বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৭, ২০২৫
Google search engine
Home Blog

ওত পেতে আছে ‘স্প্রে পার্টি’, অটোরিকশায় সাবধান

এম কে তুহিন
মিষ্টি একটি সুবাস। তারপর আর কিছু মনে নেই। যখন একটু চেতনা ফেরে তখন দেখেন সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সা, দামি জিনিসপত্র গায়েব। সিলেটে প্রায় প্রতিদিনই এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হচ্ছেন সিএনজি অটোরিকশাযাত্রীদের অনেকেই। ‘স্প্রে পার্টি’ খপ্পরে পড়ে দামি জিনিসপত্র খোয়ালেও প্রতিকার মিলছে না। এমন ঘটনা ঘটছেই।
সিলেট নগরীতে গণপরিবহন বলতে কিছু নেই। পথ চলতে অনেক ক্ষেত্রে সিএনজি অটোরিকশাই ভরসা নগরবাসীর। এটিকেই সুযোগ হিসেবে নিয়েছে সিএনজি অটোরিকশা চালকের একটি চক্র। দিনে কিংবা রাতে টার্গেট করা ব্যক্তিকে অটোরিকশায় তুলে নেন। যাত্রী হিসেবে থাকেন ওই চক্রেরই আরো দুই সদস্য। তারা কৌশলে ‘টার্গেট’কে বসিয়ে দেন অটোরিকশার পেছনের সিটের মাঝখানে। দুই পাশে বসেন চক্রের সেই দুই সদস্য। কিছুদুর যাওয়ার পর কখনও ‘স্প্রে’ ব্যবহার করে আবার কখনও তেল বা সুগন্ধিজাতীয় চেতনানাশক ব্যবহার ঘোরের মধ্যে ফেলেন ওই যাত্রীকে। কিছুসময় ‘বেখবর’ হয়ে যান টার্গেট করা যাত্রীটি। এই সময়ের মধ্যেই তার সাথে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নিয়ে অটোরিকশা থেকে নেমে পড়েন চক্রের এক সদস্য। কিন্তু কিছুই টের পান না ভুক্তভোগী। আরও কিছু দূর গিয়ে কোনো এক অজুহাতে যাত্রীকে নামিয়ে দিয়ে দ্রুতই সরে পড়েন অটোরিকশা চালক। তখনও ওই যাত্রীর ঘোর পুরোপুরি কাটেনি। ধীরে ধীরে যখন স্বাভাবিক হতে থাকেন, মনে পড়ে মোবাইল ফোনের কথা। পকেটে বা হ্যান্ডব্যাগে হাত দিয়ে দেখেন মোবাইল ফোন নেই, টাকা-পয়সা , জিনিসপত্রও গায়েব। তখন আর কিছুই করার থাকে না। সিএনজি অটোরিকশা তো কখনই হাওয়া হয়ে গেছে।
এমন ঘটনা নিয়মিতই ঘটছে নগরীর বন্দরবাজার-হুমায়ুন রশীদ চত্বর, পুলেরমুখ- টুকেরবাজার, আম্বরখানা- হুমায়ুন রশীদ চত্বর, আম্বরখানা-বন্দরবাজার, আম্বরখানা-টিলাগড়, আম্বরখানা-টুকেরবাজার, টিলাগড়- মেজরটিলাসহ সিএনজি অটোরিকশার বিভিন্ন রুটে। কোন কোন ক্ষেত্রে নীরবে সহ্য করছেন। কেউ কেউ অভিযোগ করেও প্রতিকার পান না। আবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে তারা কোনো অভিযোগ পায় না। কার কাছে বিচার দেবেন ভুক্তভোগীরা? মনের দুঃখ তাই তুলে ধরেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
দৈনিক আধুনিক কাগজের কাছে এরকমই এক অভিজ্ঞতার গল্প বললেন ভুক্তভোগী আমজাদ হাসান ফাহিম। তিনিও খপ্পরে পড়েছিলেন ‘স্প্রে পার্টি’র। সে ঘটনার বর্ণনা দেন তিনি এভাবে,

আমি রাত ৮ ঘটিকার সময় বন্দর বাজার থেকে সোবহানীঘাট যাওয়ার জন্য একটি সিএনজিতে উঠি। ড্রাইভারের পাশে একজন এবং গাড়ির পিছনের সিটে আরো দুই জন যাত্রী ছিলেন। ধোপাদিঘীর পার যাওয়ার পর গাড়ির ড্রাইভার বলল গাড়ির চাকায় কি একটা সমস্য হচ্ছে গাড়ি থেকে নামার জন্য। আমি নামলাম। আমার সাথে আমার ল্যাপটপ ছিল সাথে আরো দুটি ব্যাগ। ড্রাইভার বলল ব্যাগগুলো পিছনে রেখে গাড়িতে ধাক্ষা দেওয়ার জন্য। গাড়িতে ধাক্ষা দিয়ে যখন গাড়িতে উঠছিলাম তখন আমার পাশেরজন বলল, ভাই আপনি মাঝখানে চলে যান, আমার মাঝখানে বসতে সমস্যা হচ্ছে। আমার বমির ভাব হচ্ছে। পরে গাড়িটি ছাড়ার পর সোবহানীঘাট পয়েন্ট পার হওয়ার সাথে সাথে আমার পাশে থাকা ব্যক্তি বলল, গাড়ি থেকে পোড়া পোড়া গন্ধ বের হচ্ছে বলেই একটা ‘প্রে’ বের করে মারতে থাকে। সাথে সাথে মনে হচ্ছিল আমার জানি কি হয়ে যাচ্ছে। আমি ড্রাইভারকে বললাম গাড়িটি থামানোর জন্যে কিন্তু ড্রাইভার গাড়িটি থামাচ্ছিলেন না। পরে আমি লাফ দিয়ে গাড়ি থেকে নেমে যাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু সামনে বসা ব্যক্তি আমি যাতে না নামতে পারি তার জন্যে হাত দিয়ে আমাকে ধরে রাখার চেষ্টা করে। আমি জোড় করে নামার সময় আমার পাশে থাকা ব্যাক্তি আমার মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। পরে তারা চলে যায়।
আরেক ভুক্তভোগী আদৃতা পিংকি বলেন, আমি বাসা থেকে বের হয়ে বন্দর যাওয়ার জন্য সিএনজিতে উঠি। সিএনজিতে একজন বোরকা পড়া আন্টি ছিলেন। আম্বরখানা ক্রস করার পর হঠাৎ আন্টি উনার হিজাবটা খুলে মাথায় তেল দেওয়া শুরু করলেন। উনার তেল দেওয়া দেখে আমি অবাক হই। কারণ উনি যেহেতু পর্দা করেন তো পর্দা খুলে কেন মাথায় তেল দিতে যাবেন। তেলের সুগন্ধিটা এত কড়া যা আমার নাকে আসার সাথে সাথে আমার ঘুম চলে আসছে। তখন আমার হঠাৎ মনে হল আমি যদি ঘুমিয়ে যাই আমার ফোনটা পড়ে যায়। আমার শরীর খারাপ করায় আমি ড্রাইভারকে বলি আমাকে নামিয়ে দেওয়ার জন্য কিন্তু। আমার একটাই খারাপ লাগতেছিল যে আমি জুরে বলতেও পারতেছিলাম না আমাকে নামিয়ে দেওয়ার জন্য। ড্রাইভার কোন ‘রেসপন্স’ করতেছিলেন না। চৌহাট্টা যাওয়ার পর আমি জ্যামে আটকা পড়া অবস্থায় নেমে যাই। ড্রাইভার হঠাৎ করে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করেন। আমি কেন বন্দর বলে চৌহাট্টা নেমে যাচ্ছি। আমি টাকা দিছি উনি নেয়নি। পওর াইম পানি ক্রয় করে মাথায় ও মুখের মধ্যে দেই। দিয়ে বাসায় চলে আসি। বাসায় আসার পরও আমার মাথা ভার ছিলো। শরীরটা অনেক খারাপ ছিলো।
আম্বরখানা-সালুটিকর উপ-পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, গত দুই মাস থেকে শহরে ‘স্প্রে পার্টি’ নামে একটি চক্র সিএনজি অটোরিকশাকে ব্যবহার করে যাত্রীদের সাথে থাকা টাকাপয়সাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে। এটা আগে এই শহরে ছিলোনা। আমরা এ বিষয়ে সজাগ ইছ। আমরা যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য যা যা করার তা করব।
আম্বরখানা-সালুটিকর উপ-পরিষদের সভাপতি আব্দুল মন্নান বলেন, এ বিষয়ে আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে দফায় দফায় মিটিং করেছি। আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের বলে দিয়েছি অপরিচিত কাউকে এই রুটে পেলে তার নেতার সাথে কথা বলে তার পরিচয় শনাক্ত করে তাকে ছেঢ়ে দেওয়া। আবার আমার শ্রমিক যদি কেউ জড়িত হয় একাজে আমরা তাকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে সকলকে সহযোগীতা করব।
সিলেট মহানগরের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাইফুল ইসলাম বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরাও দেখেছিলাম এবং এরকম ‘প্রে’ প্রয়োগ করার সংবাদগুলে সিলেটের সাধারণ মানুষ ফেসবুক ভাইরাল কার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি। পরবর্তীতে আমরা আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রেখেছি। যাতে এ ধরনের কার্যক্রম যারা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি। যদি কোন যাত্রী সিএনজিতে উঠার পর যাত্রী বা কারো আচরণ সন্দেহজন মনে হয় অবশ্যই আমদের ট্রাফিকপুলিশ সদস্যদের নহায়তা যেন গ্রহণ করেন। আমরা অনেককেই বলেছি আপনার কোন সমস্যায় থানায় যান, পুলিশের কাছে যান, অথিযোগ করুন, সময়টা ও স্থানটা আমাদের কাছে বলুন। হেহেতু আমরা আইপি ক্যামেরার মাধ্যমে সিলেট নগরে সানুষের গতিবিধি বা গাড়ির নাম্বারটা সনাক্ত করতে পারি। যদি আমরা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাই আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব। আমরা জানিনা আসলে এই চক্রে কতজন আছে। প্রকৃতঅর্থে তাদেরকে আইনের আওয়ায় এনে কারা আছে এটা শনাক্ত করতে পারব। এখন পর্যন্ত আমরা কোন অভিযোন পাইনি। শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারব।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের নতুন কমিশনার জাকির হোসেন খান

স্টাফ রিপোর্ট
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) নতুন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের ডিআইজি মো. জাকির হোসেন খান।
সোমবার নতুন কমিশনার ও এসপি নিয়োগের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে ইসি।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের ডিআইজি মো. জাকির হোসেন খান সদ্য বদলি হওয়া সিলেট মহানগরের পুলিশ কমিশনার মো. ইলিয়াছ শরীফের স্থলাভিষিক্ত হবেন। মো. ইলিয়াছ শরীফকে পিবিআইয়ের ডিআইজি করা হয়েছে।
এরআগে, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) কমিশনার মো. ইলিয়াছ শরীফকে প্রত্যাহার করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবের মাধ্যমে সিলেটসহ দুই পুলিশের কমিশনার এবং পাঁচ জেলার পুলিশ সুপারদের (এসপি) অন্যত্র বদলির জন্য ইসিতে এই প্রস্তাব করা হয়েছিল। এরমধ্যে সিলেট রেঞ্জের হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলীকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার পদে বদলি করা হয়েছে। আর হবিগঞ্জে নতুন এসপি হিসেবে যাচ্ছেন ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার আক্তার হোসেন।
গত রোববার সকালে ইসির উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমানের স্বাক্ষর করা এ সংক্রান্ত নির্দেশনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে পাঠানো হয়। পরে সোমবার নতুন কমিশনার ও এসপি নিয়োগের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে ইসি।

শাবিতে সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের ‘অর্থনীতির অগ্রগতিতে সামুদ্রিক পরিকল্পনা’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন

শাবি প্রতিনিধি:

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে আগামী ১৫ ও ১৬ এপ্রিল দুই দিনব্যাপী “টেকসই নীল অর্থনীতির অগ্রগতিতে সামুদ্রিক পরিকল্পনা” শীর্ষক
আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বিভাগটির আয়োজক কমিটির শিক্ষকবৃন্দ।

“বাংলাদেশের সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ এবং সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকার সমন্বিত ব্যবস্থাপনা” প্রকল্পের আওতায় এ সম্মেলনটি আয়োজিত হচ্ছে। এতে সার্বিক সহায়তা প্রদান করছে অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং উন্নয়ন সম্পর্কিত জার্মান ফেডারেল মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে জার্মান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জিআইজেড) বাংলাদেশ বলে জানা যায়।

এই সম্মেলনে আটটি দেশের ২০০-এর অধিক অংশগ্রহণকারী উপস্থিত থাকবেন, যার মধ্যে থাকবেন নীতিনির্ধারক, গবেষক, শিক্ষাবিদ, শিল্প প্রতিনিধি, সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের প্রতিনিধি, উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, এবং উপকূলীয় জেলে সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিগণ।

সম্মেলনে মোট ১২৩টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে, যা সামুদ্রিক পরিকল্পনা ও টেকসই নীল অর্থনীতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেছেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. ইসমাইল হোসেন, জার্মান অ্যাম্বাসির ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশনের উপ-প্রধান মি. উলরিখ ক্লেপম্যান, ডেপুটি চিফ কনজারভেটর অফ ফরেস্ট মোঃ জাহেদুল কবির, মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক (সিলেট বিভাগ) মোঃ আশরাফুজ্জামান এবং (জিআইজেড) বাংলাদেশ এর জীববৈচিত্র্য সেক্টরের কমিশন ম্যানেজার ড. স্টেফান আলফ্রেড গ্রোনেওল্ড।

আয়োজকরা আশা করছেন, এই সম্মেলন সমুদ্র সম্পদ ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও নীল অর্থনীতির টেকসই উন্নয়নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

কিহাক সাং পেলেন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি সম্মান সূচক নাগরিকত্ব

আধুনিক ডেস্ক:

বাংলাদেশের শিল্প খাতের বিকাশ ও বিপুল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান এবং বৈদেশিক আয়ে অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (কেইপিজেডে) পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইয়াংওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সাংকে দেওয়া হয়েছে সম্মান সূচক নাগরিকত্ব।

চার দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী দিনে আজ বুধবার তার হাতে এই স্বীকৃতি তুলে দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এর মাধ্যমে একজন বিদেশি বিনিয়োগকারী হিসেবে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য তিনি পেলেন এই দেশের নাগরিক না হয়েও ‘সম্মানিত নাগরিক’ মর্যাদা।

এছাড়াও, বিনিয়োগে অবদান রাখার জন্য চারটি ক্যাটাগরিতে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
পুরস্কৃত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- ওয়ালটন (দেশি বিনিয়োগকারী), বিকাশ (বিদেশি বিনিয়োগকারী), স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস এবং ফেব্রিকস।

বিশেষ ক্যাটাগরিতে কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের চেয়ারম্যানকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়।

বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২৫ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে সিহাক সাংয়ের হাতে নাগরিকত্বের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট তুলে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়ে কিহাক সাং তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘সম্মানসূচক নাগরিকত্ব পেয়ে আমি সত্যিই গর্বিত।’

কিহাক সাং বাংলাদেশে সর্বোচ্চ বিদেশী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অন্যতম। ১৯৮০ সাল থেকে তিনি বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।

কিহাক সাংসহ মোট পাঁচজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

উদ্ভাবনে-ফ্যাব্রিক লাগবে লিমিটেড, বিদেশী বিনিয়োগে-বিকাশ, স্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস এবং ওয়ালটনকে এক্সেলেন্স ইন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন।

যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ বিষয়ক বাণিজ্য দূত ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটন, ইন্ডিটেক্সের সিইও অস্কার গার্সিয়া মাসেইরাস এবং অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বিনিয়োগ বাংলাদেশে বিনিয়োগ প্রসঙ্গে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মূখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম প্রমুখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী।

কিহাক সাং বাংলাদেশের শিল্পের সঙ্গে যে তার যাত্রা শুরু করেছিলেন, এখন তা এক শিল্প সামাজ্যে রূপ নিয়েছে। শুধু তাই নয়, আশির দশকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প উদ্যোক্তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন প্রধম বিদেশি বিনিয়োগকারী।

ইয়াংওয়ান ১৯৮০ সালের মে মাসে টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল রপ্তানি খাতে প্রথম বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং এই শিল্পে নারী কর্মসংস্থানের পথিকৃৎ হিসেবে পরিচিত।

‘বিশ্বকে বদলানোর মতো দুর্দান্ত আইডিয়া আছে বাংলাদেশের কাছে’

আধুনিক ডেস্ক:

বাংলাদেশের কাছে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার মতো দুর্দান্ত সব আইডিয়া আছে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশে ব্যবসার ভালো সুযোগ রয়েছে। এ ব্যবসা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, সারা পৃথিবীর জন্য সুযোগ তৈরি করতে পারে। একসময় ক্ষুদ্রঋণ বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র গ্রামে শুরু হলেও এখন এটি আমেরিকার সবচেয়ে বড় ব্যবসায় পরিণত হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ১৯৭৪ থেকে ২০২৫ এক অভূতপূর্ব যাত্রা বাংলাদেশের। স্বল্প সময়ে অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েছে এই দেশ।

তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্ম সম্মিলিতভাবে পৃথিবীকে বদলে দেবে। তারা সরকারের অপেক্ষায় বসে থাকবে না। সেই নতুন বিশ্ব গড়তে এখন থেকেই উদ্যোগ নিতে হবে। বাংলাদেশে ব্যবসা করা শুধু এ দেশেই বিনিয়োগ নয়, বরং এর অর্থ বিশ্বব্যাপী সামাজিক ব্যবসার অংশ হওয়া।

তিনি আরও বলেন, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নতির ফ্রেমওয়ার্ক তৈরির মাধ্যমেই সম্ভব দারিদ্র্য বিমোচন। আর সামাজিক ব্যবসার আদর্শ স্থান বাংলাদেশ। এছাড়াও কার্বন নিঃসরণ বাদ দিয়ে নতুন সভ্যতা গড়তে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সভ্যতা আত্মবিধ্বংসী।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ডের (বিডা) আয়োজনে চার দিনব্যাপী এ বিনিয়োগ সম্মেলন গত ৭ এপ্রিল শুরু হলেও আজ প্রধান উপদেষ্টা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

এর আগে সকাল ১০ টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা বিনিয়োগ সম্মেলনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। বিনিয়োগে অবদান রাখার জন্য চার ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ওয়ালটন (দেশি বিনিয়োগকারী) বিকাশ (বিদেশি বিনিয়োগকারী), স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস ও ফেব্রিকস। এছাড়া বিশেষ ক্যাটাগরিতে কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের চেয়ারম্যান কিহাক সাং-কে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেয়া হয়।

জৈন্তাপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি:

জৈন্তাপুরে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন হরিপুর গ্যাসফিল্ড সেনাক্যাম্পে অবস্থানরত সেনা সদস্যরা। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর সেনাক্যাম্পে ২৭ বীর ইউনিটের অধিনায়কের নেতৃত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় ২৭ বীর ইউনিটের অধিনায়ক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ক্যাম্পে দায়িত্বপ্রাপ্ত আরও চারজন অফিসার ও দুইজন জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার (জেসিও)। অন্যদিকে সভায় অংশ নেন স্থানীয় পর্যায়ে কর্মরত ১৪ জন সাংবাদিক, যারা বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রতিনিধিত্ব করছেন।

দুই ঘণ্টাব্যাপী এই সভায় জৈন্তাপুর উপজেলার সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সামাজিক স্থিতিশীলতা ও সাংবাদিকদের পেশাগত নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়। 

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের গঠনমূলক সহযোগিতা কামনা করা হয় এবং পারস্পরিক আস্থা ও যোগাযোগ আরও জোরদারের প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

সভা শেষে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের পাশে থেকে তথ্য বিনিময় এবং দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এ ধরনের উদ্যোগে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও গণমাধ্যমের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকবে বলে মত প্রকাশ করেন উপস্থিত সাংবাদিকরা।

তামাবিল মহাসড়কের হরিপুর এলাকায় অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি:

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর বাজারে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানপাট উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেছে প্রশাসন। বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল ১০টায় মহাসড়কের দুই পাশে সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গায় গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়। উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জর্জ মিত্র চাকমা।

অভিযানকালে হরিপুর গ্যাসফিল্ড সেনাক্যাম্পের ইনফেন্ট্রি রেজিমেন্ট ২৭ বীর ইউনিটের মেজর মাজহারুল ইসলাম নওশাদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টিম উপস্থিত ছিল। এছাড়াও, সিলেট বিভাগ সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তা, তামাবিল-সিলেট ছয় লেন প্রকল্পের কর্মকর্তারা এবং ভূমি অফিসের সার্ভেয়াররা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। প্রশাসনের নির্দেশনার পর অনেক ব্যবসায়ী তাদের দোকানপাট থেকে মালামাল সরিয়ে নেন এবং কিছু দোকানের টিনের অংশ খুলে ফেলেন। তবে, কিছু পাকা স্থাপনা থেকে যায়।

বুধবার সকালে শুরু হওয়া অভিযানে তাড়ুহাঁটি পয়েন্ট থেকে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান বিরতিহীনভাবে চলছিল।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক ছয় লেন প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক ইকবাল হায়াৎ, সিলেট সড়ক ও জনপদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সোলায়মান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী শামীম আহমেদ, জৈন্তাপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক শংকর চন্দ্র দেবসহ জৈন্তাপুর ভূমি অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অবৈধভাবে দখলকৃত জায়গা পুনরুদ্ধার ও মহাসড়কের প্রশস্তকরণ নিশ্চিত করতেই এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

ভোলাগঞ্জ সাদাপাথরে ঘুরতে এসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কিশোরীর মৃত্যু

কোম্পানিগঞ্জ প্রতিনিধি:

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র ভোলাগঞ্জ সাদাপাথরে ঘুরতে এসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাচ্ছিল নামে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক অফিসার (আরএমও) ডাক্তার প্রভাকর রায়। তিনি বলেন, “প্রথমে বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করে এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই অচেতন হয়ে যায়। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে তার পরিবার। ইসিজি করে নিশ্চিত হই তিনি মারা গিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।” তার বাবা জানান, তাচ্ছিলের আগে থেকেই হার্টের সমস্যা ছিল।

আজ বুধবার (২ এপ্রিল) দুপুরবেলায় সাদাপাথর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত তাচ্ছিল (১৪) সিলেটের জল্লার পাড় এলাকার বাসিন্দা প্রলয়ের মেয়ে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তাচ্ছিল পরিবারসহ ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর এলাকায় ভ্রমণে গিয়েছিল। আনন্দঘন মুহূর্তের মাঝেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় তাচ্ছিলের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান জানান, তাচ্ছিলের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

স্বপ্নীলের মায়ের বাঁচার আকুতি: উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ১৫ লাখ টাকা

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অর্থনীতি বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী শ্রী কৃষ্ণ দাস স্বপ্নীলের মা সত্যবতী দাস দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে না পারায় বর্তমানে তিনি গ্রামের বাড়িতে শয্যাশায়ী এবং তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় ১৫ লাখ টাকা, যা তার দরিদ্র পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। বন্ধুর মাকে বাঁচাতে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা দেশবাসীর কাছে সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন।

জানা যায়, সত্যবতী দাস ছোটবেলা থেকেই কোমরের নিচের দিকে একটি ফোঁড়ার সমস্যায় ভুগছিলেন, যা পরে টিউমারে রূপ নেয়। ২০১৭ সালে সিলেটের একটি হাসপাতালে প্রথম অপারেশন করা হয়। কিন্তু কিছু বছর পর সেটি আবারও ফিরে আসে এবং পরবর্তী সময়ে ক্যান্সার ধরা পড়ে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ইনফেকশনের কারণে তার ক্যান্সার ট্রিটমেন্ট শুরু করা সম্ভব হয়নি। অর্থাভাবে একাধিকবার চিকিৎসা ব্যাহত হয়েছে এবং সর্বশেষ অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রায় ১ লাখ টাকা সংগ্রহ করে গত ৭ জানুয়ারি তার চতুর্থ অপারেশন সম্পন্ন করেন। কিন্তু চিকিৎসকরা সতর্ক করেছেন যে দ্রুত ক্যান্সারের চিকিৎসা শুরু না করলে তার জীবন সংকটে পড়বে।

চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় কিংবা দেশের বাইরে নিতে হবে। কিন্তু বর্তমান আর্থিক সংকটের কারণে এমনকি সিলেটেও চিকিৎসা চালানো সম্ভব হচ্ছে না। এই মুহূর্তে ১৫ লাখ টাকা প্রয়োজন, যা সংগ্রহ করা না গেলে চিকিৎসা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।

স্বপ্নীল স্বপ্ন দেখে তার মা বেঁচে থাকবেন, কিন্তু তার একার পক্ষে এই বিশাল চিকিৎসা ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। বন্ধুর মায়ের জন্য অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন এবং দেশবাসীর কাছে সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন।

আপনার একটু সাহায্য স্বপ্নীলের মায়ের জীবন বাঁচাতে পারে।

সাহায্য পাঠানোর জন্য নিচের ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিং অপশন ব্যবহার করতে পারেন: একাউন্ট নাম শ্রী কৃষ্ঞ দাস, একাউন্ট নাম্বার: ২৩৯৩১০১০৫৪৪২৭ রাউটিং নম্বর : ১৭৫৯১২০২৩
পূবালী ব্যাংক। মোবাইল ব্যাংকিং: বিকাশ: ০১৫৭১৪৮৬০৯৪, নগদ: ০১৭০৬১৪৮০৪৯,রকেট: ০১৭০৬১৪৮০৪৯০

সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়া নিয়ে সংঘর্ষের জেরে ওসমানীতে হামলা, আহত ৮

আধুনিক রিপোর্ট:


সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি ও ক্যাজুয়ালটি বিভাগে চিকিৎসাধীন রোগীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৪ মার্চ) রাত ৯ টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সংঘটিত হামলায় নার্স ও পুলিশসহ ৪ জন আহত হয়েছেন৷

আহতরা হলেন, ওসমানীর নার্স জাহেদুল ইসলাম (২৮) ও দিলোয়ার হোসেন (২৪), উইমেন্স মেডিকেলের নার্স রাসেল আহমদ (২৮), পুলিশ সদস্য সুভাস দাশ (৩২)।

এ ঘটনায় পুলিশ তিনকে আটক করে নিয়ে যায়৷ আটকর হলেন, গিয়াস উদ্দিন রানা (৩৫), মোস্তাক হোসেন (২২) এবং আব্দুল রুহিন (২২)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এর আগে সিলেট নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় ইফতারের পর সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়াকে কেন্দ্র করে পথচারীদের মধ্যে বাদানুবাদ হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধলে ৪ জন আহত হোন৷ হামলাকারীদের কাউকে চেনা যায়নি। পরে আহতদের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন।

কিছুক্ষণ পরেই হামলাকারীদের এক পক্ষ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন৷ একপর্যায়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী, নার্স ও ব্রাদারদের ওপর হামলা চালায় বহিরাগতরা।

ওই সংঘর্ষে আহত হন, পরে শহীদুল ইসলাম (৩২), পুলিশ সদস্য সুভাস দাশ (৩২), জাবুর হোসেন (২৮), ফেরদৌস আহমদ (২৫), জাকির হোসেন (২৬)।

আহত পুলিশ সুভাস দাশ বলেন, হাসপাতালে মারামারি দেখে আমি এগিয়ে এলে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পাবলিক ভেবে আমাকে মারধর করা হয়। আমি এখন আহত অবস্থায় ওসমানীতে ভর্তি আছি৷

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমান আধুনিক কাগজকে বলেন, সোমবার রাত আটটার দিকে চৌহাট্টা এলাকায় সংঘর্ষের পর আহতরা এসে ভর্তি হোন ওসমানীতে। আগের সংঘর্ষের জেরে বহিরাগতরা এসে আহতদের ক্যাজুয়ালটি বিভাগে এসে হামলা করে। এসময় নার্স ও ব্রাদাররা প্রতিহত করতে গেলে তাদেরকে মারধর করা হয়৷

সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক আধুনিক কাগজকে বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ তাৎক্ষণিক ওসমানী মেডিকেলের জরুরি বিভাগে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। দু দফা সংঘর্ষে অন্তত ৮জন আহত হয়েছেন৷ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

কুলাউড়ায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ, কৃষকদের ৫ লাখ টাকার আলু তুলে নিল আওয়ামী নেতারা

কুলাউড়া প্রতিনিধি:

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় আদালত কর্তৃক ১৪৪ ধারা অমান্য করে একাধিক কৃষকের মালিকানাধীন জমির প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ফসল (আলু) তুলে নিল আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। প্রতিবাদ করতে গিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটে। ভুক্তভোগী কৃষকরা ৯৯৯ এ কল দিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় কুলাউড়া থানা পুলিশের একটি দল।

শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের সাধনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ভুক্তভোগী কৃষকরা অভিযোগ তুলেন, হাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ফারুক আহমদ পান্না জড়িতদের মদদ দিচ্ছেন।

স্থানীয় এলাকা সূত্রে ও থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে জানা যায়, হাজীপুর ইউনিয়নের সাধনপুর গ্রামে বাড়উগাঁও মৌজায় বিভিন্ন দাগে দুই একর কৃষি জমি থেকে সাধনপুর গ্রামের কৃষক মুহিবুর রহমান, নাইওর মিয়া, আব্দুল বাছিত বাচ্চু, আব্দুল গফুর, আব্দুস শহীদ, আব্দুল মন্নান, আব্দুল আজিজ, সাইফুল ইসলাম, ফয়সল মিয়া গংদের কৃষি জমি থেকে কয়েক দফায় জোরপূর্বক ফসল (আলু) তুলে নিয়ে যায় হরিচক গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর রহমান (৩৫), মৃত মুসলিম মিয়ার ছেলে দুই ছেলের মধ্যে দুই নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক খালিস মিয়া ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কয়ছর মিয়া (৪০) এর নেতৃত্বে তাদের সহযোগী সাধনপুর গ্রামের শাহিন মিয়া, আব্দুস সালাম সুরুজ, আব্দুর রশীদ, ছবদর আলী, আকমল ও ওয়াজিদ গং। এ ঘটনায় ভূমি দখলের অভিযোগ এনে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কৃষক মুহিবুর রহমান বাদী হয়ে ফজলুর রহমান গংয়ের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা (নং- ৪৯/২০২৫) দায়ের করেন।

ওই মামলায় আদেশ দেয়া হয়, উল্লেখিত ভূমিতে ফজলুর রহমান ও কয়ছর মিয়া গং প্রবেশ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গের আশঙ্কা রয়েছে। উভয়পক্ষকে বিরোধপূর্ণ ভূমিতে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে কুলাউড়া থানার এসআই মো. মুহিত মিয়া ১৪৪ ধারার নোটিশ জারি করেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশ অমান্য করে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ফজলুর রহমান ও শ্রমিকলীগ নেতা কয়ছর মিয়া গং শনিবার সকালে মুহিবুর রহমান গংদের কৃষি জমিতে জোরপূর্বক লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে প্রবেশ করে কয়েক লাখ টাকার ফসল আলু তুলে নিয়ে যান। এরআগে গত ১১ মার্চ দুপুরে ফজলুর রহমান গং মুজিবুর রহমানের ছেলে লুৎফুর রহমান সুমনসহ স্থানীয় কৃষকদের মালিকানাধীন জমি থেকে জোরপূর্বক মাটি কেটে মনু নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করার কারণ জানতে চাইলে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হন কৃষক লুৎফুর রহমান সুমন। পরে তিনি ফজলুর রহমান গংয়ের বিরুদ্ধে কুলাউড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অন্যদিকে অবাধে মাটি কাটা ও কৃষি জমি থেকে ফসল আলু তুলার বিষয়ে বাঁধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষের হামলায় মুহিবুর রহমানের ছেলে মাহবুব হোসাইন (৩০) আহত হন।

সাধনপুর গ্রামের কৃষক মুহিবুর রহমান, নাইওর মিয়া, লুৎফুর রহমান সুমনসহ আরো অনেক কৃষক বলেন, প্রতিপক্ষ আওয়ামীলীগের দোসর ফজলুর রহমান ও কয়ছর মিয়া গং এর সাথে জায়গা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলছে। তারা আমাদের মৌরসী জমি জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। মনু নদীর চর এলাকায় আমাদের মৌরসী জমিতে আমরা আলুসহ বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করি। ফসলি জমি থেকে ফসল উত্তোলনের সময় আমাদের বাঁধা দেয় প্রতিপক্ষরা। কারণ জানতে চাইলে তারা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ওই ঘটনায় কুলাউড়া থানা ও বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করি। পরে আদালত থেকে ১৪৪ জারি করা হলেও প্রতিপক্ষরা আমাদের ফসলি জমি থেকে প্রায় ৪০০ মণ আলু তুলে নিয়ে যায় যার বাজার মূল্য প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। কিন্তু পুলিশ তাৎক্ষণিক তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আমাদের হাজীপুর ইউনিয়নে বিএনপি নেতা পান্না প্রতিপক্ষদের মদদ দিচ্ছেন। আমরা ফসল কাটা ও মাটি কাটার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
জানতে চাইলে বিএনপি নেতা ফারুক আহমদ পান্না বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়। আসন্ন হাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে একটি বিশেষ মহল আমার বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে, কৃষকদের জমি থেকে ফসল লুটের বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। যারা কৃষকদের জমি থেকে ফসল ও মাটি কেটেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশকে বলেছি। ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় যারা আওয়ামীলীগের দোসর থেকে বিগত সময়ে বিভিন্ন অপকর্মসহ মানুষের ওপর জুলুম নির্যাতন করেছে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হউক।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আল-আমিন সরকার বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে মনু নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন ঠিকাদার যদি কৃষকদের জমি থেকে ক্ষতিপূরণ ছাড়া মাটি নিয়ে থাকে তাহলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। আর কৃষকের জমির মালিকানা থাকলে তাকে অবশ্যই ক্ষতিপূরণের টাকা দেয়া হবে।
এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মুহিত মিয়া বলেন, জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ থাকায় আদালতের নির্দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বিরোধপূর্ণ জায়গায় ১৪৪ ধারার নোটিশ দুইপক্ষকে দিয়েছি। নোটিশ ভঙ্গকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম আপছার বলেন, জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার। কিন্তু ওই জমি নিয়ে ফৌজধারীর বিষয়টি আমরা দেখবো। কৃষকদের জমি থেকে আলু তুলার অভিযোগ পেয়েছি, জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন বলেন, কৃষকদের মালিকানাধীন জমি থেকে এভাবে কেউ মাটি কেটে নিতে পারবে না। কৃষকদের পক্ষে লিখিত অভিযোগ পেলে মাটি কাটার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

লন্ডন প্রবাসী সৈয়দ আতাউর রহমানের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ


লন্ডন প্রবাসী সৈয়দ আতাউর রহমানের ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাগবাড়ি এলাকায় দরিদ্র, অসহায় ও শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে প্রায় দেড় শতাধিক পরিবারের মধ্যে এই ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।

ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কাউন্সিলর প্রার্থী সাঈদ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, রমজান মাসে রোজা রেখে অসহায় শ্রমজীবী মানুষের জন্য কাজ করা অত্যন্ত কঠিন একটি বিষয়। এই বিশেষ মাসে যখন সবাই নিজেকে আত্মসমালোচনা এবং আত্মশুদ্ধির মধ্যে নিয়ে আসে, তখন আমাদের উচিত প্রতিবেশীদের সাহায্য করা। গরীব ও অসহায় মানুষের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করা এবং তাদের পাশে দাঁড়ানো, যেহেতু তারা এই সময়ে অত্যন্ত কষ্টের মধ্যে আছেন। রোজা রাখা অবস্থায় তাদের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য এবং জীবনযাত্রার উপকরণ জোগানো অনেক সময়ই কঠিন হয়ে পড়ে।

ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী ছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সুবিধাভোগী পরিবারগুলোর সদস্যরা সৈয়দ আতাউর রহমান ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই ধরনের ত্রাণ সহায়তা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে রমজান মাসে রোজা রেখে কাজ করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে এই সময় এমন সহযোগিতা আমাদের অনেক বড় উপকারে আসে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আব্দুর রফিল ও সৈয়দ সা’দ মিয়াসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।