মাইন উদ্দিন, শাবিপ্রবি
সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক ‘বাংলা ব্লকেড’ অবরোধ করে রেখেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১১টা থেকে মিছিল নিয়ে শাবির বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন তাঁরা। এরপর বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে চলে শিক্ষার্থীদের অবরোধ কর্মসূচি।
প্রবল বৃষ্টির মধ্যে দিনব্যাপী ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি চালিয়ে যান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন চলাকালে রোগী বহনকারী গাড়ি ও পরীক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে যাতায়াতের জন্য সহযোগিতা করছে আন্দোলনকারীরা। তবে তীব্র বৃষ্টিপাত ও যানজটের কারনে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে সাধারণ যাত্রীদের।
সাধারণ মানুষ অনেকেই এই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন। সিলেট টুকের বাজারের মিসফা বেগম বলেন, শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন যৌক্তিক। একটা স্বাধীন দেশে কখনই বৈষম্য থাকতে পারে না। কোটার বাতিলের জন্য যেদেশের মানুষ জীবন উৎসর্গ করে দেশ স্বাধীন করেছে, সেদেশে এখনো কোটাপ্রথা বহাল রয়েছে যা খুবই দুঃখের বিষয়। সরকারের উচিত শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়। ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্দোলন যেহেতু যৌক্তিক তাহলে একটু ভোগান্তি তো পোহাতেই হবে। তবে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই আবার তিক্ত মনোভাব প্রকাশ করেন। তার মধ্যে অনেকে শিক্ষার্থীদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়ান। গাড়ি চালকরা বলেন, আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। গাড়ি চালিয়ে সংসার চালাতে হয়।তাছাড়া গাড়ি বাড়ায় চালাই,এই অবরোধের কারনে দীর্ঘক্ষণ ধরে এখানে দাঁড়িয়ে আছি।যদি গাড়ি না চালাতে পারি তাহলে নিজেই খামু কি আর ভাড়াই দিমু কিভাবে। আন্দোলন পরবর্তীতে সমাপনী বক্তব্যে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী নুর উদ্দিন রাজু বলেন, একটি স্বাধীন দেশে কোটা প্রথা চালু মানে মেধাবীদের অবমূল্যায়ন করা। সরকারি চাকরিতে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক যে কোটা রাখা হয়েছে তা বাতিল করা হোক। অনগ্রসর ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ন্যূনতম কোটা রেখে সংসদে আইন পাস করতে হবে। নতুবা ছাত্র সমাজের এ আন্দোলন চলমান থাকবে।
দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখার পর বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টায় কর্মসূচি ঘোষণা করে সিলেট সুনামগঞ্জ মহাসড়ক ছাড়েন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।