রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশ দেবেন। রিটটি হাইকোর্টের কার্যতালিকার ৫ নম্বরে রাখা হয়েছে।
একটি সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় আরেকটি সংসদ নির্বাচনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিবসহ ৭ জনকে বিবাদী করা হয়।
এরপর গত ৪ ডিসেম্বর রিটের শুনানি শেষ হয়। একইসঙ্গে আদেশের জন্য ১০ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়।
সেদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউনূস আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তাকে সহযোগিতা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
এর আগে, গত ২৮ নভেম্বর সংসদ নির্বাচনের তারিখ পেছানোর দাবি করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আইনি নোটিশ পাঠান ইউনুছ আলী আকন্দ।
নোটিশে বলা হয়, দেশে হরতাল-অবরোধ চলছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু ভোট করা সম্ভব নয়। এ ছাড়া হরতাল-অবরোধের ফলে দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত নয়। এ অবস্থায় নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণে আগামী ৭ জানুয়ারি তারিখ রেখে গত ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।