আধুনিক কাগজ স্পোর্টস
বাংলাদেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে দেশের বাইরে সেঞ্চুরি করেও হার এড়াতে পারলেন না ফারজানা হক।
দেশের প্রথম কোন নারী ক্রিকেটার হিসেবে বিদেশের মাটিতে শতরান করলেন ফারজানা হক। বাংলাদেশের একমাত্র নারী ব্যাটার হিসেবে তিনি দুবার ছুয়েছেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার। কিন্তু দলের হারে তার সেঞ্চুরিটি কোন কাজেই আসেনি। ফারজানার শতরানে ভর করে লড়াইয়ের পুঁজি গড়ে বাংলাদেশ। তবে প্রথম ৪ ব্যাট্যারের দারুণ ব্যাটিংয়ে তা অনায়াসেই পেরিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা।
পচেফস্ট্রুমে বুধবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮ উইকেটে জয় পায় স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের দেয়া ২২৩ রানের লক্ষ্য ২৯ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৬৭ বলে ১১ চারে ১০২ রান তোলেন ফারজানা। দুই ইনিংস মিলিয়ে ম্যাচে মোট রান হয়েছে ৪৪৫। নারী ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের মধ্যকার কোনো ম্যাচে এটি সর্বোচ্চ।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বর্তমানে ১-১ এ সমতা বিরাজ করছে। প্রথম ম্যাচে ১১৯ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করে বাংলাদেশ। এক প্রান্ত আগলে রেখেছেন ফারজানা, অন্য প্রান্তে দ্রুত রান তুলেছেন শামিমা সুলতানা। তার ব্যাটে ভর করেই রানের চাকা সচল থাকে বাংলাদেশের। ৫ চারে ৩৬ বলে ২৮ রান করে ফেরেন শামিমা। ৪৮ রানের জুটি ভেঙে গেলে বেশিক্ষণ টেকেননি মুর্শিদা খাতুন ও নিগার সুলতানাও। ৩৩ বল খেলে ১৩ রান করেন অধিনায়ক এক চারে ১৩ রান করতে ৩৩ বল খেলেন অধিনায়ক নিগার।
ফারজানা ১৬৫ বলে পান ওয়ানডেতে তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। গত জুলাইয়ে মিরপুরে ভারতের বিপক্ষে করেন প্রথম সেঞ্চুরি। রানের চাকা সচল রাখেন ফাহিমা খাতুন। ফারজানার সঙ্গে ৯৩ রানের জুটি গড়েন তিনি। তিন চারে ৪৮ বলে অপরাজিত ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন ফাহিমা।
রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা দারুণ সূচনা করে। লরা উলভার্ট ও টাজমিন ব্রিটসের শতরানের জুটিতে দুই ওপেনারই করেন ফিফটি। পরপর দুই বলে তাদের আউট করেন রিতু মণি ও ফাহিমা। রিতুর করা ২৫ ওভারের শেষ বলে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে ৫০ রান করেন ব্রিটস। ৮৪ বলের ইনিংসে এক ছক্কা ও দুটি চার মারেন ব্রিটস। পরের ওভারে প্রথম বলে উলভার্টকে বোল্ড করেন ফাহিমা। দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক তিন চারে ৬৭ বলে করেন ৫৪ রান। পরে অবিচ্ছিন্ন ১১৭ রানের জুটিতে দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন আনেকা বশ ও সুনে লিস। ৬৩ বলে ৭ চারে ৬৫ রান করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন আনেকা বশ। ম্যাচ সেরাও হন তিনি। আর ৫৭ বলে ১টি চারে অপরাজিত ৪৭ রান করেন লিস।
বেনোনিতে আগামী শনিবার মাঠে গড়াবে তৃতীয় ওয়ানডে।