পাঁচ বছরের ব্যবধানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীর বার্ষিক আয় ২০ লাখ টাকা কমেছে। কিন্তু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নগদ জমার পরিমাণ প্রায় চার গুণ বেড়েছে।
মাহবুব আলী ২০১৪ সালে যখন প্রথম সংসদ সদস্য হন, তখন তার বার্ষিক আয় ছিল ৮ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নগদ টাকার পরিমাণ ছিল ৬ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। ২০১৮ সালের হলফনামায় তিনি বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ৫৬ লাখ ৪৮ হাজার ৯০৫ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তাঁর নগদ জমার পরিমাণ দেখানো হয়েছিল ৮০ লাখ ৭ হাজার ৫১৬ টাকা।
এবার তার বার্ষিক আয় কমে ৩৬ লাখ ১৮ হাজার ৫৮৬ টাকায় এসে ঠেকেছে। তবে ব্যাংকে নগদ টাকা জমার পরিমাণ বেড়ে ৩ কোটি ১৮ লাখ ৮৮ হাজার ৬১৮ টাকা হয়েছে। তিনি আগে চড়তেন ১০ লাখ টাকার মূল্যের গাড়িতে। মন্ত্রী হওয়ার পর কোটি টাকায় কিনেছেন দুটি গাড়ি।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব আলীর জমা দেওয়া হলফনামা ও আগের দুটি হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। হাইকোর্টের আইনজীবী মো. মাহবুব আলী ২০১৮ সালে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এবার পুনরায় তিনি এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন।
এবারের হলফনামায় তিনি দেখিয়েছেন, তার আয় ৩৬ লাখ ১৮ হাজার ৫৮৬ টাকা। এর মধ্যে ব্যবসায় থেকে ৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, কৃষি থেকে আয় ৮০ হাজার টাকা, বাড়ি ভাড়া থেকে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত থেকে ১৪ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৬ টাকা এবং তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে সম্মানী পান ১১ লাখ ৪ হাজার টাকা। পাঁচ বছর আগে তিনি একই খাত থেকে এ আয় দেখিয়েছিলেন, ৫৬ লাখ ৪৮ হাজার ৯০৫ টাকা। অর্থাৎ গত ৫ বছরে তাঁর আয় কমেছে ২০ লাখ টাকা।
হবিগঞ্জ-৪ আসনে মাহবুব আলী ছাড়াও এবার বৈধ প্রার্থী আছেন আটজন। তারা হলেন—ইসলামী ঐক্যজোটের আবু ছালেহ, জাতীয় পার্টির আহাদ উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোহাম্মদ আবদুল মমিন, বিএনএমের মো. মোখলেছুর রহমান, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. রাশেদুল ইসলাম, জাকের পার্টির সৈয়দ আবুল খায়ের, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আল আমিন ও স্বতন্ত্র সৈয়দ সায়েদুল হক।