Home জাতীয় আপিল খারিজ, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের রায় বহাল

আপিল খারিজ, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের রায় বহাল

রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আনা আপিল খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। রোববার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ মামলাটি ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ আদেশ দেন। ফলে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে হাইকোর্ট রায়ই বহাল থাকলো বলে জানান আইনজীবীরা।

এদিকে রোববার শুনানির বিষয়ে দিন ধার্য থাকলেও হরতালে আসতে পারবেন না বলে জামায়াতে ইসলামীর আইনজীবীরা ছয় সপ্তাহ সময় চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু তা আদালত গ্রহণ করেননি।
এর আগেও কয়েক দফা সময় আবেদন করেছিলেন জামায়াতের পক্ষের আইনজীবী।

এই আদেশের ফলে রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল থাকলো।
ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর বলেন, নিবন্ধন বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে জামায়াত। তারা ১২ বছর বিষয়টি শুনানি করেননি। তারা বার বার সময় চেয়ে আর্জি পেশ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজও তারা সময় চান। আদালতে তাদের ডিফল্ট এর জন্য আপিল খারিজ করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আপিল খারিজ হওয়ায় আদালত অবমাননা ও নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদনের প্রয়োজনীয়তা রইলো না। তবে ফের কারণ উদ্ভব হলে আমাদের আবেদনের সুযোগ রয়েছে।

একই দিনে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনসহ পৃথক দুটি আবেদনের ওপরেও শুনানি হওয়ার কথা ছিল। শেষ রিট আবেদনটিতে জামায়াতের নাম বা ব্যানার ব্যবহার করে সভা-সমাবেশ, মিছিলসহ যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আপিল বিভাগের আদেশ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

তিনি জানান, যেহেতু জামায়াতের আপিল খারিজ করে দেওয়া হয়েছে তাই আদালত এই ২ আবেদন গ্রহণ করেনি।

এর আগে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট নির্বাচন কমিশনে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আরেকটি রিট দায়ের করা হয়।

বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ আরও দুইজন গত ২৬ জুন জামায়াতে ইসলামীর লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দলটিকে বৈধ রাজনৈতিক দল হিসেবে দাবি করতে না পারার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করেন।

একই দিন জামায়াতে ইসলামীর আমীর শফিকুর রহমানসহ পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে আপিল নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক দল হিসেবে জনসভা করায় আদালত অবমাননার আবেদন করেন চাঁদপুরীসহ আরও দুজন।

জামায়াতে ইসলামীকে ঢাকায় কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেওয়ায় কয়েকজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগও আনা হয়।

Exit mobile version