এস এম ফাহিম, দক্ষিণ সুরমা:
মাঠের পরে মাঠ জুড়ে হলুদ ফুলের সমারোহ । যেদিকেই চোখ যাবে শুধু সরিষা চাষ চোখে পড়বে । শীতের এই মৌসুমে বিস্তৃত সরিষা চাষে সূর্যের কীরণ পড়ে যেন আলো জলমল করছে । দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় শীতের মৌসুমে অন্যান্য শাক-সবজি চাষের পাশাপাশি সরিষা চাষে বেশ উদ্বুদ্ধ হয়েছেন ।
জালালপুর ইউনিয়নের কাদিপুর ও আজমতপুর গ্রামে মোট সরিষা প্রদর্শনী করা হয়েছে ৮টি এর মধ্যে কাদিপুরে ৩টি ও আজমতপুরে ৫টি।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শের পাশাপাশি বিনামূল্যে সার ও বীজ পেয়েছেন কৃষকরা।
কৃষক আজমান আলী বলেন, তিনি তার খালি জমিতে (বারি সরিষা) জাতের সরিষা চাষ করেছেন এবং তিনি বলেন বিগত বছরেও কয়েকজন কৃষক উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর মাধ্যমে সরিষা প্রদর্শনী করে সরিষা থেকে তেল উৎপাদন করে লাভবান হয়েছিলেন যা দেখে এবার আজমান আলী নিজের ৩০ শতক জমিতে সরিষা চাষ করেছেন যাতে এই সরিষা থেকে তেল উৎপাদন করে সাবলম্বী হতে পারেন ।
জালালপুর ইউনিয়ন এর দায়িত্বে থাকা কৃষি অফিসার মো. আবুল হাসান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজমতপুর গ্রামে কৃষকরা প্রায় ৮০ বিঘা ও কাদিপুরে ৩ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন । তিনি আরো জানান যে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজস্বখাতের অর্থায়নে এই সরিষা প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে সার ও বীজ দেওয়া হয়েছে। সরিষা চাষে এই এলাকায় কৃষকদের অসুবিধার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে দেরিতে সরিষা আবাদ করতে হয়েছে।
সরিষা বীজ রোপনের পর থেকে শরু করে এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে কৃষকরা ফসল তুলতে পারবেন বলে জানান। প্রদর্শনী ছাড়া কোন কৃষক আগ্রহী হয়ে সরিষা চাষ করতে চাইলে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে প্রণোদনা হিসেবে সার ও বীজ দেওয়া হয় বলে জানান।
উপস্থিত কয়েকজন কৃষকের মধ্যে কৃষক নবীন আহমদ লয়েছ বলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে আমরা বিনামূল্যে সার ও বীজ পাচ্ছি। আমরা কৃষকরা এই সরিষা চাষের মাধ্যমে সাবলম্বী হতে পারব বলে আশা করি । উপজেলা কৃষি অফিস জানায় সরকারের আরো পৃষ্ঠপোষকতা পেলে সরিষা চাষ আরো সম্প্রসারণ করব।