সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
তাহিরপুরে বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় ইমরান হোসেন (২২) নামে এক মুদি দোকানির ছেলেকে ধারালো চাকু দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়কের পাশে উছনারঘাট গ্রামে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। ইমরান হোসেন ওই গ্রামের দোকান মালিক সাজিদ মিয়ার ছেলে। নিহতের স্ত্রী ও তিন শিশু সন্তান রয়েছে।
এদিকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় ঘাতক উপজেলার উছনারঘাট গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া (৩৪) কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাহিরপুর থানার ওসি ওই হত্যাকান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উছনারঘাট এলাকায় স্বল্প পুঁজি নিয়ে বসতঘরের ভেতর থাকা ছোট কামড়ায় মুদির ব্যবসা করে আসছিলেন সাজিদ মিয়া। লিটন মিয়া অনেকদিন থেকে ওই দোকান থেকে বাকিতে সিগারেটসহ নানা পণ্য সামগ্রী কিনে বকেয়া পরিশোধে গড়িমসি করে আসছিলো।
বকেয়া টাকা পরিশোধ না করেই ফের শুক্রবার সকালে ওই মুদি দোকান থেকে বাকিতে সিগারেট নিতে যান লিটন। বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় দোকান মালিক সাজিদ মিয়া কে গালমন্দ করে।
পিতা সাজিদ মিয়াকে গালমন্দ করায় ছেলে ইমরান হোসেন প্রতিবাদ করলে লিটন মিয়া রাগান্বিত হয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইমরান হোসেনকে চাকু দিয়ে আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় ইমরান হোসেনকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সংবাদ পেয়ে বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই নাজমুল ইসলাম, এএসআই নাজিম উদ্দিন, এএসআই বাচ্চু মিয়া একদল পুলিশ নিয়ে তাহিরপুর -বাদাঘাট সড়কের পাতারগাঁও এলাকায় ব্লক রেইড দিয়ে ঘাতক লিটনকে সকাল ৯টার দিকে আটক করেন।
তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।