দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে মুখোমুখি স্বাগতিক বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। তৃতীয় দিন সকালে ব্যাট করতে নেমে দ্রুতই গুটিয়ে গেছে কিউইরা। জবাবে দারুণ ব্যাটিংয়ে দেড়শ রানের লিড নিয়েছে টাইগাররা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে সংগ্রহ দুই উইকেটে ১৬৩ রান। নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৩১০ ও নিউজিল্যান্ড ৩১৭ রান করেছে। বাংলাদেশের লিড ১৫৬ রান।
৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান দলের ইনিংস উদ্বোধন করেন। প্রথম সেশনে কোনো উইকেট না হারিয়ে দেখেশুনে কাটিয়ে দেন দুজন।
তবে লাঞ্চ বিরতির পর জয় ও জাকির উভয়েই সাজঘরে ফেরেন। আজাজ প্যাটেলের বলে ১৭ রানে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন জাকির। পরের ওভারে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হন জয়। এ ওপেনার করেন ৮ রান।
মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে দুই উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। উইকেট ধরে রেখে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন দুজন। তাদের ব্যাটে দ্রুত এগোতে থাকে স্বাগতিক দল।
শান্ত ও মুমিনুলের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে তৃতীয় উইকেটে আসে ৯০ রানের জুটি। শান্তর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ৪০ রানে রান আউট হন মুমিনুল। তার বিদায়ের একটু পরই ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত।
চতুর্থ উইকেটে দলকে ভালোভাবেই এগিয়ে নিচ্ছেন শান্ত ও মুশফিক। এ দুই ব্যাটার যথাক্রমে ৭১ ও ২৯ রানে অপরাজিত আছেন।
এর আগে ৮ উইকেটে ২৬৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে নিউজিল্যান্ড। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার টিম সাউদি ও কাইল জেমিসন দুজনই নিয়মিত রান বের করতে থাকেন। দুজনে গড়েন পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি।
নবম উইকেটের প্রতিরোধে লিড নেয় নিউজিল্যান্ড। এ অবস্থায় মুমিনুল হককে আক্রমণে আনেন স্বাগতিক দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এ পার্ট টাইমার এসেই দ্রুত দুই উইকেট শিকার করেন।
প্রথমে ২৩ রান করা জেমিসনকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মুমিনুল। এর মাধ্যমে এই বাঁহাতি ভাঙেন সাউদির সঙ্গে জেমির ৫২ রানের জুটি। নিজের পরের ওভারে ৩৫ রান করা সাউদিকে বোল্ড করে কিউইদের গুটিয়ে দেন মুমিনুল।
বাংলাদেশের হয়ে তাইজুল চারটি, মুমিনুল তিনটি এবং মিরাজ, শরিফুল ও নাঈম একটি করে উইকেট নেন। দ্বিতীয় দিন কেন উইলিয়ামসনের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহের ভীত পায় নিউজিল্যান্ড।