বৃহস্পতিবার, মে ২২, ২০২৫
Google search engine
Homeসংবাদসিলেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে একডোর অ্যাডভোকেসি সভা

সিলেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে একডোর অ্যাডভোকেসি সভা

সিলেট অঞ্চলে বসবাসরত বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে কর্মরত বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী উন্নয়ন সংস্থা এথনিক কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (একডো) সিলেটের সাংবাদিকদের সঙ্গে অ্যাডভোকেসি সভা করেছে।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে নগরীর মির্জাজাঙ্গালে একটি হোটেলে মিডিয়াকর্মী এবং সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাব, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (ইমজা) ও সিলেট উইমেনস জার্নালিস্ট ক্লাবের নেতারা অংশ নেন।

একডোর নির্বাহী পরিচালক লক্ষ্মীকান্ত সিংহের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. আনিকা তাবাসসুম, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মঈন উদ্দিন, ইমজার সাধারণ সম্পাদক সাকিব আহমেদ মিঠু, সিলেট উইমেনস জার্নালিস্ট ক্লাবের সভাপতি সুবর্ণা হমিদ।

সভার শুরুতেই একডোর প্রকল্প এলাকা সিলেটের তিনটি চা বাগানের চিত্র তুলে ধরেন একডোর প্রকল্প সমন্বয়ক মোমতাহিনুর রহমান চৌধুরী।

সভায় জানানো হয়, একডো একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী উন্নয়ন সংস্থা। একডো বর্তমানে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অক্সফাম ইন বাংলাদেশের যৌথ সহযোগিতায় ‘লিডারশিপ ডেভলপমেন্ট অব টি লেবার ওমেন ওয়ার্কার অন দেয়ার রাইটস’ শিরোনামে নারী চা-শ্রমিকদের মধ্যে নেতৃত্ব বিকাশ এবং তাদের অধিকার সচেতন করে তোলার লক্ষ্যে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

একডোর নির্বাহী পরিচালক লক্ষ্মীকান্ত সিংহ বলেন, আমরা চা-শ্রমিকদের মধ্যে নেতৃত্ব বিকাশ এবং তাদের অধিকার সচেতনতা নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি নানা সমস্যায় জর্জরিত তারা। ন্যূনতম খাবার, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা পান না চা-শ্রমিক ও তাদের সন্তানরা। আমরা একটি প্রকল্পের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তাদের জন্য কাজ করতে পারি। কিন্তু এই নিপীড়িত মানুষদের জন্য দরকার দীর্ঘমেয়াদি সুযোগ সুবিধা ও তাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য দরকার সরকারের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা। সরকারসহ সর্বসাধারণের কাছে তাদের কষ্টে ভরা জীবনচিত্র তুলে না ধরলে এই সমস্যাগুলোর সমাধান করা যাবে না। তাই আমরা মনে করি, এক্ষেত্রে সাংবাদিকরা তাদের সংবাদের মাধ্যমে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবেন। এই লক্ষ্যেই আজকের অ্যাডভোকেসি সভার আয়োজন করেছি আমরা।

সভায় সিলেট সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. আনিকা তাবাসসুম বলেন, চা বাগান ছবিতে যত সুন্দর ততটাই কষ্টদায়ক চা-শ্রমিকদের জীবন। এটা আমি যখন সিলেটে পেশাগত কাজে আসি তখনই উপলব্ধি করতে পেরেছি। একডো এখন পর্যন্ত তাদের জন্য যা করেছে, তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতে যদি একডো থেকে নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বা গর্ভবতী নারীদের নিয়ে কোনো আয়োজন করা হয় তবে আমাদের অফিস থেকে সার্বিক সহযোগিতা থাকবে। গর্ভকালীন স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে চা বাগানের কিছু সংখ্যক নারীদের প্রশিক্ষণ দিতে পারলে তারা শুধু একা নয়, তাদের আশপাশের নারীদের এ ব্যাপারে সচেতন করতে পারবেন।

সভায় সাংবাদিক নেতারা বলেন, আমরা সব সময়ই চা-শ্রমিকদের পাশে আছি। তাদের সব ধরনের বিপদে-আপদে, আন্দোলনে সাংবাদিকরাই সবার আগে যায়, সংবাদ প্রকাশ করে। ভবিষ্যতেও চা-শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে সাংবাদিকদের কলম ও ক্যামেরা আরও ব্যাপক আকারে চলবে।

প্রাসঙ্গিক সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

জনপ্রিয়

Recent Comments