জৈন্তাপুর প্রতিনিধি
টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে আবারও প্লাবিত হয়েছে জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল। গতকাল রবিবার রাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে ইতিমধ্যে উপজেলার নিজপাট ও জৈন্তাপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকায় ঢলের পানি প্রবেশ করছে।
সোমবার ( ১লা জুলাই) বিকাল ৩টায় উপজেলার, কাপনা, সারী, বড়গাং ও রাংপানি নদীতে প্রবল স্রোতের ফলে মানুষের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করছে। ঘন্টা খানেকের মধ্যে সবগুলো নদীর তীরবর্তী এলাকা পানি ছুঁইছুঁই এমন কি বহু ঘরবাড়িতে হাটু পানি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের দেয়া তথ্যমতে বেলা ১১:৩০ ঘটিকায় জৈন্তাপুর উপজেলার সারী নদীর পানি বিপদসীমার কাছা-কাছি প্রবাহিত হচ্ছিলো। তবে ভারীবৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সন্ধ্যার মধ্যে বিপদসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।
সরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জৈন্তাপুর ইউনিয়নের কেন্দ্রী হাওড়, লক্ষিপুর, বিরাইমারা,গরেরপাড়,কদমখাল, খাড়ুবিল,ডুলটিরপাড়, চাতলারপাড়, বাওনহাওড় শেওলারটুক ও নিজপাট ইউনিয়নে লামাপাড়া, বন্দরহাটী, মেঘলি, ফুলবাড়ী, ঘিলাতৈল, বাইরাখেল, ডিবিরহাওড় সহ নদী ও তার নিকটবর্তী এলাকার নিম্মাঞ্চলে বন্যার পানি প্রবেশ করছে।
এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দেয়া তথ্য অনুযায়ী গত ৭২ ঘন্টায় মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ৬৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী তিনদিনে ৯৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। সে অনুযায়ী সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
এদিকে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় দুইদফা বন্যা হয়েছে। পূর্ব প্রস্তুতি অনুযায়ী উপজেলায় মোট ৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেই সাথে উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিরা বন্যার পরিস্থিতি মনিটরিং করছেন বলে তিনি জানান।