আহমেদ সবুজ:
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) টিকিট ছাড়াই মিলছে ভিআইপি আসনে বসে খেলা দেখার সুযোগ । দেড় হাজার টাকা চুক্তিতে বিসিবির কার্ডধারী সিকিউরিটি গার্ড নিজেই বিসিবির গাড়িতে করে নিয়ে যান ভিআইপি গ্যালারিতে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) মানেই যেনো অন্যরকম উল্লাস, বিপিএলের ১১ তম আসরের ঢাকা পর্ব শেষে চলছে সিলেট পর্ব। বিপিএলে ক্রিকেট প্রেমিরা একটি টিকিটের জন্য দিক বেদিক ছুটে চলে, আর তার ফায়দা নিচ্ছে কালোবাজারিরা।
কালোবাজারিদের সাথে পাল্লা দিয়ে টিকিট সিন্ডিকেটে জড়িয়ে পড়েছেন বিসিবির কর্মকর্তারাও।
শুক্রবার (১০জানুয়ারি) বিকেলে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মেইন গেইটের পাশে এনাম নামের এক নিরাপত্তা কর্মীকে পাকড়াও করে জনতা ও গণমাধ্যম কর্মীরা। পরে তাকে নিয়ে যায় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে।
শুক্রবার দুরন্ত রাজশাহী-খুলনা টাইগার্সের ম্যাচ চলাকালে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মেইন গেইটের টিকিট কালোবাজারি চক্রের পাশে বিসিবির সিকিউরিটি গার্ড এনামকে পাওয়া যায়।
টিকিট ছাড়া দেড় হাজার টাকার বিনিময়ে ভিআইপি গ্যালারিতে বসিয়ে দেয়ার দরদাম করছেন তিনি।
এসময় পরিচয় গোপন রেখে সেখানে এই প্রতিবেদকসহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী দর্শক সেজে কথা বলেন এনামের সাথে। এনাম জানালেন তিনি বিসিবির লোক।
দেশের সব ভেন্যুতে তিনি কাজ করতে পারেন। নিজেকে পরিচয় হিসেবে প্রদর্শন করেন বিসিবির দেয়া কার্ড ও ওয়াকিটকি।
এসময় সাংবাদিক পরিচয় দিলে মূহুর্তে সব অস্বীকার করেন সিকিউরিটি এনাম। সঙ্গে সঙ্গে জনতা তাকে পাকড়াও করে বিসিবির দায়িত্বশীলদের কাছে হস্তান্তর করে।
এমন কর্মকান্ডে ক্ষুব্ধ দর্শকরা। তারা বলছেন বিসিবির কর্মচারীরা এভাবে কালোবাজারিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমাদেরকে ফাঁদে ফেলে বেশি দামে টিকিট বিক্রি করে।
এব্যাপারে দৈনিক আধুনিক কাগজকে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সিকিউরিটি কমিনিউটির সিনিয়র সিকিউরিটি কো-অর্ডিনেটর আলী ওয়াসিকুজ্জামান চৌধুরী বলেন, এনাম ঢাকা থেকে এসেছিলো। ঘটনাটি জানতে পেরে আমরা সঙ্গে সঙ্গে তার কার্ড জব্দ করেছি।
তিনি বলেন, ঘটনাটি সাথে সাথে ঢাকায় জানানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা ঢাকা থেকে গ্রহণ করা হবে।
আলী ওয়াসিকুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বিপিএলের জন্য আমাদের প্রায় তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার মানুষের প্রয়োজন হয়। এতো জনবল বিসিবির নেই। তাই বাহির থেকে কিছু মানুষকে আনা হয়, আর এই সুযোগটিই কাজে লাগিয়েছে এনাম।
দিনশেষে দর্শকদের মনে প্রশ্ন থেকে যায়, এতো এতো সিকিউরিটি থাকা সত্ত্বেও কিভাবে টিকিট ছাড়া ভিআইপি আসনের সিট পায়। দর্শকদের ধারণা শুধু এনাম নয় একটি চক্র এখানে কাজ করছে!