দক্ষিণ সুরমা প্রতিনিধি:
জালালপুর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ইউকে’র উদ্যোগে ও রিমোট মেডিকেল রিলিফ এর তত্বাবধানে জালালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প ও চক্ষু শিবির এর আয়োজন করা হয় এতে জালালপুর ইউনিয়ন এর বিভিন্ন গ্রাম সহ পাশ্ববর্তী কয়েকটি ইউনিয়ন এর অনেক রোগীকে ফ্রী চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয় । ডাঃ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও ডাঃ বিলাল উদ্দিন খাঁন এর নেতৃত্বে মেডিসিন ও চক্ষু বিভাগের অভিজ্ঞ ডাক্তারদের মাধ্যমে এই চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয় ।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৯টা থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে। চোখের রোগী আসেন প্রায় ১ হাজার এবং এদের মধ্যে ডাক্তারদের পরামর্শে ১০০ জন রোগীকে চোখের ছানী অপারেশন করানোর ব্যাবস্থা করে দেওয়া হয় এছাড়াও সাধারণ রোগী আসেন প্রায় ৩শত জন সবাইকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। উপস্থিত কয়েকজন রোগীর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন যে, ফ্রী এই চিকিৎসা সেবা পেয়ে তারা আনন্দিত।
উক্ত ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প ও চক্ষু শিবিরে দিনের প্রথম প্রহরে এক সংক্ষিপ্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন জালালপুর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ইউকে’র সভাপতি কামাল আহমদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমদ,সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আল ইসলাম রাজন,সহ-কোষাধ্যক্ষ ফয়জুল ইসলাম সায়েম, ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক শাহ মোঃ সাদিক মিযা, দক্ষিণ সুরমা সমাজ কল্যাণ সমিতি ইউকে’র সভাপতি শাহজাহান শিকদার, জালালপুর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ইউকে’র প্রচার সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম,জালালপুর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ইউকে’র সাবেক সভাপতি হোসেন আহমদ,জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়েস আহমদ, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শহীদুর রহমান শাহীন, এম এ শহীদ পংকি, বদরুল ইসলাম জয়দু, জালালপুর বাজার বনিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল বাসিত বাচ্চু, আবদুস সালাম চৌধুরী সোহেল, আনিলগনজ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আখলাকুল আম্বিয়া বাতিন, জালালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধীমান ব্রত পাল,জালালপুর জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি শামসুর রহমান সুজা, সৈয়দ মোহাম্মদ টিপু প্রমুখ ।
এই ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্পে শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করে স্কাউটস সদস্যরা এবং তাদের সাথে সহযোগিতা করেন জালালপুর যুব সমাজের একঝাঁক যুবক । পরিশেষে এই ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প ও চক্ষু শিবির অনুষ্ঠানের আয়োজকবৃন্দ জানান এবছর যেভাবে মানুষের সাড়া পেয়েছেন এইরকম সাড়া পেলে তারা আগামীতেও এই আয়োজন অব্যাহত রাখার চেষ্টা করবেন যাতে অসহায়, হতদরিদ্র পরিবারের মানুষ চিকিৎসা সেবা পায় ।