স্টাফ রিপোর্ট
তফসিলের তিনটি ধাপ পেরিয়ে সিলেটের ছয়টি আসনে নির্বাচনী মাঠে চূড়ান্ত লড়াইয়ে টিকে রইলেন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দলের ৩৩ জন প্রার্থী।
যাচাই-বাছাইয়ে বাতিল, আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া ও প্রত্যাহার শেষে সিলেটের ছয়টি আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৩ প্রার্থী চূড়ান্ত লড়াইয়ে আছেন। আজ সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে প্রচারণা শুরু করবেন প্রার্থীরা।
ভোটের লড়াইয়ে আছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত ছয় প্রার্থী, জাতীয় পার্টির চারজন, তৃণমূল বিএনপির পাঁচজন, ইসলামী ঐক্যজোটের (আইওজে) চারজন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) তিনজন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের তিনজন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের দুইজন, গণফোরামের একজন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের একজন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল’র একজন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন তিনজন।
সিলেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের মধ্যে আছেন-
সিলেট-১: আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন, ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী ফয়জুল হক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী ইউসুফ আহমদ, বাংলাদেশ কংগ্রেস’র প্রার্থী মোহাম্মদ সোহেল আহমদ চৌধুরী, আপিলে ফিরে আসা বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী আব্দুল বাছিত।
সিলেট-২: আপিলে ফেরা গণফোরাম’র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান, আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুর রহমান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহইয়া চৌধুরী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী মো. মনোয়ার হোসাইন, আপিলে ফিরে আসা তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুর রব, আপিলে ফেরা বাংলাদেশ কংগ্রেস’র মো. জহির। এ আসনে ১৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিলেও গত ৩ ডিসেম্বর বাছাইকালে বাতিল করা আট প্রার্থীর তিনজন আপিল করে বৈধ হন।
সিলেট-৩: আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক, আপিলে ফেরা স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী আনোয়ার হোসেন আফরোজ, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী শেখ জাহেদুর রহমান (মাসুম), আপিলে বৈধতা পাওয়া ইসলামী ঐক্যজোট (আইওজে) প্রার্থী মো. মইনুল ইসলাম। এ আসনে আট প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করলেও বাছাইয়ে বাতিল পড়া দুইজনের একজন আপিলে ফিরেছেন।
সিলেট-৪: আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি ইমরান আহমদ, ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মো. নাজিম উদ্দিন (কামরান) এবং আপিলে ফেরা তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মো. আবুল হোসেন। এ আসনে তিন প্রার্থীর একজন বাছাইয়ে বাতিল হলেও আপিলে বৈধতা পান।
সিলেট-৫: আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আহমদ আল কবির, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী কুতুব উদ্দীন আহমদ শিকদার, জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাব্বীর আহমদ, বাংলাদেশ কংগ্রেস’র প্রার্থী মো. বদরুল আলম এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) প্রার্থী মো. খায়রুল ইসলাম। এ আসনে বাছাইয়ে আট প্রার্থীর কেউ বাদ পড়েননি। কেবল একজন প্রত্যাহার করেন।
সিলেট-৬: আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা সরওয়ার হোসেন, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী শমসের মুবিন চৌধুরী, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সেলিম উদ্দিন, ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী সাদিকুর রহমান এবং বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী আতাউর রহমান। এ আসনটিতেও বাছাইয়ে কেউ বাদ পড়েননি, কেউ প্রত্যাহারও করেননি।
এছাড়া রোববার (১৭ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। এদিন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন সিলেট-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ও জাকের পার্টির মো. আব্দুল হান্নান। সিলেট-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলতাফুর রহমান সুহেল ও জাকের পার্টির মো. ছায়েদ মিয়া। এছাড়া এ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আব্দুর রবকে চূড়ান্ত দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় দলটির অপর প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান খানের প্রার্থিতা স্থগিত রাখা হয়েছে। সিলেট-৪ আসনে জাকের পার্টির মো. আলী আকবর, সিলেট-৫ আসনে তৃণমূল বিএনপির কয়ছর আহমদ কাওসার।
তফসিল অনুযায়ী সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত ভোটের প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। এরপর ৭ জানুয়ারি ভোট অনুষ্ঠিত হবে।