ফেরদৌস টৌধুরী রুহেল ::
আমরা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম পাওয়ার পরও কিন্তু বৈষম্যের কবল থেকে রক্ষা পাইনি। আমাদের হোটেল এবং বিশ্বে দেখার মত একটি সুন্দর ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম যেখানে রয়েছে সকল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এরপরও পর্যাপ্ত ওয়ানডে, টেস্ট বা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ সিলেটে পাচ্ছি না, বাংলাদেশের সব ইন্টারন্যাশনাল মাঠের তুলনায় সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট এবং মাঠ অত্যন্ত উন্নত মানের কিন্তু কোন এক অদৃশ্য শক্তির করাণে আমরা প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছি।
সিলেটের ক্রিকেটপ্রিয় দর্শকদের কারণে ইন্টারন্যাশনাল কোনো ক্রিকেটে ম্যাচ হলে স্টেডিয়াম পরিপূর্ণ হয়ে যায়। আমরা বিশ্বাস করি আগামীতে সিলেট এই বৈষম্য থেকে আমরা মুক্তি পাব।
যেহেতু লাক্কাতুরা খেলার মাঠ থেকে আজকে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রূপান্তর সেই দিক বিবেচনায় এই বৃহত্তর চৌকিদেখি এলাকার বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠক খেলোয়াড় এবং তখনকার সময়ের সামাজিক সংগঠন রংধনু ক্রীড়া চক্র পীরমহল্লা প্রভাতী সংঘ, ইলাশকান্দি উদয়ন তরুণ সংঘ এবং লাক্কাতুরার ভুইয়া চাচা, আকল মিয়া, শুকুর আলী মেম্বারসহ সবাইকে আমরা স্মরণ করছি কারণ লাক্কাতুরা খেলার মাঠ যদি তৈরি না হতো আজ আমরা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরি করতে পারতাম না।
এখন আমাদের আরেকটি মাঠের প্রয়োজন যেহেতু আমি ২০১৪ সালের পর থেকে বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কার্যক্রমের সঙ্গে খুব একটা সম্পৃক্ত নই, তবে এখন প্রয়োজন একটি বিভাগীয় স্টেডিয়াম তৈরি করা।
সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার একটিমাত্র মাঠ সেই মাঠে ক্রিকেট, ফুটবল এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার সব ইভেন্টের খেলা পরিচালিত হয়। তাই বিভাগীয় পর্যায়ের খেলাধুলার জন্য আলাদা একটি মাঠের প্রয়োজন। বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বাহী কমিটিতে যারা আছেন তাদের এ বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। বিভাগীয় স্টেডিয়াম নির্মাণে আরও উদ্যোগী হওয়া উচিত। আমি যদ্দূর জানি, দক্ষিণ সুরমায় দুইটি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছিল বিভাগীয় স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য; কিন্তু তা আজ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। আমি বর্তমান বিভাগীয় ক্রিড়া সংস্থার কার্যকরী কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আপনাদের একমাত্র এজেন্ডা হোক বিভাগীয় স্টেডিয়াম নির্মাণ। যেহেতু বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার নির্দিষ্ট কোনো কার্যালয় নেই সেই দৃষ্টিতেও বিভাগীয় স্টেডিয়াম তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়াম তৈরি হলে জেলা ক্রীড়া সংস্থার বিভিন্ন ইভেন্টের খেলাধুলা ক্যালেন্ডার অনুসারে যথাসময়ে সমাপ্তকরণ সহজ হবে। আমাদের খেলোয়াড়রা পাবে একটি অনুশীলনের নতুন জায়গা, যেখান থেকে গড়ে উঠবে ফুটবল কিংবা ক্রিকেট বা অন্য কোন ইভেন্টের খেলোয়াড়, জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে অনেকের। আমার এ দীর্ঘ লেখায় যদি কোন ভুল-ত্রুটি থেকে থাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং অনেকের নাম হয়তো বাদ পড়েছে অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আপনারা সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন, খোদা হাফেজ।
ফেরদৌস চৌধুরী রুহেল, ক্রীড়া সংগঠক


