আহমেদ সবুজ:
গেলো বছরের ৭ নভেম্বর ঘটা করে দায়িত্ব গ্রহণ করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। নগরভবনের চেয়ারে বসার ১শ দিন পূর্ণ হলো আজ। সাফল্য-ব্যর্থতা বিচার করার জন্য সময়টি নিতান্তই নগণ্য। তবে পাঁচ বছরের মেয়াদে প্রথম ১শ দিনকে একটি মাইলফলক হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। সিসিকের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়।
সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে সকল আলোর কেন্দ্রে থাকেন মেয়র। কথায় বলে, ‘মর্নিং শোজ দ্য ডে’ অর্থাৎ সকালটাই বলে দেয়, দিনটা কেমন যাবে। সেই হিসেবে মেয়রের ১শ দিনের বিচার-বিশ্লেষণ একটি ভিন্ন তাৎপর্য বহন করে। আনোয়ারুজ্জামানের দায়িত্ব গ্রহণের দুদিনের মাথায় সুখবর পান সিলেট নগরবাসী। ৯ নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সিসিক এলাকার উন্নয়নে ১ হাজার ৪শ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়।
মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই সামনে আসে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন। সে নির্বাচনে ‘ম্যাজিক ম্যান’ হিসেবে আবির্ভূত হন সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তার প্রতি সাধারণের প্রত্যাশা আরও বেড়ে যায়। তবে এখন পর্যন্ত সে প্রত্যাশার পুরোটা মেটাতে পারেননি তিনি। সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে ফুটপাথ নিয়ে। দ্রুততম সময়ে ফুটপাথকে হকারমুক্ত করার ঘোষণা থাকলেও এর প্রতিফলন দেখতে পাননি নগরবাসী। তবে নগরের প্রধান সমস্য জলাবদ্ধতার নিরসনে মেয়র যে কাজ শুরু করছেন তার প্রমাণ মিলছে নগরের বিভিন্ন এলাকায় জোরেশোরে ড্রেন নির্মাণের কাজ থেকে। তবে এ জন্য ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। এ কারণে অনেকেই দায়ী করছেন পরিকল্পনার অভাবকে।
ক্রিকেটে যেমন পাওয়ার প্লেতে চমকে দিতে চান ব্যাটাররা তেমন চমক কিন্ত প্রথম ১শ দিনে দেখাতে পারেননি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। নিয়মিত উন্নয়ন কাজের মাধ্যমে ‘রানের চাকা’ সচল রাখলেও ‘চার-ছক্কা’ এখনও হাঁকাতে পারেননি আনোয়ারুজ্জামান। তবে তার ঘনিষ্টরা বলছেন, সামনে চমক আসছে।