শনিবার, ডিসেম্বর ৯, ২০২৩
Google search engine
Home Blog

তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের ৩০ রানের লিড

স্পোর্টস ডেস্ক:

সকাল থেকে ছিল বৃষ্টি। মাঝে রোদ উঁকি দিয়ে গেলেও মেঘ কাটলো না প্রায় কখনোই।

শেষ বিকেলে আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ হলো ঘণ্টাখানেক আগে। এর মধ্যেই নিউজিল্যান্ডের পাঁচ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ।

পরে অবশ্য নিজেরাও হারিয়েছে দুই উইকেট।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষটিতে মাঠে নামে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায়। পরে কিউইরা করে ১৮০ রান।

এরপর তৃতীয় দিনশেষে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান করেছে স্বাগতিকরা।

পুরো একদিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর মাঠ না শুকানোয় তৃতীয় দিনেও এক সেশন খেলা হয়নি। এরপর দুই স্পিনারকে দিয়ে শুরু করে বাংলাদেশ। গ্লেন ফিলিপস আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন ড্যারিল মিচেল।

জুটি ভাঙতে মেহেদী হাসান মিরাজকে সরিয়ে নাঈম হাসানকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, সফলও হন তিনি। অবশ্য তাতে বড় ভূমিকা আছে মেহেদী হাসান মিরাজের। মিড অফ থেকে দৌড়ে এসে লং অনে ক্যাচ নেন তিনি। ৩৯ বলে ১৮ রান করে ফিরতে হয় মিচেলকে।  

এই জুটি ভাঙার পরও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং থামাননি ফিলিপস। তবে পরের ওভারে এসে আরও এক উইকেট এনে দেন নাঈম। ৭ বলে ১ রান করে মিচেল স্যান্টনার এবার ক্যাচ দেন প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো শান্তর হাতে।  

ইনিংসের পঞ্চম ওভারে গিয়ে পেসার আনে স্পিনার দিয়ে শুরু করা নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় উইকেটটা নেন সাউদি নিজেই। ২৪ বলে ১৫ রান করে মিড অফে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান। তিনি আউট হওয়ার পর আর একটি বলই হয়। এরপর আলোকস্বল্পতায় বন্ধ হয়ে যায় খেলা। ৪টা ৯ মিনিটে দিনের খেলা শেষ হয়ে যায়। ওপেনার জাকির হাসান ১৬ ও মুমিনুল হক শূন্য রানে অপরাজিত আছেন।

সিলেটে আ.লীগের নির্বাচন সম্পর্কিত আইনি সহায়তা বিষয়ক উপ-কমিটি গঠন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের সমন্বয়ে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নির্বাচন সম্পর্কিত আইনি সহায়তা বিষয়ক উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় উপ কমিটির নির্দেশে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শমিউল আলমকে আহবায়ক ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজমল আলীকে সদস্য সচিব করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কিত আইনি সহায়তা বিষয়ক সিলেট জেলা ও মহানগরের ৭৪ সদস্যবিশিষ্ট উপ-কমিটি গঠন করা হয়।

উপ-কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, অ্যাডভোকেট আব্দুল কুদ্দুছ, অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান, অ্যাডভোকেট সুরুজ আলী, অ্যাডভোকেট মাহমুদুজ্জামান, অ্যাডভোকেট দিলিপ কুমার দেব, অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন, অ্যাডভোকেট বনশ্রী দাস অপু, অ্যাডভোকেট পংকজ দাস, অ্যাডভোকেট রাখাল কুমার দে, অ্যাডভোকেট ময়নুল হক ফারুক, অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল হক, অ্যাডভোকেট নিমার আলী, অ্যাডভোকেট পৃথিস দত্ত পিংকু, অ্যাডভোকেট জয়শ্রী দাস জয়া, অ্যাডভোকেট আকমল খান, অ্যাডভোকেট শংকর লাল দাস, অ্যাডভোকেট শিব্বির আহমদ বাবলু, অ্যাড আব্দুল খালিক, অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন, অ্যাডভোকেট এম আর খান মুন্না, অ্যাডভোকেট কানন আলম, অ্যাডভোকেট জয়ন্ত, অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ, অ্যাডভোকেট সরোয়ার মাহমুদ, অ্যাডভোকেট রোকন মিয়া, অ্যাডভোকেট বিজিত লাল তালুকদার, অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম, অ্যাডভোকেট শহিদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান, অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া রিজু, অ্যাডভোকেট গোলাম রাব্বানী তালুকদার, অ্যাডভোকেট শাহাব উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জুয়েল, অ্যাডভোকেট আলা উদ্দিন, অ্যাডভোকেট ইয়াহিয়া, অ্যাডভোকেট লিটন মিয়া, অ্যাডভোকেট সজল চন্দ্র পাল, অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান সুমন, অ্যাডভোকেট দেবব্রত চৌধুরী লিটন, অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট আসীম কুমার দাস, অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট টিপু রঞ্জন দাস, অ্যাডভোকেট মনির উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মারুফ আহমদ তামিম, অ্যাডভোকেট মাসুম বিল্লাহ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট একরামুল হাসান শিরু, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট ইমরান আহমদ, অ্যাডভোকেট এনামুল হক, অ্যাডভোকেট এ এইচ এম ওয়াসিম, অ্যাডভোকেট দিদার আহমদ, অ্যাডভোকেট কাওছার আহমদ, অ্যাডভোকেট মো ইকবাল হক চৌধুরী, অ্যাডভোকেট প্রণয় দাস, অ্যাডভোকেট সেলিম মিয়া, অ্যাডভোকেট অরুপ শ্যাম বাপ্পী, অ্যাডভোকেট কামরুন নাহার রীপা, অ্যাডভোকেট তানজিনা আক্তার জেসি, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইব্রাহীম, অ্যাডভোকেট সৈয়দ জিগর আলম, অ্যাডভোকেট ইদি আলম লিয়ন, অ্যাডভোকেট মান্না দত্ত , অ্যাডভোকেট মাজেদ আহমদ, অ্যাডভোকেট কাউছার আহমদ, অ্যাডভোকেট শামীম আহমদ, অ্যাডভোকেট মনজুরুল হক তালুকদার, অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট কাউছার আহমদ খান, অ্যাডভোকেট শিরিন আক্তার, অ্যাডভোকেট রন চন্দ্র দেব, অ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক জায়েদ।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বিগত ১৭ নভেম্বরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারা দেশে নির্বাচন সম্পর্কিত আইনি সহায়তা বিষয়ক উপ-কমিটি গঠন।

সিলেট-২ : সমঝোতার বলি কে, শফিক না ইয়াহইয়া?

জুবেল আহমেদ, ওসমানীনগরঃ
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেকে সামনে রেখে সিলেট-২ আসনে ভোটারদের কাছে জনপ্রিয়তায় আলোচনায় রয়েছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী ও জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ ইয়াহইয়া চৌধুরী। এ আসনে আরো বৈধ প্রার্থী থাকলেও ভোটারদের মুখে রয়েছে এই দুজনেরই নাম। তবে এই নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে নিজস্ব প্রার্থী দিতে চায় জাতীয় পার্টি।

এদিকে দল মনোনয়ন দিলেও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী আবারো সমঝোতার বলি হতে পারেন। মহাজোটের প্রয়োজনে জাতীয় পার্টির চাহিদা মেটাতে গেলে আসনটিতে আবারো সমঝোতার বলি হয়ে কপাল পুড়তে পারে শফিক চৌধুরীর। এবারে জাতীয় পার্টি আসনটি পেলে শরিকদের কাছে হারানোর হ্যাটট্রিক করবেন তিনি।

বিগত দুটি নির্বাচনে এ আসনে জোটের বলি হতে হয় আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের। ২০০৮ সালে বিএনপির শক্তিশালী প্রার্থী ইলিয়াস আলীকে হারিয়ে এ আসনের মসনদে বসেছিলেন শফিক চৌধুরী। এরপর দুটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহইয়া চৌধুরীকে এই আসন ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। তাতে কপাল পুড়ে শফিক চৌধুরীর। মহাজোটের ব্যানারে দশম জাতীয় নির্বাচনে এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ইয়াহইয়া চৌধুরী। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে হেরে যান জাপার এই প্রার্থী। নির্বাচিত হন ঐক্যফ্রন্টের শরিক গণফোরামের মোকাব্বির খান।

তবে দুবার হাতছাড়া হওয়া এ আসনটিতে এবার দলীয় প্রার্থী চান স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। টানা দুইবার দলের আনুগত্য থেকে ত্যাগ স্বীকার করা শফিকুর রহমান চৌধুরীর পক্ষে একাট্টা আসনটির আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দরা।
শফিক চৌধুরীর সমর্থকদের দাবি, ক্ষমতাসীন দল হয়েও বিগত দুটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী না থাকায় আসনটিতে উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। বিগত নির্বাচনগুলোতে তিনি মহাজোটের প্রয়োজনে ছাড় দিয়েছেন, এবার শফিক চৌধুরীকে ছাড় দেওয়ার কথা।

দুই মেয়াদে ত্যাগের পুরস্কার স্বরুপ শফিক চৌধুরীকে এ আসনে বহাল রাখারও গুঞ্জন আছে। এমনটি হলে কপাল পুড়বে জাপার প্রার্থী ইয়াহইয়া চৌধুরীর।

তবে ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পরিষ্কার হবে সবকিছু। সমঝোতা না হলে কে হচ্ছেন এ আসনের পরবর্তী এমপি সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।

নিষেধাজ্ঞা এলে বিএন‌পির ওপর আস‌বে: ওবায়দুল কা‌দের

আওয়ামী লী‌গের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কা‌দের ব‌লে‌ছেন, আমরা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ভাব‌ছি না। আমরা নির্বাচন নি‌য়ে ভাব‌ছি। আর নিষেধাজ্ঞা এলে বিএন‌পির ওপর আস‌বে।

শুক্রবার ধানম‌ন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপ‌তি শেখ হা‌সিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষ‌য়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবা‌বে এসব কথা ব‌লেন তি‌নি।

ওবায়দুল কা‌দের বলেন, বিএনপি নির্বাচন বানচাল কর‌তে, প্রতি‌হত কর‌তে জ্বালাও পোড়াও কর‌ছে, গা‌ড়ি ভাঙচুর কর‌ছে, আগুন দি‌য়ে গা‌ড়ি পোড়‌াচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ডতো সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ‌্য নির্বাচ‌নে বাধা বিপত্তি। সুতরাং নিষেধাজ্ঞা এলে বিএন‌পি ও তা‌দের দোসর‌দের ওপর আস‌বে। তারাই নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার একমাত্র যোগ‌্য।

সেতুমন্ত্রী বলেন, সারা‌দেশে নিবাচনী আমেজ বইছে। জনগণ এখন নির্বাচন মুখী। তারা‌ ভোট দি‌তে প্রস্তুত। ফ‌লে যারা (বিএন‌পি) নির্বাচনে বাধা বিপত্তি কর‌বে তা‌দের‌কে নির্বাচনমু‌খী স্বতঃস্ফূর্ত ভোটররাই প্রতিহত কর‌বে।

ডেনমার্কে পবিত্র কোরআন পোড়ানো নিষিদ্ধ করে আইন পাস

অনেক আলোচনা-সমালোচনা আর বিতর্কের পর অবশেষে পবিত্র কোরআন বা অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানোর মতো কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করতে আইন পাস করেছে ডেনমার্ক। ওই আইনে ডেনমার্কের পার্লামেন্ট ধর্মীয় গ্রন্থের প্রতি ‘অনুপযুক্ত আচরণ’ নিষিদ্ধ করেছে।

মূলত এই আইন বা বিলটি ইউরোপের এই দেশটিতে কোরআন আইন হিসাবে ব্যাপকভাবে পরিচিত। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পবিত্র কোরআন বা অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানোর মতো কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার এই আইনের পক্ষে ডেনমার্কের পার্লামেন্টে ভোট পড়ে ৯৪টি। আর বিপক্ষে ভোট পড়ে ৭৭টি। আর এতেই আইনটি পাস হয় এবং এই আইনের অধীনে অপরাধীদের এখন জরিমানা বা দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

বিবিসি বলছে, ইসলামের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন পোড়ানোর একের পর এক ঘটনার পর ডেনমার্কে এই আইন পাস করা হলো। মূলত একের পর এক কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় বিশ্বজুড়ে মুসলিম দেশগুলোতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল।

ডেনমার্ক এবং প্রতিবেশী সুইডেনে সাম্প্রতিক সময়ে বিতর্কিত এই ধরনের উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। আর এটি ইউরোপের স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলে নিরাপত্তা উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দেয়।

এর আগে গত আগস্টে ডেনমার্কের সরকার জানায়, আগুনে পুড়িয়ে বা অন্য কোনও উপায়ে কেউ যেন পবিত্র কোরআন অবমাননা না করতে পারেন- সেজন্য একটি আইন প্রস্তাব করতে যাচ্ছে তারা। এরমাধ্যমে কথিত বাকস্বাধীনতার নামে প্রকাশ্যে কেউ কোরআন পোড়াতে পারবে না।

মূলত কোরআন অবমাননার জেরে মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে ডেনমার্কের সম্পর্কের উত্তেজনা দেখা দেয়। সেই উত্তেজনা প্রশমনে এমন উদ্যোগ নেয় দেশটি। আর তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার দেশটিতে পবিত্র কোরআন পোড়ানো নিষিদ্ধ করে আইন পাস হলো।

অবশ্য ডেনমার্ক ছাড়াও ইউরোপের আরেক দেশ সুইডেনেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অসংখ্যবার কোরআন অবমাননার ঘটনা ঘটেছে। কেউ কেউ পাতায় আগুন লাগিয়ে অথবা পাতা ছিঁড়ে পবিত্র এ ধর্মগ্রন্থ অবমাননা করেছেন। এসব ঘটনার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে মুসলিম দেশগুলো।

বিবিসি বলছে, পবিত্র কোরআন পোড়ানো বা অবমাননা বন্ধে ডেনমার্কের মতো সুইডেনের সরকারও একই ধরনের আইনের কথা বিবেচনা করছে। এছাড়া ডেনমার্ক এবং সুইডেন উভয়েই ব্লাসফেমি আইন বাতিল করেছে।

পাঁচ বিশিষ্ট নারী পাচ্ছেন বেগম রোকেয়া পদক

সমাজে বিশেষ অবদান রাখার জন্য পাঁচ বিশিষ্ট নারী পাচ্ছেন ‘বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩’। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এ তথ্য জানান। ৯ ডিসেম্বর ‘বেগম রোকেয়া দিবস ও বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩’ প্রদান উপলক্ষ্যে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

সম্মেলনে জানানো হয়, পদকপ্রাপ্ত পাঁচ বিশিষ্ট নারী ও তাদের অবদানের ক্ষেত্র হলো—নারী শিক্ষায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য খালেদা একরাম, মরণোত্তর (ঢাকা জেলা)। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় ডা. হালিদা হানুম আখতার (রংপুর জেলা)। নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা, মরণোত্তর (নেত্রকোনা জেলা)। নারী জাগরণে উদ্বুদ্ধকরণে নিশাত মজুমদার (লক্ষ্মীপুর জেলা) এবং পল্লি উন্নয়নে রনিতা বালা (ঠাকুরগাঁও জেলা)।

সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৯ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবস ও বেগম রোকেয়া পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করবেন। পদকপ্রাপ্তরা ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পদক গ্রহণ করবেন। পদকপ্রাপ্তদের ১৮ ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম স্বর্ণ নির্মিত একটি পদক, পদকের রেপ্লিকা, প্রত্যেককে ৪ লাখ টাকার চেক ও সম্মাননাপত্র প্রদান করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান ও প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

এক লাখ টাকা করে পাবেন ‘ফিরে আসা’ ৩১৪ চরমপন্থী

দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একসময় বেশ কয়েকটি চরমপন্থি দল লুটতরাজ, জিম্মি, অপহরণ, খুনসহ বিভিন্ন ধরণের অপরাধের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চেয়েছিল। নব্বইয়ের দশকে এসব অঞ্চলে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার খুন সংগঠিত হয় চরমপন্থিদের হাতে। সময়ের পরিক্রমায় চরমপন্থিদের সৃষ্ট ত্রাসের রাজত্ব র‌্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্রমাগত অভিযানে ভেঙে পড়ে। চরমপন্থিদের অনেকে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান, অনেকে অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। অপরাধ জগৎ থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাওয়া এসব চরমপন্থির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয় র‌্যাব।
এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ২১ মে র‌্যাবের তত্ত্বাবধানে টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর এবং রাজবাড়ী জেলার ৩১৪ জন চরমপন্থি ২ শতাধিক অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করতে উদ্যোগী হয় র‌্যাব। ‘উদয়ের পথে’ নামক পাইলট প্রোগ্রামের মাধ্যমে তাদের হস্তশিল্প প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন বৃত্তিমূলক ও কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। এবার পুনর্বাসনের জন্য প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে দেয়া হবে। আগামী ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জে (র‌্যাব-১২) গিয়ে তাদের হাতে চেক হস্তান্তর করবেন র‌্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আত্মসমর্পণ করা চরমপন্থিদের পুনর্বাসনের জন্য আর্থিক সহযোগিতার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করেন র‌্যাবের ডিজি অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন। পরে প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি সদয় বিবেচনা করে তার ‘ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল’ থেকে ৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা অনুদান মঞ্জুর করেন। আত্মসমর্পণকৃত চরমপন্থিদের স্বাভাবিক পেশায় জীবিকা নির্বাহের সুযোগ সৃষ্টি এবং যারা এখনো আত্মসমর্পণ করেননি তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসায় উৎসাহিত করতেই প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এই আর্থিক সহায়তা মঞ্জুর করা হয় বলেও জানান এই র‌্যাব কর্মকর্তা।
র‌্যাব সদর দপ্তর জানায়, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অপরাধ নির্মূলে চরমপন্থিদের আত্মসমর্পণ এবং আর্থিক, মানবিক ও প্রশিক্ষণ সহায়তাসহ বিভিন্ন ধরণের সহযোগিতার মাধ্যমে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে এনে একটি

যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত স্থাপন করে র‌্যাব। আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থিদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে দায়েরকৃত মামলার মধ্যে খুন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ ব্যতিত অন্যান্য মামলা যথাযথ আইনানুগ প্রক্রিয়ায় প্রত্যাহার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

মেট্রোরেলের টিএসসি-বিজয় সরণি স্টেশন চালু ১৩ ডিসেম্বর

মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিজয় সরণি স্টেশন চালু হচ্ছে আগামী ১৩ ডিসেম্বর। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক গণমাধ্যকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বর্তমানে আগারগাঁও-মতিঝিল রুটে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল করছে। তবে এমআরটি পাসধারীরা দুপুর ১২টা পর্যন্ত মেট্রোরেলে চলাচল করতে পারেন। বর্তমানে প্রতি শুক্রবার বন্ধ থাকে মেট্রোরেল চলাচল।

উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় ফার্মগেট, সচিবালয় ও মতিঝিল স্টেশন চালু হয়।

রাশিয়া বাংলাদেশে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে থাকবে : রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত

জাতিসংঘ ছাড়া অন্য কোনো দেশের নিষেধাজ্ঞা আমলে নেওয়ার কিছু নেই। পশ্চিমা বিশ্ব বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিলে ওই পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকা-মস্কো আলোচনা করবে। বাংলাদেশে যেকোনো ধরনের মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে থাকবে রাশিয়া।
জাতীয় প্রেসক্লাবের গতকাল স্বাধীনতা সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত ‘টকস উইথ অ্যাম্বাসাডর’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ঢাকাস্থ রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি। তিনি বলেন, পশ্চিমা দুনিয়াসহ অন্য যেকোনো দেশের নিষেধাজ্ঞাকে আমরা স্বীকৃতি দেই না। আমরা যেকোনো ধরনের অবৈধ নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে। আমরা শুধু জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা হলে সেটিকে স্বীকৃতি দেই। যদি ওই ধরনের কোনো সমস্যা হয়, আমরা আলোচনা করব। আমরা কী ধরনের সহযোগিতা করতে পারি সেটি রাশিয়ান সরকার এবং আমাদের অন্যান্য ইনস্টিটিউশন মিলে আলোচনা করব। রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমারা সরব থাকলেও ফিলিস্তিন ইস্যুতে তারা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ভূমিকা নিয়েছে। কেননা তারা অভিযোগ করেছিলেন, ইউক্রেনে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে, এটা নিয়ে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তবে অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনে ছয় হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। এটা নিয়ে তাদের কোনো উদ্বেগ নেই।
মান্টিটস্কি বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যুতে রাশিয়া ও বাংলাদেশের পজিশন একই। এক প্রশ্নের জবাবে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, স্যাটেলাইট স্থাপনে বাংলাদেশ সরকার যে দেশকে ভালো অংশীদার মনে করবে, তাকেই বেছে নেবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের কিছু বলার নেই। অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়া যে অবদান রেখেছিল, সেই অবদান কোনোভাবেই পরিশোধ করা যাবে না। বর্তমান ভূ-রাজনীতিতে আমাদের পক্ষে রাশিয়াকে প্রয়োজন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা ট্রিবিউনের কূটনৈতিক রিপোর্টার শেখ শাহরিয়ার জামান।

ভোটাররা যাতে ভোট দিতে পারেন সেদিকে লক্ষ্য রাখুন : প্রধানমন্ত্রী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দুইদিনের সফরে বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অবিরাম বৃষ্টির মধ্যে সড়কপথে বিকেল ৪টায় টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে প্রথমেই তিনি যান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারে এবং তার সমাধিবেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় তাকে তিন বাহিনীর পক্ষ তাকে গার্ড অব অনার প্রদর্শন করা হয়। এরপর তিনি সেখানে পবিত্র ফাতেহাপাঠ, দোয়া ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
এ সময় বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান ও সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাবুদ্দিন আজম, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ আবুল বশার খায়ের ও সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ, গোপালগঞ্জ পৌর মেয়র শেখ রকিব হোসেন ও টুঙ্গিপাড়া পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুলসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
পরে সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী চলে যান তার নিজ বাড়িতে এবং বিকেল সাড়ে ৫টায় সেখানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগ, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও টুঙ্গিপাড়ার পাঁচ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আধাঘণ্টার এক চা-চক্রে মিলিত হন। এ সময় তিনি সেখানে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সকল ভোটাররা যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন, সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে জানা গেছে। সন্ধ্যা ৬টায় চা-চক্র শেষ হয়।
নেতৃবৃন্দ আরও জানিয়েছেন, রাতে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাড়িতেই থাকবেন। আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় প্রধানমন্ত্রী যাবেন কোটালীপাড়ায়। সেখানে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সড়কপথেই ঢাকায় ফিরবেন।