বুধবার, ডিসেম্বর ৪, ২০২৪
Google search engine
Home Blog

ওত পেতে আছে ‘স্প্রে পার্টি’, অটোরিকশায় সাবধান

এম কে তুহিন
মিষ্টি একটি সুবাস। তারপর আর কিছু মনে নেই। যখন একটু চেতনা ফেরে তখন দেখেন সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সা, দামি জিনিসপত্র গায়েব। সিলেটে প্রায় প্রতিদিনই এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হচ্ছেন সিএনজি অটোরিকশাযাত্রীদের অনেকেই। ‘স্প্রে পার্টি’ খপ্পরে পড়ে দামি জিনিসপত্র খোয়ালেও প্রতিকার মিলছে না। এমন ঘটনা ঘটছেই।
সিলেট নগরীতে গণপরিবহন বলতে কিছু নেই। পথ চলতে অনেক ক্ষেত্রে সিএনজি অটোরিকশাই ভরসা নগরবাসীর। এটিকেই সুযোগ হিসেবে নিয়েছে সিএনজি অটোরিকশা চালকের একটি চক্র। দিনে কিংবা রাতে টার্গেট করা ব্যক্তিকে অটোরিকশায় তুলে নেন। যাত্রী হিসেবে থাকেন ওই চক্রেরই আরো দুই সদস্য। তারা কৌশলে ‘টার্গেট’কে বসিয়ে দেন অটোরিকশার পেছনের সিটের মাঝখানে। দুই পাশে বসেন চক্রের সেই দুই সদস্য। কিছুদুর যাওয়ার পর কখনও ‘স্প্রে’ ব্যবহার করে আবার কখনও তেল বা সুগন্ধিজাতীয় চেতনানাশক ব্যবহার ঘোরের মধ্যে ফেলেন ওই যাত্রীকে। কিছুসময় ‘বেখবর’ হয়ে যান টার্গেট করা যাত্রীটি। এই সময়ের মধ্যেই তার সাথে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নিয়ে অটোরিকশা থেকে নেমে পড়েন চক্রের এক সদস্য। কিন্তু কিছুই টের পান না ভুক্তভোগী। আরও কিছু দূর গিয়ে কোনো এক অজুহাতে যাত্রীকে নামিয়ে দিয়ে দ্রুতই সরে পড়েন অটোরিকশা চালক। তখনও ওই যাত্রীর ঘোর পুরোপুরি কাটেনি। ধীরে ধীরে যখন স্বাভাবিক হতে থাকেন, মনে পড়ে মোবাইল ফোনের কথা। পকেটে বা হ্যান্ডব্যাগে হাত দিয়ে দেখেন মোবাইল ফোন নেই, টাকা-পয়সা , জিনিসপত্রও গায়েব। তখন আর কিছুই করার থাকে না। সিএনজি অটোরিকশা তো কখনই হাওয়া হয়ে গেছে।
এমন ঘটনা নিয়মিতই ঘটছে নগরীর বন্দরবাজার-হুমায়ুন রশীদ চত্বর, পুলেরমুখ- টুকেরবাজার, আম্বরখানা- হুমায়ুন রশীদ চত্বর, আম্বরখানা-বন্দরবাজার, আম্বরখানা-টিলাগড়, আম্বরখানা-টুকেরবাজার, টিলাগড়- মেজরটিলাসহ সিএনজি অটোরিকশার বিভিন্ন রুটে। কোন কোন ক্ষেত্রে নীরবে সহ্য করছেন। কেউ কেউ অভিযোগ করেও প্রতিকার পান না। আবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে তারা কোনো অভিযোগ পায় না। কার কাছে বিচার দেবেন ভুক্তভোগীরা? মনের দুঃখ তাই তুলে ধরেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
দৈনিক আধুনিক কাগজের কাছে এরকমই এক অভিজ্ঞতার গল্প বললেন ভুক্তভোগী আমজাদ হাসান ফাহিম। তিনিও খপ্পরে পড়েছিলেন ‘স্প্রে পার্টি’র। সে ঘটনার বর্ণনা দেন তিনি এভাবে,

আমি রাত ৮ ঘটিকার সময় বন্দর বাজার থেকে সোবহানীঘাট যাওয়ার জন্য একটি সিএনজিতে উঠি। ড্রাইভারের পাশে একজন এবং গাড়ির পিছনের সিটে আরো দুই জন যাত্রী ছিলেন। ধোপাদিঘীর পার যাওয়ার পর গাড়ির ড্রাইভার বলল গাড়ির চাকায় কি একটা সমস্য হচ্ছে গাড়ি থেকে নামার জন্য। আমি নামলাম। আমার সাথে আমার ল্যাপটপ ছিল সাথে আরো দুটি ব্যাগ। ড্রাইভার বলল ব্যাগগুলো পিছনে রেখে গাড়িতে ধাক্ষা দেওয়ার জন্য। গাড়িতে ধাক্ষা দিয়ে যখন গাড়িতে উঠছিলাম তখন আমার পাশেরজন বলল, ভাই আপনি মাঝখানে চলে যান, আমার মাঝখানে বসতে সমস্যা হচ্ছে। আমার বমির ভাব হচ্ছে। পরে গাড়িটি ছাড়ার পর সোবহানীঘাট পয়েন্ট পার হওয়ার সাথে সাথে আমার পাশে থাকা ব্যক্তি বলল, গাড়ি থেকে পোড়া পোড়া গন্ধ বের হচ্ছে বলেই একটা ‘প্রে’ বের করে মারতে থাকে। সাথে সাথে মনে হচ্ছিল আমার জানি কি হয়ে যাচ্ছে। আমি ড্রাইভারকে বললাম গাড়িটি থামানোর জন্যে কিন্তু ড্রাইভার গাড়িটি থামাচ্ছিলেন না। পরে আমি লাফ দিয়ে গাড়ি থেকে নেমে যাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু সামনে বসা ব্যক্তি আমি যাতে না নামতে পারি তার জন্যে হাত দিয়ে আমাকে ধরে রাখার চেষ্টা করে। আমি জোড় করে নামার সময় আমার পাশে থাকা ব্যাক্তি আমার মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। পরে তারা চলে যায়।
আরেক ভুক্তভোগী আদৃতা পিংকি বলেন, আমি বাসা থেকে বের হয়ে বন্দর যাওয়ার জন্য সিএনজিতে উঠি। সিএনজিতে একজন বোরকা পড়া আন্টি ছিলেন। আম্বরখানা ক্রস করার পর হঠাৎ আন্টি উনার হিজাবটা খুলে মাথায় তেল দেওয়া শুরু করলেন। উনার তেল দেওয়া দেখে আমি অবাক হই। কারণ উনি যেহেতু পর্দা করেন তো পর্দা খুলে কেন মাথায় তেল দিতে যাবেন। তেলের সুগন্ধিটা এত কড়া যা আমার নাকে আসার সাথে সাথে আমার ঘুম চলে আসছে। তখন আমার হঠাৎ মনে হল আমি যদি ঘুমিয়ে যাই আমার ফোনটা পড়ে যায়। আমার শরীর খারাপ করায় আমি ড্রাইভারকে বলি আমাকে নামিয়ে দেওয়ার জন্য কিন্তু। আমার একটাই খারাপ লাগতেছিল যে আমি জুরে বলতেও পারতেছিলাম না আমাকে নামিয়ে দেওয়ার জন্য। ড্রাইভার কোন ‘রেসপন্স’ করতেছিলেন না। চৌহাট্টা যাওয়ার পর আমি জ্যামে আটকা পড়া অবস্থায় নেমে যাই। ড্রাইভার হঠাৎ করে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করেন। আমি কেন বন্দর বলে চৌহাট্টা নেমে যাচ্ছি। আমি টাকা দিছি উনি নেয়নি। পওর াইম পানি ক্রয় করে মাথায় ও মুখের মধ্যে দেই। দিয়ে বাসায় চলে আসি। বাসায় আসার পরও আমার মাথা ভার ছিলো। শরীরটা অনেক খারাপ ছিলো।
আম্বরখানা-সালুটিকর উপ-পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, গত দুই মাস থেকে শহরে ‘স্প্রে পার্টি’ নামে একটি চক্র সিএনজি অটোরিকশাকে ব্যবহার করে যাত্রীদের সাথে থাকা টাকাপয়সাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে। এটা আগে এই শহরে ছিলোনা। আমরা এ বিষয়ে সজাগ ইছ। আমরা যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য যা যা করার তা করব।
আম্বরখানা-সালুটিকর উপ-পরিষদের সভাপতি আব্দুল মন্নান বলেন, এ বিষয়ে আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে দফায় দফায় মিটিং করেছি। আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের বলে দিয়েছি অপরিচিত কাউকে এই রুটে পেলে তার নেতার সাথে কথা বলে তার পরিচয় শনাক্ত করে তাকে ছেঢ়ে দেওয়া। আবার আমার শ্রমিক যদি কেউ জড়িত হয় একাজে আমরা তাকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে সকলকে সহযোগীতা করব।
সিলেট মহানগরের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাইফুল ইসলাম বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরাও দেখেছিলাম এবং এরকম ‘প্রে’ প্রয়োগ করার সংবাদগুলে সিলেটের সাধারণ মানুষ ফেসবুক ভাইরাল কার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি। পরবর্তীতে আমরা আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রেখেছি। যাতে এ ধরনের কার্যক্রম যারা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি। যদি কোন যাত্রী সিএনজিতে উঠার পর যাত্রী বা কারো আচরণ সন্দেহজন মনে হয় অবশ্যই আমদের ট্রাফিকপুলিশ সদস্যদের নহায়তা যেন গ্রহণ করেন। আমরা অনেককেই বলেছি আপনার কোন সমস্যায় থানায় যান, পুলিশের কাছে যান, অথিযোগ করুন, সময়টা ও স্থানটা আমাদের কাছে বলুন। হেহেতু আমরা আইপি ক্যামেরার মাধ্যমে সিলেট নগরে সানুষের গতিবিধি বা গাড়ির নাম্বারটা সনাক্ত করতে পারি। যদি আমরা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাই আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব। আমরা জানিনা আসলে এই চক্রে কতজন আছে। প্রকৃতঅর্থে তাদেরকে আইনের আওয়ায় এনে কারা আছে এটা শনাক্ত করতে পারব। এখন পর্যন্ত আমরা কোন অভিযোন পাইনি। শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারব।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের নতুন কমিশনার জাকির হোসেন খান

স্টাফ রিপোর্ট
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) নতুন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের ডিআইজি মো. জাকির হোসেন খান।
সোমবার নতুন কমিশনার ও এসপি নিয়োগের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে ইসি।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের ডিআইজি মো. জাকির হোসেন খান সদ্য বদলি হওয়া সিলেট মহানগরের পুলিশ কমিশনার মো. ইলিয়াছ শরীফের স্থলাভিষিক্ত হবেন। মো. ইলিয়াছ শরীফকে পিবিআইয়ের ডিআইজি করা হয়েছে।
এরআগে, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) কমিশনার মো. ইলিয়াছ শরীফকে প্রত্যাহার করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবের মাধ্যমে সিলেটসহ দুই পুলিশের কমিশনার এবং পাঁচ জেলার পুলিশ সুপারদের (এসপি) অন্যত্র বদলির জন্য ইসিতে এই প্রস্তাব করা হয়েছিল। এরমধ্যে সিলেট রেঞ্জের হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলীকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার পদে বদলি করা হয়েছে। আর হবিগঞ্জে নতুন এসপি হিসেবে যাচ্ছেন ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার আক্তার হোসেন।
গত রোববার সকালে ইসির উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমানের স্বাক্ষর করা এ সংক্রান্ত নির্দেশনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে পাঠানো হয়। পরে সোমবার নতুন কমিশনার ও এসপি নিয়োগের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে ইসি।

শাবিপ্রবিতে শুরু  হতে যাচ্ছে ৩ দিন ব্যাপী বইমেলা

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে  (শাবিপ্রবি) শুরু হতে যাচ্ছে  ‘জিয়া পাঠশালা’ নামে তিনদিন ব্যাপী বইমেলা।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বইমেলার আয়োজক ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈম সরকার।

বইমেলাটি ৫ ডিসেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জুনতলায় অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানানো হয়।

বইমেলার আয়োজক নাঈম সরকার বলেন, ‘জিয়া পাঠশালা একটি ব্যতিক্রমধর্মী চ্যারিটি বুক স্টল, যেখানে ১৯৭১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস নিয়ে লেখা বিভিন্ন ধরনের বই পাওয়া যাবে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো জাতির ইতিহাসকে সংরক্ষণ ও তা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাঠশালার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এর মানবিক উদ্দেশ্য। এখানে বিক্রি হওয়া বইয়ের পুরো আয় জুলাই-আগস্ট মাসে আহত ও বিপদগ্রস্ত মানুষের সেবায় ব্যয় করা হবে। এখানে শিক্ষার্থীরা বই পড়ার পাশাপাশি বই ক্রয় করতে পারবে।’

শাবিপ্রবিতে স্মার্ট রিক্রুটমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যারের চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন

মাইন উদ্দিন, শাবি প্রতিনিধি:

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্মার্ট রিক্রুটমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যারের চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ১ কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে এ চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন এবং সফটওয়্যার তৈরি কারী প্রতিষ্ঠান InfancyIT পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মো. আবু শাহরিয়ার রাতুল চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিপ্রার্থীদের চাকুরীর আবেদনের ভোগান্তি দূর করতে সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সফটওয়্যারটির বিস্তারিত তুলে ধরেন।

এ-সময় তিনি বলেন career.sust.edu ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে ব্যক্তিগত প্রোফাইলসহ জীবনবৃত্তান্ত তৈরির ব্যবস্থাসহ আবেদন সংশ্লিষ্ট সকল প্রক্রিয়া সম্পাদন করা যাবে।

এখন থেকে এই ওয়েব পোর্টালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব চাকরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে এবং এর মাধ্যমে আবেদন করা যাবে, একই সাথে ব্যাংকে যাওয়ার পরিবর্তে বিকাশ, রকেটের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করা যাবে। চাকরিপ্রার্থী যে পোস্টে আবেদন করেছেন সে পোস্টে যোগ্য হলে নোটিফিকেশন যাবে ইমেইল।

এছাড়া তিনি উল্লেখ করেন, বিভিন্ন পোস্টের জন্য একজন প্রার্থীকে বারবার একই ডাটা ইনপুট দিতে হবে না । প্রতিবার আবেদনের জন্য অতিরিক্ত পরিশ্রম ও সময় অপচয় রোদ হবে। নির্মিত সফটওয়্যারটি ব্যবহারের ফলে আবেদনকারীদের ভোগান্তি যেমন কমবে তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্মঘন্টা বেচে যাবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির, ডেপুটি রেজিস্ট্রার আ ফ ম মিফতাউল হক, ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. এ এফ এম সালাউদ্দিন।

“দিরাইয়ে ৩১ দফা ও আগামীর বাংলাদেশ নিয়ে মতবিনিময়”

দিরাই প্রতিনিধি:

দিরাই সরকারি কলেজে তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে “সাম্য ও মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের চোখে আগামীর ছাত্র রাজনীতি ও নতুন বাংলাদেশ” শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম কার্দি, সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, দিরাই উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবু হাসান চৌধুরী সাজু ও সদস্য সচিব তানভীর চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও দিরাই সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক সালমান মিয়া ও সদস্য সচিব মুবিন চৌধুরীসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা মতবিনিময়ে অংশ নেন। শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত এ সভায় আগামীর ছাত্র রাজনীতি এবং সাম্য ও মানবিক বাংলাদেশের রূপরেখা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।

শাবিতে অর্থনীতি বিভাগের নতুন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল

শাবি প্রতিনিধি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের নতুন বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগদান করেছেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। তিনি আগামী তিন বছর বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন।

আজ ২৪ নভেম্বর (রবিবার) সামাজিক বিজ্ঞান ভবনে সদ্য সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমদ তার নিকট বিভাগের দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।

দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাজেদুল করিম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাজেদুল করিম অর্থনীতি বিভাগের সাথে দীর্ঘ সময়ের সখ্যতার কথা উল্লেখ্য করে বলেন, “অর্থনীতি বিভাগের সাথে আমার যাত্রা পারবারিক যাত্রার মতোই।আমি আজ এখানে প্রধান অতিথি হিসেবে আসিনি,এসেছি অর্থনীতি পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে।অধ্যাপক জহীর উদ্দীন আহমদ একাধারে বেশকিছু গুরু দায়িত্ব সুক্ষ্মভাবে পালন করার মাধ্যমে তার সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছেন।” এছাড়াও তিনি নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের প্রতি অর্পিত দায়িত্ব সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার আশা ব্যক্ত করেন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ফিজিক্যাল সাইন্স অনুষদের ডিন এবং ভর্তি কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. সৈয়দ বদিউজ্জামান ফারুক এবং অর্থনীতি বিভাগের সকল শিক্ষকবৃন্দ।

এসময় অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ সাবেক বিভাগীয় প্রধানের বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যত জীবনের জন্য শুভকামনা জানান।পাশাপাশি নতুন বিভাগীয় প্রধানের জন্য শুভকামনা জানিয়ে সকল কাজে পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

একইদিনে বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা সাবেক বিভাগীয় প্রধানকে সম্মাননা স্মারক প্রধান করেন এবং নবনিযুক্ত প্রধানকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।

সাবেক কাউন্সিলর লায়েক রাজধানী থেকে নারীসহ গ্রেপ্তার

সুমি বলছেন ‘স্ত্রী’ রুমি বলছেন ‘না’

মিঠু দাস জয়, আহমেদ সবুজ:

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ লায়েককে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। শুক্রবার (২২ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার সাথে এক নারীও ছিলেন। সুবর্ণা খান সুমি (২৫) নামের ওই নারী পুলিশের কাছে নিজেকে লায়েকের স্ত্রী দাবি করেছেন। সুমি কাজলশাহ এলাকার ইউসুফ খানের মেয়ে। তবে লায়েকের স্ত্রী নাসিমা আক্তার রুমি এ দাবি নাকচ করে দিয়েছেন। সাবেক কাউন্সিলর লায়েকেরবিরুদ্ধে সিলেটের বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তিনি সিলেট মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং নগরীর মুন্সিপাড়া এলাকার ১৯১ নম্বর বাসার মৃত আব্দুর রশীদের ছেলে।
পুলিশসূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাসহ বিভিন্ন থানায় সাবেক কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ লায়েকের বিরুদ্ধে ১৩ মামলা রয়েছে। ৫ আগস্টের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে লায়েককে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার সিলেটে নিয়ে আসার পর অসুস্থতা বোধ করলে তাকে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। চিকিৎসা শেষে বর্তমানে তাকে কোতোয়ালি থানায় রাখা হয়েছে। রবিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত ১৩ মামলার আসামি সাবেক কাউন্সিলর লায়েককে গ্রেপ্তার করেছি আমরা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আগামীকাল তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন কারণে একাধিকবার সমালোচিত হয়েছেন আবুল কালাম আজাদ লায়েক। ২০২০ সালের ১ এপ্রিল করোনাকালে রাতের আধারে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের খাদ্য ফান্ডের ১২৫ বস্তা চাল জোর করে নিজ বাসায় নিয়ে যান কাউন্সিলর লায়েক। বিষয়টি জানাজানি হলে সিসিক কর্তৃপক্ষ ৩ এপ্রিল লায়েকের বাসা থেকে চাল উদ্ধার করে। ২০২১ সালের ২৩ এপ্রিল লায়েকের বাসা ও কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। ওই বছরের ৮ জুন সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে স্থানীয় সাংবাদিক সোয়েব বাসিত জানান, মুন্সীপাড়ার মসজিদ ও ক্লাব কমিটি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে কাউন্সিলর লায়েক নিজেই তার বাসা ও অফিস ভাঙচুর করিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে ১৩ জুন পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন লায়েক। সেই সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলে দাবি করেন তিনি। ২০২২ সালের ২২ অক্টোবর উত্তরাধীকার সনদ প্রদানের জন্য এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠে লায়েকের বিরুদ্ধে। এ সংক্রান্ত অডিও ও ভিডিও ক্লিপ সে সময় ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এছাড়াও জনসাধারণ এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে চরম দুর্ব্যবহারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে কাউন্সিলর লায়েকের বিরুদ্ধে। ৩ নং ওয়ার্ডে তিনি ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েঝে। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন লায়েক। অবশেষে শুক্রবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন তিনি। তার গ্রেপ্তারের খবরে স্বস্তি ফিরে এসেছে মুন্সীপাড়ায়। এলাকার বাসিন্দারা উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন তার গ্রেপ্তারে।

সিলেট মহানগর বিএনপি ও জেলা, মহানগর যুবদল নেতৃবৃন্দকে সংবর্ধনা

সিলেট নগরীর ৪২ নং ওয়ার্ড বিএনপি,যুবদল ও ছাত্রদলের পক্ষ থেকে নর্ব-গঠিত সিলেট মহানগর বিএনপি ও জেলা,মহানগর যুবদলের নেতৃবৃন্দকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় সিলেট মহানগর বিএনপির সদস্য বজলুর রহমান ফয়েজ এর বাড়িতে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

সিলেট মহানগর বিএনপি সদস্য বজলুর রহমান ফয়েজ,যুবদলের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম ,জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো ফাহিম, মহানগর যুবদলের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো সাজ্জাদুর রহমান,সহ-যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আহাদকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নেতৃবৃন্দ।

এ সময় বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছরের স্বৈরশাসনের পর আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। আর এই নতুন সময়ে সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই দুই কমিটিতে একঝাঁক তারুণ্যদীপ্ত নেতা স্থান পেয়েছেন, যারা গত ১৫টি বছর হামলা-মামলায় জর্জরিত ছিলেন। দলের জন্য জীবনের সর্বোচ্চটুকু উজাড় করে দিয়েছেন তারা। তাদের কাছ থেকে সমাজ অনেক ভালো কাজ উপহার পাবে, সেই সঙ্গে দল পেয়েছে একটি বলিষ্ট নেতৃত্বের হাত। আগামী দিনে সিলেটে যুবদলের সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও বেগবান হবে নিশ্চয়।

আরো বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা জাসাস যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক কুচাই ইউনিয়ন বিএনপি’র সহ-সভাপতি জামাল আহমদ মেম্বার,গিয়াস উদ্দিন,আতিকুর রহমান,শামিম সিদ্দিকী,আলি আহমেদ ,শাহাব উদ্দিন সাবুল,আব্দুর রহমান,সোহেল আহমদ,সামু মিয়া,নজরুর ইসলাম,আশরাফ উদ্দিন আলিম, আব্দুল রাজ্জাক,আব্দুল মালেক,বোরহান উদ্দিন,সেলিম আহমেদ,সানু মিয়া,জাবেদ আহমেদ,সুহেল আহমেদ,রাজু মিয়া,জাকারিয়া,সহ উপস্থিত ছিলেন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ সংযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

গোলাপগঞ্জে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে ফ্রি ডায়াবেটিস ক্যাম্প ও র‍্যালি

আধুনিক ডেস্ক:

সিলেটের গোলাপগঞ্জে ‘সুস্বাস্থ্যই হোক আমাদের অঙ্গিকার’ স্লোগানকে সামনে রেখে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও ফ্রি ডায়াবেটিস ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতি অনুমোদিত গোলাপগঞ্জ ডায়াবেটিস সেন্টারের উদ্যোগে এস এস ফার্মেসীর সম্মুখ থেকে এ র‍্যালি বের হয়। র‍্যালিটি গোলাপগঞ্জ পৌর সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

এসময় ডায়াবেটিস প্রতিরোধে করণীয় সংক্রান্ত জনসচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। পরে বেলা ১১টায় উপজেলা ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের দত্তরাইল এলাকার মিশ্রপাড়ায় গোলাপগঞ্জ ডায়াবেটিস সেন্টারের পরিচালক ডা. শাহিন আহমেদ এর তত্ত্বাবধানে ফ্রি ডায়াবেটিস ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। ফ্রি ডায়াবেটিস ক্যাম্পে প্রায় দেড়শতাধিক মানুষকে বিনামূল্যে ঔষধ সহ ডায়াবেটিসের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।

এসময় র‍্যালি ও ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এ এম আব্দুর রহিম, গোলাপগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল মালিক, ইউপি সদস্য রেজাউল করিম রাজু, গোলাপগঞ্জ পৌরসভা কেমিস্ট ও ড্রাগিস্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছালিক আহমদ, সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালসের এরিয়া ম্যানেজার মিল্লাদ হোসেন টিটু, গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের এরিয়া ম্যানেজার বিদ্যুৎ ভূষন দেব, আলামিন ফার্মেসীর স্বত্তাধীকারী জাবেদ আহমদ ও সমাজসেবক নজরুল ইসলাম মিজান। এছাড়াও বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

সহপাঠীদের ভালোবাসায় সিক্ত এপিপি এডভোকেট খালেদ হোসেন

সিলেট সরকারি কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট, ডিপ্লোমা ইন কমার্স ৯৯ ব্যাচের সহপাঠীদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন উত্তর বিশ্বনাথ আমজদ উল্লা ডিগ্রি কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি ও সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নবনিযুক্ত সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট মো: খালেদ হোসেন।

শুক্রবার রাতে নগরীর কদম তলীস্হ একটি অভিজাত হোটেলে সিলেট সরকারি কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট, ডিপ্লোমা ইন কমার্স ৯৯ ব্যাচের সহপাঠীদের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এডভোকেট খালেদ হোসেনকে সংবর্ধিত করা হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী সহকারী অধ্যাপক খয়ের আহমদ। ৯৯ ব্যাচ শিক্ষার্থী রিকন পালের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, দৈনিক আধুনিক কাগজের সম্পাদক মঈন উদ্দিন। সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্য রাখেন এডভোকেট খালেদ হোসেন।

বক্তব্য রাখেন ৯৯ ব্যাচ শিক্ষার্থী বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ফখরুল ইসলাম রুমেল,দিলওয়ার হোসেন রানা,সমাজসেবী কাজী মিজান,শহীদ আহমদ,সুধাংশু দেব নাথ,সাংবাদিক এস এ শফি,তারেক আহমদ, মুক্তাদির আলম এপলু,জুবের আহমদ।

সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে সংবর্ধিত এডভোকেট খালেদ হোসেনকে ব্যাচের সহপাঠীদের পক্ষ থেকে ফুলের তোড়া ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি আন্দোলন, ওসমানীনগরে ইউপি চেয়ারম্যান মুছা আটক

ওসমানীনগর প্রতিনিধি:

সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা সাহেদ আহমদ মুছাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার গোয়ালাবাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের উপর হামলার ঘটনায় ২৩ আগস্ট গোলাপগঞ্জ থানায় দায়ের করা একটি মামলায় সাহেদ আহমদ মুছাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিকেল ৩টার দিকে গোয়ালাবাজার থেকে সিলেট ডিবি পুলিশের একটি দল চেয়ারম্যান সাহেদ আহমদ মুছাকে আটক করে সিলেটে নিয়ে যায় বলে নিশ্চিত করেন ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোনায়েম মিয়া।

এদিকে, ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সাহেদ আহমদ মুছার পদত্যাগের দাবিতে দিনভর আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে তার পদত্যগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। পরে বেলা ১১টার দিকে চেয়ারম্যানের পক্ষে শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল আসে কার্যালয়ের সামনে। এ সময় উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তখন উভয় পক্ষে হাতাহাতি হয়। এ সময় ওসমানীগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোনায়েম মিয়া, (তদন্ত ওসি) আরাফাত জাহান চৌধুরীসহ স্থানীয়রা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

শিক্ষার্থীদের দাবি, আওয়ামী লীগ নেতা চেয়ারম্যান সাহেদ আহমদ মুছার নেতৃত্বে গত ৫ আগস্ট তাদের ওপর হামলা করানো হয়। হামলার পর শেরপুর ব্রিজ বন্ধ করে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ আন্দোলনকারীদের তল্লাশি করেন। তখন তারা ব্রিজ দিয়ে না গিয়ে নৌকায় কুশিয়ারা নদী পাড়ি দিয়ে বাড়ি এসেছেন।

অন্যদিকে, স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মীরা ইউপি চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করার জন্য এবং চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত না করতে দু’পক্ষই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চেয়ারম্যান মুছা ছুটি নিয়ে ইউপি সদস্য সামসুল ইসলাম শামিমকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দিয়ে যুক্তরাজ্যে চলে যান। সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিলে তার পদত্যাগের দাবিতে ৪ নভেম্বর থেকে প্রতিদিন স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মীরা মিছিল করে আসছে।

দিরাইয়ে প্রমীলা ফুটবলার মৌ’র আত্মহত্যা

দিরাই, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে ‘স্বপ্নচূড়া’ স্পোর্টিং ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য প্রমীলা ফুটবলার মৌ রানী দাস মৌসুমীর (১৮) আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিজ বাড়ির কাচারি ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

মৌ রানী দাস উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের ভাঙ্গাডহর গ্রামের সুষেন দাসের কনিষ্ঠ মেয়ে।

এ ঘটনায় মৌ’র বাবা সুষেন দাস বলেন, ‘মৌ বৃহস্পতিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে পরিবারের সবার সঙ্গে সকালের নাস্তা করেছে। এসময় আমিও হাওরে ক্ষেতে (জমিতে) কাজ করতে যাই। পরে সকাল ১০ টার দিকে মেয়ের এমন মৃত্যুর সংবাদ শুনে আমি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ি।’

তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ের খুব স্বপ্ন ছিল সে একজন জাতীয় ফুটবলার হবে। তার স্বপ্নপূরণে আমিও যথাসাধ্য চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু স্বপ্ন পূরণের আগেই আমার মেয়ে ওপারে চলে গেল।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দিরাই স্বপ্নচূড়া স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে মৌ-এর ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু হলেও উপজেলা, জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়েও অনেকটা সাফল্য রয়েছে তার। এছাড়া তিনি ঢাকা ফুটবল লীগেরও নিয়মিত একজন খেলোয়াড় ছিলেন।

মৌ-এর এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার পরিবার, প্রতিবেশী ও সহপাঠী প্রমীলা খেলোয়াড়ের মাঝে।

শোক প্রকাশ করে একই ক্লাবের সহপাঠি খেলোয়াড় সুর্বনা আক্তার ইমা জানান, ‘মৌ খুব ভালো খেলোয়াড় ছিল। আমরা দীর্ঘদিন একইসাথে খেলাধুলা করেছি। কুমিল্লায় বিকেএসপির টিমে খেলতে গিয়ে একইসঙ্গে আমরা এক মাস ছিলাম।’

তিনি বলেন, ‘মৌয়ের স্বপ্ন ছিল সে একজন জাতীয় খেলোয়াড় হবে। তার সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়া আর সম্ভব নয়। তার আত্মার চিরশান্তি কামনা করছি।’

এ ব্যপারে দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরদর্শন করেছে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।