ছাতক প্রতিনিধিঃ
ছাতকের চরমহল্লায় গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষ ৬০ জন আহত হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা, উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নের জালালীচরে জমিতে গরুর ধান খাওয়া নিয়ে গ্রামের মতিউর রহমান ও ফারুক মিয়ার লোকজনের মধ্যে এক সংঘর্ষ হয়। এসময় আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক লোক। এর মধ্যে গুরুতর আহত ২৫ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার বিকেলে মতিউর রহমানের পক্ষের গেদাই মিয়ার পাকা ধান ক্ষেতে ফারুক মিয়ার পক্ষের আব্দুস সুবহানের পুত্র এখলাস মিয়া তার গরু দিয়ে ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে গেদাই মিয়াকে মারপিট করে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে বুধবার সকালে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও ইট,পাথর,বোতলের আঘাতে উভয়পক্ষের প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনেন। সংঘর্ষে গুরুতর আহত মাসুক মিয়া (৬০), আব্দুন নূর (৬৮), কবির মিয়া (২৮) মোহাম্মদ আলী (৩৫), এখলাস মিয়া (৩৪), আব্দুল মমিন (৩৫), খালিদ মিয়া(৪৫), আব্দুল হামিদ (৬৫), আমিরুল ইসলাম (৬০), নুরুল্লাহ (৩৫), সুজন মিয়া (২৬), আব্দুল হামিদ (৬৫), শামীম মিয়া (৩০), খোকন মিয়া (১৮), বিল্লাল মিয়া (৩৫), শামসুজ্জামান (২৬), কুতুব উদ্দিন (৩৫), নাদের আহমদ (২০), রিপন মিয়া (২৫), আজাদ মিয়া (৫০), শামীম আহমদ (২৯), হারুনুর রশিদ (৫৮), মতিউর রহমান (৫৫), আনহর মিয়া (৫১), তাতিম আহমদ (১৮) ও মামুন মিয়া (২৪) কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি আহতদের কৈতক ২০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জাউয়াবাজার পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ আকরাম আলী জানান, এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং কোন পক্ষ এখন পর্যন্ত মামলা দায়ের করেনি।