পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, কিছু বিপদগামী লোক আছে, তারা নির্বাচন চায় না। নির্বাচন বানচাল করতে চায়। কারণ নির্বাচন হলে তারা বিজয়ী হতে পারবে না।
বিএনপির নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, তারা জনগনের কথা বলে না। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে এটা বলে না। গাজাতে মানুষ মরছে এটা বলে না। তারা অমানুষ। তারা কেবল তাদের নেত্রীর মুক্তির কথা বলে।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেটে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
জাতিসংঘে পাঠানো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি গণমাধ্যমে ছাপা উচিত হয়নি উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, জাতিসংঘে পাঠানো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের থ্যাংকস লেটারটি (চিঠি) গণমাধ্যমে ছাপা উচিত হয়নি। যারা ছাপছে তারা দেশের শত্রুর মতো আচরণ করছে। প্রতি বছরই জাতিসংঘ সফর শেষে এ ধরনের চিঠি দেওয়া হয়। এটা একান্তই ব্যক্তিগত, এটি কীভাবে গণমাধ্যমে ছাপা হয় তা বোধগম্য নয়।
এ সময় পোশাক খাতে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এসব খামোখা। আমার কাছে এমন কোনো তথ্য নেই। কিছু বিপথগামী লোক নির্বাচন বানচাল করতে এসব কথা বলে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।
জাতিসংঘে পাঠানো চিঠির বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা গিয়েছিলাম সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘে। সেই সময় অনেকের সঙ্গেই সাক্ষাৎ হয়। আমাদের একটি রেওয়াজ আছে যাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হয়, দেখা-সাক্ষাৎ হয় তাদের একটি ধন্যবাদপত্র দেওয়ার। এবারও সেটাই হয়েছে। ধন্যবাদ দেওয়ার পাশাপাশি আমাদের যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সেসব কথাবার্তা চিঠিতে উল্লেখ করা ছিল; যা একান্ত ব্যক্তিগত চিঠি। আর এটা খামোখা একটি পত্রিকা ছেপে দিয়েছে। এটা বড় লজ্জার বিষয়। আমি জানি না এটা কীভাবে হলো, আমাদের দেশে কিছু লোক আছে যারা দেশের শত্রুর মতো আচরণ করছে। বাহবা পাওয়ার জন্য যা পাচ্ছে তাই গণমাধ্যমে নিয়ে আসছে। এটা হওয়া উচিত নয়। এটা খুব দুঃখজনক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, যারা এসব করছে তারা নির্বাচনকে ভয় পায়। তাদের জনসমর্থন নেই। তারা জনগণের জন্য কোনোদিন আন্দোলন করেনি। তারা তাদের প্রভুদের খুশি করতে গিয়ে গাজায় যে ধরনের মানবিক বিপর্যয় চলছে, হত্যাযজ্ঞ চলছে সেই বিষয়ে কোনো কথা বলছে না। এরা তো মানুষ নয়, অমানুষ।