কোম্পানিগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিলেট কোম্পানীগঞ্জে সিএনজি (অটোরিকশা) যাতায়াত নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে পুর্নাছগাম ও সুন্দাউরায় গ্রামের মারামারিতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি নিহত হয়েছেন। নিহত আব্দুল্লাহ পছা মিয়া (৪০)। তিনি সুন্দাউরা গ্রামের মৃতু আয়াত উল্লার পুত্র। এ ঘটনায় আহত অর্ধশতাধিক।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার পুর্নাছগাম-সুন্দাউরায় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আব্দুল্লাহ পছা মিয়া উপজেলার ৬নং দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ৭নং ওয়ার্ড শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। নিহত আব্দুল্লাহ’র ময়নাতদন্ত শেষে আজ বাদ আসর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
নিহতের স্ত্রী মোছাম্মদ চাম্পা বেগম বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৪০/৪৫ জন, কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নাম্বার – ১ জিআর নং ২১১/২০২৩। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, আকিল মিয়া (৬০), পিতা-মৃত খলিলুর রহমানরুহুল আমিন (২৮) নাছির উদ্দিন ওরফে সাদ্দাম (৩০), উভয় পিতা-সপ্ত মিয়া, সানুর মিয়া (৩৫), পিতা-মৃত খলিলুর রহমান, কয়েছ মিয়া (৩২), পিতা-সন্ত মিয়া, দুলাল মিয়া (৩৫), পিতা-মরম আলী, ফারুক মিয়া (৩৬), পিতা-মৃত শুকুর উল্লাহ, আনছার আলী (৩৮), পিতা-মৃত কলিম উল্লাহ, দিলদার মিয়া (২২), পিতা-আব্দুল মতিন, শামীম আহমদ (২৫), পিতা-মরম আলী, সালিক আহমদ (২২), পিতা-সন্তু মিয়া, সন্তু মিয়া (৬৬), পিতা-মৃত সুবেদ আলী, আব্দুল মালিক (২০), পিতা-সন্তু মিয়া, আইন উদ্দিন (৩৫), পিতা-মৃত কাছিম আলী, মশাহিদ আলী (৫৮), পিতা-মৃত সোনাফর আলী, রিয়াজ উদ্দিন (৪৮), পিতা-মৃত খলিলুর রহমান, আছিয়া খাতুন (৫৫), স্বামী-সন্তু মিয়া, সর্ব সাং পূর্নাছগাম, সর্ব থানা-কোম্পানীগঞ্জ, জেলা সিলেট।
আটককৃতরা হলেন, দিলদার হোসেন, ফারুক মিয়া ও আইনুদ্দীন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হিল্লোল রায় বলেন, এ ঘটনায় একটা মামলা দায়ের করা হয়, তিন জনকে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ, শনিবার সিএনজি (অটোরিকশা) যুগে হায়দরি বাজারে যাতায়াতের জন্য একটি সিএনজিকে থামানো হয়, সেখানে যাতায়াত নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায় বিষয়টি গ্রাম ভিত্তিক চলে যায়। রবিবার সকাল ৮ টার দিকে পুর্নাছগাম ও সুন্দাউরা গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষ ফেরাতে যান আব্দুল্লাহ ওরফে পছা মিয়া। সেখানে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে।