হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশ ও আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনের হামলায় আনাস মিয়া (১৯) নামের এক ছাত্রের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় এসআই লুৎফুর রহমানসহ একাধিক ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১০০-১২০ জনকে।
আন্দোলনে নিহত আনাস মিয়ার মামা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে বানিয়াচং থানায় মামলা দায়ের করেন। শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) প্রবাস কুমার সিংহ ।
বানিয়াচংয়ের ২ নং ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ধন মিয়া, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন খান, হবিগঞ্জ ট্রেনিং সেন্টারের এস আই লুৎফুর রহমান, বানিয়াচং থানার এস আই স্বপন চন্দ্র সরকার, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আমীর হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার রায়সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগের ৬ জন নেতা ও আইনশৃংখলার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে মামলায়। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও ১০০-১২০ জনকে আসামি করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বানিয়াচং থানার সামনে কয়েক শ’ শিক্ষার্থী অবস্থান নেয়। এ সময় এলাকার স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনকারীদের বাধা দেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটি থেকে একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের কিছু সদস্য এবং পুলিশ সদস্যরা একজোট হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তারা এলোপাতাড়ি গুলি ও আক্রমণ শুরু করে।
এ সময় মামলার বাদী সাইফুল ইসলামের ভাগনা আনাস মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এরপর তাকে দা, লাঠি ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ আগস্ট ভোর ৫টায় আনাস মিয়া মারা যায়।
মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানান।