আধুনিক ডেস্ক:
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্ধিত সভায় দলীয় কোন্দল থাকায় অনুপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের তিন-চতুর্থাংশের বেশি নেতাকর্মী।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে পৌর অডিটোরিয়ামে এ বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট-৬ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও নৌকার মাঝি নুরুল ইসলাম নাহিদ।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে গোলাপগঞ্জে উপজেলা আওয়ামীলীগ দুই গ্রুপে বিভক্ত। গ্রুপ উপগ্রুপে বিভক্ত হওয়ার কারণে উপজেলা আওয়ামী লীগের যে কোন অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের তিন- চতুর্থাংশের বেশি নেতাকর্মী অনুপস্থিত থাকেন। এতে করে বিভিন্ন গ্রুপে প্রায় সময় প্রতিহিংসা লেগেই থাকে।
এদিকে আজ বুধবার আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে নুরুল ইসলাম নাহিদ উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের তিন-চতুর্থাংশের বেশি নেতাকর্মী। নুরুল ইসলাম নাহিদ নৌকা প্রতীক নিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন। আওয়ামী লীগের এ কোন্দল তার বিজয়ে বড় ধরণের প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেন অনেক নেতাকর্মী।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সিলেট-৬ আসন থেকে আওয়ামী লীগের ১৫ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। এদের মধ্যে মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন- কানাডা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরওয়ার হোসেন, গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি এলিম, বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব। নৌকার মাঝির নাম ঘোষণা হওয়ার আগে মনোনয়ন প্রত্যাশী এসকল নেতাদের হয়ে মিছিল-মিটিং-সমাবেশ করতে দেখা গেছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের। যে কারণে নৌকার মাঝির নাম ঘোষণা হওয়ার পর এসকল নেতাকর্মীরা নিরব ভূমিকা পালন করছেন। নৌকার মাঝি নুরুল ইসলাম নাহিদের মিছিল-মিটিং-সমাবেশে সচরাচর তাদের কাউকে উপস্থিত হতে দেখা যায়না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের অনেক নেতারা জানান, দলীয় কোন্দল জিউয়ে রেখে কতিপয় সিন্ডিকেটের কবলে সরকারের সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হওয়া, দল বিভক্ত করা, বিভিন্ন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে বিদ্রোহীদের পক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান, প্রশাসনিক সহায়তা, ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করা সহ নানা কারণে আজকের এই পরিস্থিতি। যার দায় তারা নেবে যারা গত ১৫ বছরে হেন অনিয়ম দুর্নীতি দলীয় কোন্দল সৃষ্টি করেছিল। উন্নয়নে দলকে সম্পৃক্ত না করে যারা ক্ষমতার দাপট দেখিয়েছিলো তারা দায় নেবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে যথাসময়ে নৌকার পক্ষে আমরা মাঠে কাজ শুরু করবো