আধুনিক ডেস্ক:
শাল্লায় বেড়েই চলেছে চুরি। প্রায় প্রতি রাতেই ঘটছে চুরির ঘটনা। দিনের বেলায়ও ঘরের দরজা ভেঙ্গে চুরি’র ঘটনা ঘটেছে। থানার ওসি বলছেন, ‘চুরি বেড়ে যাওয়ার তথ্য সঠিক নয়।’
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলা পরিষদ কোয়ার্টারেও দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। ইউপি সচিব অসিত বরণ দাস ও তার স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা বিউটি রানী দাস সকালে তাদের ৭ম শ্রেণি পড়োয়া মেয়ে অর্চিতা সেনকে বাসায় রেখে বের হয়ে যান। দুপুরে দরজায় তালা দিয়ে পাশের মাঠে খেলতে যায় অর্চিতা সেন। খেলা থেলে ফিরে এসে ঘরের দরজা খোলা পায় এবং ঘরের আসবাবপত্র ও কাপড়চোপড় এলোমেলো দেখে সে চিৎকার করে। তার চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এসে জড়ো হয়।
জানা যায়, এসময় বাসার দরজার তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে চোর। এরা আলমিরা ও ওয়ারড্রব ভেঙে পরিবারের সদস্যদের ১১ ভরি স্বর্ণালংকার নগদ প্রায় ৮৭ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
অসিত বরণ দাস জানান, একটা তিন মিনিটে ঘরে ফিরে তার মেয়ে অর্চিতা দরজা খোলা ও আলমিরার ড্রয়ার খোলা দেখে কাঁদতে কাঁদতে তাকে জানায়। তিনি এসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর হাসান সরেজমিনে দেখতে আসেন এবং থানায় অভিযোগ করার কথা জানান। শুক্রবার এই বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।
এছাড়া একইদিন রাতে উপজেলা সদরের পাশের গ্রাম আনন্দপুরের বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য বাবলু রায়’এর চারটি ট্রাক্টর এক্সকেবেটরের ব্যটারি চুরি হয়ে যায়। একই গ্রামের মিহির রায়ের সেচ যন্ত্রের তারসহ যন্ত্রাংশ চুরি হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে আনন্দপুর গ্রামের হাসের খামারি দীপু রঞ্জন দাসের খামার থেকে ৫০ টি হাস চুরি হয়। মাহমুদনগর হাওর থেকে দুই কৃষকের পানি সেচের মেশিন নিয়ে যায়।
এছাড়া গেল কয়েক দিনে বাহাড়া ইউনিয়নের খল্লি গ্রামের কাজল দাসের দুইটি গরু, শাল্লা ইউনিয়নের রৌয়া গ্রামের যোগেশ্বর দাস, মেঘনাপাড়া প্রণজিৎ দাসের খামার থেকে হাস চুরি যায়।
গিরিধর উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী রতন চন্দ্র দাসের মোটর সাইকেল স্কুল কক্ষের তালা ভেঙে বৃহস্পতিবার রাতে বের করে নিয়ে যায় চোরেরা। মোটর সাইকেলে তেল না থাকায় সাইকেল ভাংচুর করে পাশের মাদারিয়া খালে ফেলে যায়।
উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের খল্লি গ্রামের কাজল বরণ দাস বললেন, এলাকায় এর আগেও গরু চুরি হয়েছে। চোরদের কিছু টাকা দিয়ে গরু উদ্ধারও হয়েছে। এবার উদ্ধার করা যাচ্ছে না। ১১ জানুয়ারি চুরি হয়েছিল দুটি বিদেশী গরু। এখনো (বৃহস্পতিবার পর্যন্ত) উদ্ধার করতে পারি নি। থানা পুলিশকে জানিয়েও কোন লাভ হয় নি।
শাল্লা থানার ওসি মিজানুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, চুরি বেড়ে যাওয়ার তথ্য সঠিক নয়। দুটি পরিবারের গরু চুরি হয়েছিল। একটি পরিবারের গরু উদ্ধার হয়েছে। চোরও গ্রেপ্তার হয়েছে। আরেকটি পরিবারের গরু হাওরের ভেতরেই পাওয়া গেছে।