মেহেদী হাসান:
সিলেটে হঠাৎ শিলাবৃষ্টি। এমন শিলাবৃষ্টি আগে দেখেনি কেউ। স্মরণকালের ভয়াবহ শিলা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সিলেটের গোলাপগঞ্জ, এয়ারপোর্ট, ধূপাগোলসহ শহরের বিভিন্ন এলাকাতেও।
রোববার রাত সোয়া ১০টার দিকে শিলা বৃষ্টি শুরু হয়। প্রায় দশ মিনিটের মতো চলে এই শিলা বৃষ্টি। বিশাল শিলার আঘাতে মানুষের বাসা-বাড়ির টিন, জানালার গ্লাস ও গাড়ির কাঁচ ভেঙে গেছে। এমন শিলাবৃষ্টিতে বোরোসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জিনিসের ক্ষয়ক্ষতির সাথে শিলার আঘাতে অনেক মানুষ আহত হয়ে হসপিটালে ছুটে যান। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও উপজেলা হাসপাতালগুলোতে রক্তাক্ত অবস্থায় মানুষজনকে ছুটে আসতে দেখা যায়।
শিলা পড়ে বাসার টিনের চাল ফুটো হওয়ায় মাথায় হাত পড়ে। রাতেই বৃষ্টির পানি থেকে বাঁচতে দিকবিদিক ছুটতে দেখা যায়। রাত পোহাতেই টিনের দোকানগুলোতে ভীড় জমে ক্ষতিগ্রস্থদের।
অভিযোগ পাওয়া যায় দাম বেড়ে যাওয়ার।
সোমবার নগরীর লালদিঘীরপার টিনের দোকানে ঘুরে দেখা গেছে, হঠাৎ করে টিন বিক্রি বেশ বেড়ে গেছে। টিনের দোকানগুলোতে অন্য সময়ের চেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কথা বলে জানা গেছে, ঈদের বাজার ও জামা-কাপড় বাদ দিয়ে টিন কিনতে এসেছেন।
টিন কিনতে এসে রুবেল আহমদ নামের একজন বলেন, আমি গোলাপগঞ্জ থেকে এসেছি টিন কিনেছি ৯ বান। তবে বরাবরের চাইতে ব্যবসায়ীরা একটু বেশি দামে টিন বিক্রি করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
মাহমুদুল হাসান আধুনিক কাগজকে বলেন, আমি এয়ারপোর্ট থেকে এসেছি টিন কিনতে। তবে এখানে এসে দেখতে পেলাম আগেই চাইতে টিনের দাম বেশি ।
গতকালের শিলাবৃষ্টির পর সিলেটের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ টিনের দোকানগুলোতে ভিড় করছে।
টিন কিনতে আসা এক বৃদ্ধ বলেন, এখানে সিরিয়াল মেন্টেইন করে টিন ক্রয় করতে হচ্ছে। আমি সকালে এসে সিরিয়াল নিয়েছি কিন্তু এখন প্রায় বিকাল ৫ টা বাজলেও আমি টিন পাইনি ।
অন্যদিকে টিন কিনতে না পেরে তেরফাল কিনছেন অনেকেই। তারা জানান টিনের দাম অতিরিক্ত যেটা কেনার সামর্থ্য আমাদের নেই। সেজন্য টিনের বদলে ভেরফাল নিয়ে যাচ্ছি।
এমন অনাকাঙ্ক্ষিত শিলাবৃষ্টিতে মাথা গোজার ঠাই হারানো মানুষগুলো কোথায় রাত কাটাবে জানা নেই। মানুষের পাশে মানুষ দাঁড়াবে, ব্যাবসায়ীরা নিজেদের সংযত রাখবেন এই প্রত্যাশা সকলের।