সিলেট মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উমেদুর রহমান উমেদকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ৫ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায়। এরপর কারাবন্দি উমেদকে মহানগর পুলিশের শাহপরাণ, বিমানবন্দর, কোতোয়ালি ও জালালাবাদ থানার একটি প্রশ্নবিদ্ধ ছিনতাই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বর্তমানে যুবদল নেতা উমেদকে ১৪টি মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছ।
গত বৃহস্পতিবার (৬ জুন) মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল নগরীর শাহী ঈদগাহ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারগারে পাঠায় পুলিশ।
উমেদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন আশুক বলেন, এ পর্যন্ত যতটি মামলায় কারাবন্দি যুবদল নেতা উমেদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সবকটি রাজনৈতিক মামলা। এসব মামলার কোন ভিত্তি নেই। মামলার এজহার নামীয় আসামী হিসেবে উমেদের নাম নেই। তাকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে ৫টি মামলায়। এরপর তাকে একে একে ১৪ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আমরা এসব মামলায় আইনী লড়াই চালিয়ে ইতোমধ্যে সফল হয়েছি।
তিনি বলেন, ২০২৩ সালে জালালাবাদ থানাধীন পাঠানটুলা এলাকায় একজন মহিলা প্রবাসী ছিনতাইয়ের শিকার হন। এ ঘটনায় প্রবাসী মহিলা অজ্ঞাত আসামী করে জালালাবাদ থানায় ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত প্রাইভেট কারের নাম্বার উল্লেখ করে মামলা করেন। এছাড়া পুলিশ সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজও আদালতে দাখিল করে। গাড়ীর নাম্বার যাচাই করে দেখা গেছে ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত গাড়িটি মৌলভীবাজার প্রাইম ব্যাংকের নামে। এতে প্রতীয়মান হয় তদন্ত কর্মকর্তা ভিন্নখাতে মামলাটি নেয়ার জন্য যুবদল নেতা উমেদকে গ্রেপ্তার দেখানোর পাশাপাশি আদালতে ৫দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। গত বৃহস্পতিবার আদালতে রিমান্ড শুনানি হলে আমরা সার্বিক বিষয় আদালতে উপস্থাপন করার পর আদালত রিমান্ড না মঞ্জুর করেন।
বিএনপির চেয়ারপারর্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ছাত্রদলের রাজনীতি করে উমেদ এখন যুবদল নেতা। সে এখন আক্রোশের শিকার হয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলায় নিয়ে কারাবন্দি।
ছিনতাই মামলায় উমেদকে গ্রেপ্তার দেখানো ও রিমান্ডের আবেদনের বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর মুহাম্মদ সহিদুর রহমান জানান, জালালাবাদ থানার ছিনতাই মামলাটি বর্তমানে গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করছে। উমেদ ছিনতাইয়ের ঘটনার সাথে জড়িত আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত কাজ চলছে। তদন্তাধীন বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
আদালত সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ২৮ মে জালালাবাদ থানাধীন পাঠানটুলা এলাকায় লন্ডন প্রবাসী মমজান বিবি (৮৮) নামের এক মহিলার কাছ থেকে প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায় ৩জন ছিনতাইকারী। ছিনতাইকৃত স্বর্ণের বাজারমূল্য ৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা বলে মামলার এজহারে উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়া ছিনতাইকারীরা ছিনতাইকাজে ব্যবহার করে একটি কার (ঢাকা মেট্রো গ-১৪-৪৮২১)। যে কারটি মৌলভীবাজার প্রাইম ব্যাংকের নামে বিআরটিএ তালিকাভুক্ত। এই মামলায় গত ৮ জুন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর মুহাম্মদ সহিদুর রহমান মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতে যুবদল নেতা উমেদকে রহস্যজনক কারণে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।