আধুনিক ডেস্ক:
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি ঘিরে দেশে ‘নতুন কোনো সাংবিধানিক বা রাজনৈতিক সংকট’ যেন সৃষ্টি না হয়, অন্তর্বর্তী সরকারকে সে বিষয়ে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় গিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবি জোরালো হয়ে ওঠার মধ্যেই বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যায়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সম্প্রতি মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জানান, তার কাছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই।
রাষ্ট্রপতির এই বক্তব্যের পর তাকে অপসারণ করতে আন্দোলনে নেমেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন মহল। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে ভিন্ন ভিন্ন ব্যানারে বঙ্গভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নেন কয়েক শ বিক্ষোভকারী। রাত সাড়ে আটটার দিকে তাদের একটি অংশ বঙ্গভবনের সামনের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিপেটা করে ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। রাত পৌনে ২টার দিকে বিক্ষোভকারীরা বঙ্গভবন এলাকা ছেড়ে যান।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দিন-রাত আন্দোলনের পর আজ বুধবারও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনের সামনে।
সকাল থেকে ছাত্র-জনতার উপস্থিতি দেখা না গেলেও কড়াকড়ি রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি। সেনাবাহিনী ও বিজিবির পাশাপাশি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে র্যাব ও এপিবিএন সদস্যরাও। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে বঙ্গভবনের সামনের রাস্তায় বসানো হয়েছে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী। চার স্তরের বেষ্টনীর পাশাপাশি রাখা হয়েছে তিন স্তরের কাঁটাতারের বেড়াও।