গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি:
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় ১০ জন আহত হয়েছেন। গত ২৬ জানুয়ারি সকালে উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়নের ঘোষগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় গত ৩০শে জানুয়ারী সিলেট চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১০নং আমলী আদালতে আল আমিন (৩৩) বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
মামলার বাদী আল আমিন জানান মামলা করার কারে তারা বিপাকে আছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মামলার বাদী আল আমিন বলেন, এই ঘটনায় আদালতে মামলা করার কারণে আসামিরা তাকে প্রাণে মারার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করছেন। তাকে তার বাড়ীতে প্রবেশ করতে দিচ্ছেননা। চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন।
গ্রামের মুরব্বিরা জানান, গত ২৬ জানুয়ারি সকালে ইয়াছিন আলীর বাড়ীতে ইয়াকুব আলীর ঘুষ্টি হামলা করেছে। এতে ইয়াছিন আলীর মেয়ে সহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আমরা চেষ্টা করেছি স্হানীয়ভাবে শালিস করে বিষয়টি শেষ করার। কিন্তু একপক্ষ বিছার/শালিস মানলেও অন্য পক্ষ রাজি হয়নি।
অত্র ওয়ার্ডের মেম্বার নিজাম উদ্দিন বলেন আমি মারামারির সময় ঘটনাস্থলে ছিলাম, বার বার চেষ্টা করেছি মারামারি থামানুর জন্য। এক পর্যায় ইয়াকুব আলীর গ্রুপ ইয়াছিন আলীর বাড়ীতে উটে যায়। আমি সহ গ্রামের কেউ মারামারি থামাতে পারি নাই। ঘটনাস্থলে কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাটাই।
এদিকে অভিযুক্তরা বলছেন, আল আমিন আমাদের গ্রুপের একজনকে রাতে রাস্তায় একা পেয়ে মারপিট করেছে। সেজন্য আমরা তাদেকে মেরেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, এই মামলার একজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিস্তারিত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিংকু দাস এর সাথে কথা বলতে বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তার মুঠোফোন একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
আদালতের অভিযোগ সূত্র জানা যায়, গত ২৬ জানুয়ারি ভোরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঘোষগ্রামের বাসিন্দা ইয়াছিন আলী, ইব্রাহীম আলী, আব্দুল আলীর (৪৫) ও তাদের পরিবারের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ইয়াকুব আলী গ্রপের লোকজন। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন পুলিশ সদস্য হানিফের মা বাবা, এবং আল আমীন তার পরিবার সহ অন্তত ১০ জন আত্বীয়স্বজন। পরে প্রত্যক্ষদর্শীরা আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে। এই ঘটনায় আহত কয়েকজন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ী ফিরলেও এখনো কয়েকজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এই ঘটনায় ২৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামীরা হলেন, একই গ্রামের মৃত শুক্কুর মিয়ার ছেলে ইয়াকুব আলী (৪৫)। মৃত কলিম উল্লার ছেলে কামাল উদ্দিন (৩৫), মৃত আজিজ উল্লার ছেলে সুলেমান আহমদ,(৩৫) খলিলুর রহমানের ছেলে উমর আলী (২৮), আজমত উল্লার ছেলে মকবুল হোসেন (৩২)
আব্দুর রশিদ এর ছেলে জাকারিয়া (২৩), আহমদ আলীর ছেলে আব্দুর রশিদ (৫৫), আব্দুর রশিদ এর ছেলে ইয়াহিয়া (২১), মৃত- মাহমুদ আলীর ছেলে ইসলাম উদ্দিন (৬০), মখলিছ (৩৫), মোশাহিদ (৪২), আহাদ (২०), বাহার উদ্দিন (২৫), কুদরত উল্লা (৫৫), হেলাল (৩৫), বদরুল (৩০), সুলেমান (৪০), মাসুক (২৫),সিফাত উল্লা (৪০), জিয়াউল (২৫) সহ আরো কয়েকজন।
এদিকে