শুক্রবার, মে ১৬, ২০২৫
Google search engine
Homeরাজনীতিশাবিতে শহীদ হাসানের গায়েবানা জানাযা; আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ

শাবিতে শহীদ হাসানের গায়েবানা জানাযা; আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ

শাবি প্রতিনিধি:

দীর্ঘ ৭ মাস পর জুলাই-গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হাসানের লাশ সনাক্ত করায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে তার গায়েবানা জানাযা পরা হয়। এসময় আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি)বাদ জুমায় ভিসি ভবনের সামনে শহীদ হাসানের গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রায় তিন শতাদিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

জানাজা শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই বিপ্লবে গণহত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক পদক্ষিণ করে গোলচত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে শেষ হয়।

এসময় মিছিলে শিক্ষার্থীরা, ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও’, ‘খুনি হাসিনার বিচার চাই, করতে হবে’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দিবনা’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর’, ‘আমার ভাই কবরে খুনি কেন বাহিরে’, স্লোগান দিতে থাকেন।

সমাবেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্বনয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, জুলাই বিপ্লবের এতদিন পর মাত্র একটা লাশ তার পরিবারের কাছে আজ হস্তান্তর করা হচ্ছে। তিনি হচ্ছেন শহীদ হাসান। এটা রাষ্ট্রের একটা চরম ব্যর্থতা যে সাত মাস চলে যাওয়ার পরেও আমাদের ভাইদের সনাক্ত করা সম্ভব হয়নাই। তাদের পরিবারের কাছে পাঠানো সম্ভব হয়নাই। আমরা কিছু দিন আগেই দেখেছি যে গাজীপুরে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় আমাদের ভাইদের রক্তাক্ত করা হয়, শহীদ করা হয়। আন্দোলনের ছয় মাস পরেও যদি আওয়ামী সন্ত্রাসীদের এমন তান্ডব চলে তবে এটাও এই রাষ্ট্রের ব্যর্থতা।

তিনি আরও বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, এই আওয়ামী সন্ত্রাসীদের কোনভাবেই এই রাষ্ট্রে আর পুর্নবাসন করার সুযোগ নেই। এই আওয়ামী ফ্যাসিস্ট কে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং যারা এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল দ্রুত সময়ের মধ্যে এদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

গত ৫ আগস্ট বিকেলে যাত্রাবাড়ী এলাকায় হাসানকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি গুলিস্তানের কাপ্তানবাজারে একটি দোকানে কাজ করতেন। এক যুবকের পায়ে তার প্যাঁচানো অবস্থায় যাত্রাবাড়ী রাস্তায় পড়ে থাকা একটি ছবি ভাইরাল হয়। সেই ছবিটিই হাসানের মরদেহ ছিল। তবে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সাত মাস ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে শহিদ হাসানের লাশ পড়ে থাকার পর ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে লাশ শনাক্ত করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হাসানের মরদেহের কাগজপত্র পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

প্রাসঙ্গিক সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

জনপ্রিয়

Recent Comments