মোঃ সাজ উদ্দিন, জৈন্তাপুর:
বাংলাদেশ স্থলবন্দর শুল্ক বিভাগ পাথর আমদানির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শুল্ককর বৃদ্ধি করায় প্রতিবাদ জানিয়ে সিলেট তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি বন্ধ রেখেছে তামাবিল পাথর, চুনাপাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের ব্যবসায়ীরা।
০৮ জানুয়ারি (সোমবার) দুপুর ১২ টায় এক মতবিনিময় সভা থেকে তামাবিল পাথর, চুনাপাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের ব্যবসায়ীরা ভারতীয় পাথর আমদানি বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন তামাবিল পাথর, চুনাপাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি এম লিয়াকত আলী, সহ-সভাপতি মোঃ জালাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার হোসেন সহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
জানা যায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী সিলেট কাস্টমস কমিশনারেট গত ৮ জানুয়ারি হতে আমদানিকৃত পাথরের (লাইম ও বোল্ডার) অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু (শুল্কায়নযোগ্য মূল্য) প্রতি মেট্রিক টনে ১.২৫ ডলার বৃদ্ধি করার ঘোষণা দিয়েছে । বর্ধিত অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালুর প্রেক্ষিতে প্রতি টন পাথরের (লাইম ও বোল্ডার) শুল্ক ৬১.৫৮ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে । বাড়তি শুল্ককর প্রত্যাহারের দাবিতে ০৮ জানুয়ারি (সোমবার) থেকে উভয় দেশে পাথর আমদানি বন্ধ করেছে পাথর ব্যবসায়ীরা। এই হারে রাজস্ব বাড়ার কারণে ব্যবসায়ীদের লোকসান গুণতে হবে। ফলে ব্যবসায়ীরা বাড়তি শুল্ক হার প্রত্যাহারের দাবিতে পাথর আমদানি বন্ধ রেখেছে। তবে পাথর ব্যতীত অন্যান্য পণ্য আমদানি-রপ্তানি চলমান রয়েছে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, শুল্ককর বৃদ্ধিতে পাথর আমদানি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। শুল্ক কর না কমানো পর্যন্ত তারা পাথর আমদানি করবেন না বলে জানিয়েছেন। পাথর নির্ভর এ বন্দরটিতে পাথর আমদানিতে রাজস্ব আয় হয়ে থাকে। এভাবে পাথর আনা বন্ধ থাকলে বন্দরটি থেকে সরকার রাজস্ব আয়ে পিছিয়ে পড়বে।
এবিষয়ে তামাবিল পাথর, চুনাপাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি এম লিয়াকত আলী বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ভারত থেকে পাথর আমদানির ওপর অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু প্রতি মেট্রিক টনে অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধি করে। এই বাড়তি শুল্ক দিয়ে পাথর আমদানি করতে হলে আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়বেন। তাই তামাবিলসহ সিলেটের সবকটি বন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে পাথর আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (জারাবো) কর্তৃক সিলেট অঞ্চলের স্থলবন্দরগুলোতে ভারত থেকে আমদানি করা বোল্ডার স্টোন ও লাইমস্টোন পাথরের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক মূল্য বৃদ্ধি সংক্রান্ত সিলেট কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কর্তৃক গত ০৪ জানুয়ারি একপত্রে ০৮ জানুয়ারি থেকে শুল্কায়ণ মূল্য কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছে।