মেহেদী হাসান/আহমেদ সবুজ:
‘মাগো আটই ফাল্গুনের কথা আমরা ভুলি নাই’- কণ্ঠশিল্পী ও গীতিকার ভাষাসৈনিক আবদুল লতিফের গানের এ কথাটি এখন বোধহয় একটু দুর্বল হয়ে গেছে।
‘আটই ফাল্গুন’ এখন অনেকটাই আড়াল পড়েছে ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’তে। একটা সময় ‘একুশে’র সমান্তরাল হিসেবে উচ্চারিত হত ‘আটই’।
মায়ের ভাষার অধিকার রক্ষায় প্রাণ বিসর্জনের ঘটনা ১৯৫২ সালের আগে আর দেখেনি পৃথিবী।
বাংলা মায়ের বীর সন্তানেরা মাতৃভাষার জন্য বায়ান্ন’র একুশে ফেব্রুয়ারি বুকের রক্তে ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত করে পৃথিবীর ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব নজির সৃষ্টি করেছিলেন। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে সে দিনটি ছিলো আটই ফাল্গুন। ১৩৫৮ সালের ৮ ফাল্গুন।
সেই আটই ফাল্গুনকে নিজের গায়ে ধরে রেখেছে সিলেটের প্রথম শহীদ মিনার, যেটি দাঁড়িয়ে আছে সিলেট সরকারি কলেজের সীমানার ভেতরে। পাকা করা উঁচু ভূমিতে দাঁড়িয়ে থাকা শহীদ মিনারটির ছোট্ট আদুরে নামই হচ্ছে “৮-ই।
মিনারের অবয়বে ফুটে উঠেছে বাংলা সংখ্যা ৮’ ও বর্ণ ‘ই’। দুয়ে মিলে ‘৮ ই’। লোহা বাঁকা করে সিমেন্টের প্রলেপে তৈরি হয়েছে এ স্মৃতির মিনার।
১৯৬৭ সালে ২১ ফেব্রুয়ারিকে সামনে রেখে সিলেট সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে এটি নির্মাণ করা হয়। এ শহীদ মিনারটির নকশা করেন কলেজের সে সময়কার ছাত্র হায়দার হোসেন চৌধুরী।
এ শহীদ মিনারের স্থপতির পরিচয় দীর্ঘদিনই অজানা ছিলো। সংস্কৃতিকর্মী কর্মী ও উদ্যোক্ত উত্তম কুমার সিনহা’র কল্যাণে বছর তিনেক আগে তার পরিচয় সামনে আসে।