এমকে তুহিন
বাইরে তীব্র গরম। ঘরেও নেই স্বস্তি লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন। গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লোডশেডিং বাড়ায় ভোগান্তি পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ। ব্যাবসায়ীরাও চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন। প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিংয়ের দুর্ভোগেরয়েছেন সাধারণ মানুষ। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সরকারি- বেসরকারি অফিসে নষ্ট হচ্ছে কর্মঘন্টা। গত ৩-৪ সিলেট মহানগরীতে প্রায় ৮-১০ ঘন্টা লোডশেডিং হয়।
লোডশেডিং বৃদ্ধি পাওয়ায় বহুতল ভবন ও বিপনী বিতানের মালিকরা জেনারেটর নির্ভর হয়ে পড়েছেন। বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল ব্যবসায়ীরা সময়মত তাদের কাজের ডেলিভারি দিতে পারছেন না।
এদিকে লোডশেডিং এর কারণে ব্যবসায়ীদের কাজের বিভিন্ন সরঞ্জামদি, বাসাবাড়ির ফ্রিজ, টেলিভিশন, কম্পিউটারসহ অন্যান্য ইলেক্ট্রক যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে ইন্টারনেট সেবা।
আইটি ব্যাবসায় লোডশেডিংয়ের প্রভাব নিয়ে কম্পিউটার দোকান ব্যবসায়ী শফিক হোসেন বলেন, বিদ্যুতের যন্ত্রনায় কাজই করা যাচ্ছে না। আমাদের প্রতিষ্ঠানের সেবা বিদ্যুতের উপর বির্ভরশীল। দিনের বেশিরভাগ সময়ই বিদ্যুৎহীন থাকতে হয়।কাস্টমার এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকে । আমরা তাদের সময়মতো সেবা দিতে পারি না। এতে মনোমালিন্যও হয়। আমাদের যে ক্ষতি হচ্ছে তা আসলে পুশিয়ে ওঠা মুশকিল।
মোবাইল ইঞ্জিনিয়ার সানি চৌধুরী বলেন, অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে ঠিকমতো কাস্টমার সার্ভিস দিতে পারছি না। বিদ্যুৎ ছাড়া আমাদের কোন কাজই হয় না। এখন দেখা যাচ্ছে একজন কাস্টমার সেবা নিতে আসেলে তাকে ১ ঘণ্টা সময় দিয়ে বিদ্যুতের জন্য তিন-চরে ঘণ্টা বসতে হয়। এতে কাস্টমার এবং আমার উভয়েরই ক্ষতি হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, হঠাৎ বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার কারণে আমাদের সার্ভিসিংয়ের যন্ত্রপানি ন্ষ্ট হয়। আমরা অনেকদিন ধরে এই সমস্যায় ভোগতেছি। কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি দ্রততম সময়ে যেন এই সমস্যার সমাধান হয়।
কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বাপ্পি মিয়া বলেন, প্রচুর কাজ জমে আছে কিন্তু একমাত্র বিদ্যুতের জন্য কাজ করতে পারতেছি না। ৪৫ মিনটি বিদ্যুৎ থাকলে ২ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকতে হয়।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিছু পেতে হলে সরকারকে এদিকে নজর দিতে হবে। ব্যাবসায়ীদের নিয়ে আলাদা করে ভাবতে হবে। এতে উভয়ই উপকৃত হবে। ব্যাবসা ভালো হলে আমরাও সময়মতো ট্যাক্স দিতে পারবো
অভিজিৎ দত্ত অনাথ বলেন, ইদানিং বিদ্যুতের মারাত্মক অবস্থা। প্রতিদিন প্রায় ৬ থোকে ৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। আমরা কাজই করি ৮ ঘন্টা, এরমধ্যে ৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকলে আমরা কাজ করবো কীভাবে?
তিনি বলেন, আসলে আমরা আইটি ব্যবসায়ীরা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত। সময়মত কাস্টমারদের সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে।
কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের অনুরোধ খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান করবেন। বানিজ্যিক এলাকাগুলোতে যেন ব্যাবসার সময় অতিরিক্ত লোডশেডিং কমানো যায় সেদিকে লক্ষ রাখবেন। এতে করে আমাদের রুটিরুজির জন্য ভালো হবে।