নূরুল মোহাইমীন মিল্টন, কমলগঞ্জ:
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পরিবেশ রক্ষায় মেছো বিড়ালের কোন বিকল্প নেই। মেছো বিড়ালের রং, রূপ বাঘের মতো থাকায় অনেক স্থানে মানুষের হাতে সেটি মারা যাচ্ছে। অথচ এই প্রাণীটি কোন জলাভূমির আশেপাশে থাকলে সেখানে মাছের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই প্রাণিটি বেশির ভাগ সময় মরা ও রোগাক্রান্ত মাছ খেয়ে জলাশয়ে মাছের রোগ নিয়ন্ত্রণ করে। মাছ ছাড়াও এরা জলাভূমির ইঁদুর, সাপ, ব্যাঙ, কাঁকড়া ও পোকামাকড় খেয়ে কৃষকের উপকার করে। পরিবেশ রক্ষায় কোন অংশে এদের অবদান কম নয়।

প্রথম বারের মতো এবছর ১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব মেছো বিড়াল দিবস উপলক্ষে ‘জনগণ যদি হয় সচেতন, মেছো বিড়াল হবে সংরক্ষণ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বনবিভাগ বিশ্ব মেছো বিড়াল দিবস পালন করেছে। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, সিলেট এর আয়োজনে ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার দোলার বাজার ইউনিয়ন কাউন্সিলে আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন, কুইজ প্রতিযোগিতা ও বিজয়ীদের মধ্যে পুরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, সিলেট এর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দোলারবাজার ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আলম, মঈনপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু রায়হান খান, ইউপি সদস্য সহ বনবিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
দিবস উপলক্ষে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৫ জন শিক্ষার্থীকে পুরুস্কৃত করা হয়।
অনুষ্ঠানে আলোচকরা মেছো বিড়ালসহ বন্যপ্রাণির উপকারিতা বিষয়ে আলোকপাত করেন এবং মেছো বিড়াল সহ সকল বন্যপ্রাণী রক্ষায় সকলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন।