার। তার স্থাবর সম্পদও বেড়েছে ৫৭ লাখ ৫১ হাজার ৭১০ টাকার। আর স্ত্রীর নামে আগে ১৩ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ ছিল, এখনো ততটুকুই আছে।

পক্ষান্তরে সিলেট-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সরকারের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদের বাৎসরিক আয় বেড়েছে ১৪ লাখ ৮৮ হাজার ৮২৮ টাকা। সেই সঙ্গে অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ৪ কোটি ৫২ লাখ ৮৫ হাজার ৮৭১ টাকার। স্ত্রীর নামে অস্থাবর সম্পদ ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ৭৩ টাকা দেখিয়েছেন হলফনামায়। একাদশ সংসদ নির্বাচনকালীন হলফনামায় স্ত্রীর নামে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৭৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬৪ টাকা। সে হিসেবে মন্ত্রীর স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ৩ কোটি ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৭০৯ টাকার।

সিলেট-১ আসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী ড. এ কে আব্দুল মোমেন হলফনামায় পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন রাজনীতি ও অন্যান্য। আয়ের উৎস বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান বা অন্যান্য ভাড়া বাবদ ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৪২৪ টাকা দেখিয়েছেন। পেশা থেকে বছরে আয় ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ব্যাংকের মুনাফা বাবদ ৯ লাখ ৬০ হাজার ৫৫২ টাকা আয়।

অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে- নগদ ৩৪ লাখ ২৩ হাজার ২৪১ টাকা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজ নামে জমা ৩ কোটি ৯৬ লাখ ১০ হাজার ৬৯৫ টাকা, শেয়ার ৮ লাখ টাকার, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ ১০ লাখ টাকা, যানবাহন দেখিয়েছেন ২০ লাখ টাকার, স্বর্ণালংকার স্ত্রীর নামে ৫ লাখ টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৫ লাখ, স্ত্রীর নামে আসবাবপত্র ৩ লাখ টাকার এবং নিজ নামে অন্যান্য আয় ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৯১ টাকা দেখিয়েছেন।

স্থাবর সম্পদের মধ্যে অকৃষি জমি অর্জনকালীন মূল্য দেখিয়েছেন ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, দালান-কোঠা অর্জনকালীন মূল্য ১৯ লাখ ৭৫ হাজার ৮৮৫ টাকা, বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্টের অর্জনকালীন দাম ৪ কোটি ১৯ লাখ ৩১ হাজার ৮২৫ টাকা।

ব্যাংকে দায়দেনা ও মামলা নেই তার। আর গত ৫ বছরে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মধ্যে দেখিয়েছেন ঢাকা-সিলেট ৬ লেন রাস্তার কাজ চলমান, সিলেট-কুমারগাঁও ও বাধাঘাট-এয়ারপোর্ট ৪ লেন রাস্তার কাজ চলমান, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কাজ প্রায় শেষের পথে।

সিলেট-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদের যোগ্যতা বিএ অনার্স। পেশায় চা ব্যবসায়ী ও পরামর্শক তিনি। হলফনামায় বছরে আয় দেখিয়েছেন ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৩৮০ টাকা। শেয়ার-সঞ্চয়পত্রে আমানত ৩ লাখ ৩১ হাজার ২০০ টাকা, চাকরি থেকে আয় ৩২ লাখ ৮৪ হাজার ১৯৬ টাকা, ব্যাংক সুদ থেকে প্রাপ্ত এক লাখ ৬১ হাজার ৪৭৫ টাকা।

অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ আছে ৩১ লাখ ৫৫ হাজার ১৯ টাকা। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমার পরিমাণ এক কোটি ৫৭ লাখ ৫৭ হাজার ৪০৭ টাকা, স্ত্রীর নামে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৩ কোটি ৫৭ লাখ ৮৩ হাজার ৯ টাকা, ২ লাখ ৬২ হাজার ও ৭ লাখ টাকা শেয়ারে বিনিয়োগ আছে। যানবাহন আছে ৪৭ লাখ ৭০ হাজার ৫৩৫ টাকা মূল্যের প্রাডো জিপ নিজ নামে, স্ত্রীর নামে আছে ২টি গাড়ি ১৬ লাখ ২২ হাজার ও ২৬ লাখ ১৫ হাজার টাকা মূল্যের। স্বর্ণালংকার আছে স্ত্রীর নামে ৫০ হাজার টাকার। ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও আসবাবপত্র নিজ নামে ৯০ হাজার টাকার এবং অন্যান্য ব্যবসায় বিনিয়োগ এক কোটি ২৯ লাখ ২৫৮ টাকা।

স্থাবর সম্পদ রয়েছে কৃষি জমি ৪ দশমিক ৪৭ একর পৈত্রিক সূত্রে এবং স্ত্রীর নামে ৭৫ লাখ ১৮ হাজার ৫৬০ টাকা মূল্যের ১০৫ শতক, অকৃষি জমি নিজ নামে ৪ দশমিক ৫ একর ক্রয়কালীন মূল্য ৫৫ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে ৫ কাটা জমি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার। ২৫ শতক জায়গাতে স্ত্রীর নামে ৬ তলা বাড়ি ১ কোটি ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫০৪ টাকা মূল্যের, রয়েছে চা ও রাবার বাগান এবং মৎস্য খামার। তবে ব্যাংকে দেনা ও মামলা নেই তার।

সিলেট-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের যোগ্যতা বিএ। পেশা দেখিয়েছেন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে সংসদ সদস্য, সভাপতি, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটি। তিনি বছরে আয় দেখিয়েছেন ৫০ লাখ ৩০ হাজার ১১৩ টাকা, যা গত নির্বাচনে দেখিয়েছিলেন ৩২ লাখ ১০ হাজার ৪১০ টাকা। অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন এক কোটি ৯ লাখ ৯৩ হাজার ১৩২ টাকার। একাদশ সংসদ নির্বাচনে অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ২ কোটি ১৬ লাখ ৩৩ হাজার ৩৯ টাকা। এবার স্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন ২২ লাখ ২৮ হাজার ৪৪০ টাকার। গত নির্বাচনে স্থাবর সম্পদ দেখান ৬৬ লাখ ৪৮ হাজার ৪৪০ টাকার।

প্রাসঙ্গিক সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

জনপ্রিয়

Recent Comments