ঘরের মাঠের পর্বটা জয় দিয়ে শেষ করতে পারল না সিলেট স্ট্রাইকার্স। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ চিটাগং কিংসের কাছে ৩০ রানে হেরে গেছে আগের দুই ম্যাচেই জয় পাওয়া দলটি। অন্যদিকে টানা তৃতীয় জয় পেল চার ম্যাচ খেলা চিটাগং কিংস। ম্যাচ জিততে ২০৪ রানের লক্ষ্য পেয়েছিল সিলেট। বিপিএল ইতিহাসে এত বেশি রান ছুঁয়ে জয়ের ঘটনা মাত্র তিনটি। সেই কীর্তিতে চতুর্থ হতে যেমন শুরু দরকার ছিল, সিলেট তা করতে পেরেছিল। চিটাগং কিংসের বাঁহাতি স্পিনার নাবিল সামাদ দ্বিতীয় বলে পল স্টার্লিংকে ফেরালেও ওই ওভারে ১৭ রান তুলল সিলেট। ১৩-ই এসেছে স্টার্লিংয়ের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নামা জাকির হাসানের ব্যাট থেকে।
আগের দুই ম্যাচেই ফিফটি পাওয়া জাকিরের ব্যাটে আরেকটি জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল সিলেট। তবে সেই স্বপ্ন ধূসর হয়ে যায় পঞ্চম ওভারে জাকির বিদায় নিতেই। বিপিএলে সিলেট পর্বে খেলা প্রথম চার ম্যাচে তিনটি ফিফটি করা জাকির আজ আউট হলেন ১৯ বলে ২৫ রান করে। জাকিরের বিদায়ের ৬ বল পর আউট দলটির ওপেনার রনি তালুকদারও (৯ বলে ৭)। ৪২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা সিলেটের রানের চাকাও মন্থর হয়ে যায় জোড়া আঘাতে। এরপর জর্জ মানসি (৩৭ বলে ৫২) ও জাকের আলীরা (২৩ বলে অপরাজিত ৪৭) শুধু ব্যবধান কমানোর কাজটাই করতে পেরেছেন। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৭৩ রান তুলে থেমেছে দলটি।
এর আগে চিটাগং কিংস করে ৬ উইকেটে ২০৩ রান। বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে সুযোগ পাওয়া পারভেজ হোসেন ১০ বলে ৭ রান করলেও যখন আউট হলেন দলের রান, ৪ ওভারে ৩২। আরেক ওপেনার পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান উসমান খান স্বস্তি দেননি সিলেটের বোলারদের। পারভেজের বিদায়ের পর গ্রাহাম ক্লার্ককে নিয়ে ৩৯ বলে যোগ করেন ৬৮ রান। আগের দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি ও ফিফটি করা উসমান আজ ফিরেছেন ৩৫ বলে ৫৩ রান করে। ইংলিশ ব্যাটসম্যান গ্রাহাম ক্লার্ক ৫ ছক্কায় ৩৩ বলে করেছেন ৬০ রান। বিপিএল ক্যারিয়ারে প্রথম ফিফটি করে ক্লার্ক যখন ফিরলেন, চিটাগংয়ের স্কোর ১৫.৩ ওভারে ১৪৮/৩। সেখান থেকেই দলটির রান ২০০ পেরোয় হায়দার আলীর ঝড়ে। পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান ১৮ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ৬০ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন চিটাগং কিংসের ইংলিশ ব্যাটসম্যান গ্রাহাম ক্লার্ক।