স্পোর্টস ডেস্ক ::
শ্রীলঙ্কার দেওয়া ১৩৩ রানের লক্ষ্য হেসেখেলে ছুঁয়ে ফেলল বাংলাদেশ। স্পিনার তিকশানার করা ১৭তম ওভারের তৃতীয় বলে এক রান নিয়ে বাংলাদেশকে জয় এনে দেন তাওহিদ হৃদয়। তিনি অপরাজিত ছিলেন ২৫ বলে ২৭ রানে। এই জয়ে টি–টোয়েন্টি সিরিজ ২–১ ব্যবধানে জিতল বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার মাটিতেও এটি বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ জয়। বল হাতে যে জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্পিনার মেহেদী হাসান। ৪ ওভারে ১১ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট, যা তাঁর ক্যারিয়ারসেরা। ব্যাট হাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন তানজিদ হাসান। ৪৭ বলে ক্যারিয়ারসেরা ৭৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন এই ওপেনার। মেরেছেন ছয়টি ছক্কা। ম্যাচসেরা হয়েছেন মেহেদী হাসান। সিরিজসেরা হয়েছেন লিটন দাস।
শ্রীলঙ্কায় টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ। একাধিক ওয়ানডে জয়ের কীর্তিও আছে। আছে টি-২০ ম্যাচ জিতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে বিদায় করে নিদাহাদ ট্রফির ফাইনাল খেলার রেকর্ডও। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে শ্রীলঙ্কা সফরে কখনও কোনও ফরম্যাটে সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এবার তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের শেষটিতে তানজিদ তামিমের দুরন্ত ফিফটিতে ৮ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার মাটিতে ২-১ ব্যবধানে ঐতিহাসিক সিরিজ জিতেছে টাইগাররা।
বুধবার (১৬ জুলাই) কলম্বোর পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে দারুণ বোলিংয়ে লঙ্কানদের নাগালেই রাখে বাংলাদেশ। টস জিতে প্রথম দুই ওভারেই উইকেট হারানো লঙ্কানরা ৭ উইকেটে ১৩২ রান তুলতে পারে। জবাবে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে ওপেনার তানজিদ তামিম ও তিনে নামা লিটন দাস ৭৪ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে তুলে নেন। তানজিদ ক্যারিয়ার সেরা ৭৩ রানের ইনিংস খেলে ২১ বল থাকতে জয় এনে দেন।
শ্রীলঙ্কা ইনিংসের প্রথম ওভারে ওপেনার কুশল মেন্ডিসকে হারায় (৬)। দ্বিতীয় ওভারে তিনে নামা কুশল পেরেরাকে (০) তুলে নেন শেখ মেহেদি। পরে দিনেশ চান্ডিমাল (৪) ও চারিথা আশালঙ্কাকে (৩) সাজঘরে পাঠান ডানহাতি অফ স্পিনার। তিনি সেরা ব্রেক থ্রু দেন লঙ্কান ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কাকে সাজঘরে পাঠিয়ে। নিশাঙ্কা দলের পক্ষে ৩৯ বলে সর্বাধিক ৪৬ রান করেন। তার ব্যাট থেকে চারটি চারের শট আসে।
এছাড়া কামিন্দু মেন্ডিস ১৫ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২১ রান ও দাশুন শানাকা ২৫ বলে ৩৫ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। চারটি চার ও দুটি ছক্কা মারেন তিনি।
প্রথম ওভারে উইকেট নেওয়া শরিফুল শেষ পর্যন্ত ৪ ওভারে ৫০ রান দেন। মেহেদি ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন তিনি। মুস্তাফিজের ৪ ওভার থেকে ১৭ রান নিয়ে ১ উইকেট দেয় লঙ্কানরা। রিশাদ ৪ ওভারে ২০ ও তানজিম সাকিব ২ ওভারে ২৩ রান হজম করেছেন।
বাংলাদেশ ইনিংসের প্রথম ওভারে পারভেজ ইমনকে হারালেও নতুন বলেই ম্যাচের গতিপথ ঠিক করে ফেলে। লিটন দাস ভালো জুটি গড়ার পথে ২৬ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলেন। তিনি দুটি চার ও একটি ছক্কা মারেন। বাংলাদেশ ৮.৩ ওভারে ৭৪ রান তুলে ফেলে। শুরু থেকে চোখ ধাঁধাঁনো ছক্কা তুলতে থাকা তানজিদ ৪৭ বলে ৭৩ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। তিনি ছয়টি ছক্কা ও একটি চার মারেন। তাকে সঙ্গ দিয়ে তাওহীদ হৃদয় ৬৯ রানের জুটি গড়েন। হৃদয়ের ব্যাট থেকে ২৫ বলে ২৭ রান আসে। একটি করে চার ও ছক্কা মারেন তিনি।


