আধুনিক রিপোর্ট ||
সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী ও জেলা যুবদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুমিনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় সিলেট মহানগরের বন্দরবাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ারি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন।
এদিকে, বিএনপির দাবি- শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বন্দরবাজার এলাকায় লিফলেট বিতরণকালে এমদাদ ও মুমিনসহ ৫ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
জেলা বিএনপির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির গণসংযোগ থেকে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী ও জেলা যুবদলের সভাপতি এডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুহিন সহ ৫ জন নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিএনপির ভাষ্য, শনিবার বিকেলে অসহযোগ আন্দোলনে জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে গণসংযোগ কর্মসূচির শেষ দিনে বন্দরবাজার লালদিঘীর পার এলাকা থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কয়েক’শ নেতাকর্মী গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শুরু করেন। পরে বন্দরবাজার হাসান মার্কেটের সামনে আসা মাত্র পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিতে হামলা চালায়। এসময় মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী ও জেলা যুবদলের সভাপতি এডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুমিন সহ ৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ।
এদিকে, গণসংযোগ কর্মসূচি থেকে সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী ও সিলেট জেলা যুবদলের সভাপতি এডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুমিনকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী। বিএনপি নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সৈনিকদের গ্রেফতার ও নির্যাতন করে ফ্যাসিবাদের শেষ রক্ষা হবে না। অভিলম্বে গ্রেফতারকৃত সকল রাজবন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। অন্যতায় এর পরিনাম খুবই ভয়াবহ হবে।